শরিফ-ইলিয়াছের কালো থাবায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ঘর ছাড়া

0
718

 ষ্টাফ রির্পোটার:রাজধানীর উত্তরায় রাজউকের  জমি দখলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ প্রসাশন ও ক্ষমতাসিন দলের ছত্রছায়ায় জোতদারদের হামলা, মামলায় ভয়ে ঘর ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।

ভূমিহীন এই পরিবার ঘরবাড়ী ছেড়ে কয়েকদিন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আর এ সুযোগে প্রভাবশালী কাউন্সিলর শরিফুর রহমানের  জোতদার বাহিনী ভূমিহীনদের দোকান লুটপাট ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আফছানা ও তার ছোট বাচ্ছা উপর  কাউন্সিলরে কাইলা বাহিনী নির্যাতন চালিয়ে যান বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছে।

অভিযোগের তীর উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনর্চাজ আক্তারুজাম্মান ইলিয়াছের নামে । তার কাছে নির্যাতিতা আফসানা মুঠোফোনে কল করলে তার কোন সু-প্রতিকার পায়নি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।

কাউন্সিলর ওসি যেন মাসতাতো ভাই একে অপরের সাথে চাঁদাবাজী আর দখল করা দুয়ের মধ্যম পন্থা হয়ে উঠছে।

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আফছানা অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন, আমাকে কয়েক ঘন্টা ধরে মার ধর করেন কাউন্সিলরের সেকেন্ড উন কমান্ড কাইল্যা জহির।তিনি আরো বলেন,আমি বার বার তার কাছে ফোন দিলে তা রিসিভ না করে উল্টা আমাকে বলেন অভিযোগ পেলে পুলিশ পাঠাবো।

কাউন্সিলার শরীফুর রহমানের এক চাচা জামাতের রাজনীতিতে সঙ্গে জরিত রয়েছে এমটা অভিযোগ করেন জনৈক এক উত্তরার আওয়ালীগের নেতা।

কাউন্সিলর শরিফুর রহমান ২০১১-১৭ পযন্ত বিএনপির অঙ্গ সংগঠন সেচ্ছাসেবক দলের সাথে রাজনীতি করেছেন। ঢাকা ১৮ আসনের প্রায়াত এমপি এডভোকেট সাহারা খাতুনের ভাগ্নে হাত মজিবুরহমানের হাত ধরে নৌকার টিকেট কাটেন শরিফ।

এ বিষয়ে   সেচ্ছাসেবক দলের উত্তরা পশ্চিম থানার জনৈক মোস্তফা কামাল হৃদয় অফরাধ বিচিত্রাকে বলেন,তিনি আমার কমিটিতে ছিলেন সে কমিটি এখনো বহুল রয়েছে।

কমিশনারের দখলবাজী “প্লট রাজউকের বরাদ্ধ দেয় কমিশনার”ঃ গত ১ বছর আগে রাজউক কর্তৃক উচ্ছেদ হওয়ার পর রাজউকের নিষেধাজ্ঞা দেখিয়ে দক্ষিন এশিয়ার সবচেয়ে বড় আধুনিক মার্কেট প্লেসের এই জায়গাগুলো দখলে নেন নবনির্বাচিত  স্থানীয় কমিশনার শরিফুল ইসলাম। তিনি  আওয়ামীলীগের উত্তরা পশ্চিম থানা স্থগিত হওয়া  কমিটির ক্রিয়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক। গত দুই বছর আগে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে এক বছর অতিক্রান্ত না হতেই উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থনে প্রায় অর্ধকোটি টাকা খরচ করে  কমিশনারের পদটি লাভ করেন। ঢাকা উত্তর সিটির সকল কমিশনার থেকে কমিশনার শরিফ এর বীরত্ব,আগামী নির্বাচনের প্রচারণা, জনসংযোগসহ সকল কাজের ধরনই ভিন্ন। ফুট পাতের হকারদের থেকে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা নিজ নিজ সংগঠনের নামে চাঁদা উঠিয়ে থাকে। কিন্তু ৫১ নং ওয়ার্ডে স্বয়ং কমিশনারের নামে চাঁদা উঠানো হয়। তিনি তার এলাকার সব কিছুর নিয়ন্ত্রক এবং প্রশাসনও তার পরামর্শে কাজ করে থাকে। এ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে প্রশাসন  ও রাজউকের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ফার্নিচার মার্কেট থেকে উঠানো ভাড়ার একটি অংশ দেয়ার নামে তাদেরকে নিয়ন্ত্রনে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বরাদ্ধে উন্মুক্ত দরপত্র ঃ  সোনার গাঁ জনপথের রাজউকের মার্কেট প্লেসে উচ্ছেদ হওয়া ফার্নিচার মার্কেট আবার অবৈধভাবে  নির্মানে করা হয়েছে উন্মুক্ত দরপত্রের আহবান। উন্মুক্ত দরপত্রের   প্রতিযোগিতার প্রতিদন্ধীতায় প্রতিযোগীকে ১০ কাঠার প্লটে ৩ লক্ষাধিক টাকা অফেরত যোগ্য জামানত হিসেবে কমিশনারের কাছে জমা দিতে হয়েছে।। প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটির সভাপতি হলেন,কমিশনার শরীফ নিজেই। তারই তত্ত¡াবধনে জহির, বাবু, ফয়সালসহ আরো কয়েক জন মাঠ তদারকি, দখল ও ভাগাভাগি করে দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত।

অগ্রিম জামানত ও মাসিক ভাড়া ঃ  মার্কেটে ১০ ফিটের একটি দোকানের অগ্রিম জামানত ৫০ হাজার ও মাসিক ভাড়া ১৫ থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত।

 এ বিষয়ে কাউন্সিলর শরিফুর রহমান অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন,তার সাথে আমার কোন ঝগড়া নেই জহির কে আমি চিনি না।

এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনর্চাজ  আক্তারুজামানের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

10 − one =