সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য রক্ষার দাবিতে ডলফিন রক্ষা কমিটির সম্মেলন

0
411

আনোয়ার হোসেন আনু: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়পরিবেশের ভারসাম্য ও সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য রক্ষার দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটি নামে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ওই সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডলফিন রক্ষা কমিটির কুয়াকাটা’র টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার, সদস্য আবুল হোসেন রাজু, কেএম বাচ্চু,আসাদুজ্জামান মিরাজসহ অনেকে। আরো উপস্থিত ছিলেন ইকোফিশ-২ প্রকল্পের পটুয়াখালী জেলার সহকারী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি। 
এসময় রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, অত্যান্ত দু:খের সাথে জানাচ্ছি দেশে যখন জীব বৈচিত্ররক্ষায় সরকারী-বেসরকারী ভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে  ঠিক তখনি একেরপর এক কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসছে সামুদ্রিক বন্ধু প্রাণি ডলফিন।প্রতিনিয়ত সমুদ্রের এই রঙ্গরস ও নৃত্যরত ডলফিনের মৃত্যতে আমরা র্মমাহত।


তিনি আরো বলেন দিনে দিনে এভাবে ডলফিন মৃতের কারণে একদিকে যেমন সামুদ্রিক পরিবেশের চরম ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি আমাদের নিষ্ঠুরতার প্রমানও হচ্ছে। চলতি বছরের এই র্বষা শৌসুমে কুয়াকাটার ১৮ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে  পর পর ৬টি ডলফিনের মৃত্য আমাদের ব্যথিত করেছে। এমনি ভাবে প্রতি বছর অন্তত ১০ থেকে ১২টি ডলফিনের মৃত্যু ঘটে।


আপনারা জানেন বিশ্বের বিভিন্ন নদী সমুদ্রে প্রায় ৪০ প্রজাতির ডলফিনরয়েছে। যা সামুদ্রিক সকল জীব বৈচিত্রের মধ্যে অনেকটা ব্যাতিক্রম প্রাণী।সমুদ্র ভ্রমন বা মৎস্য শিকারে বের হলে বিভিন্ন সময় দেখা যায় ডলফিনের দলনৌকা বা ট্রলারের আশে পাশে এসে ঢেউয়ের সাথে নৃত্য করে।  আসলে এরা মানুষের সাথে একটা বন্ধুত্ব সম্পর্কের নিদর্শন বোঝাতে চায়। সমুদ্রে বিপদে পড়া যে কোন প্রাণীর পাশে উপকারী প্রাণী হিসেবেই এসব ডলফিনদের  দেখা যায়।


তিনি বলেন, কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটি গত কয়েক বছরের ডলফিন মারা যাওয়ার বিষয় খোজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, বেশ কয়েকটি কারনে এসব বন্ধু প্রাণীগুলো মারা যাচ্ছে। সমুদ্রে ও সমুদ্র উপকূলে  জেলেদের জালে আটকে এবং বড় বড় ট্রলিং জাহাজে মাছ শিকারের সময় এসব ডলফিন মেরে ফেলা হচ্ছে। 

এসময় ওই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জেলেদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সামুদ্রিক বন্ধু প্রাণী ডলফিন সর্ম্পকে ধারণা দেয়া, কোনো ভাবে জালে আটকে গেলে অতি যত্নে তাদের ছাড়িয়ে দেয়া, মাছ শিকার করতে গিয়ে কোন ভাবে তাদের আঘাত না করে সে খেয়াল রাখা, প্লাস্টিক, পলি ও টুকরা জাল কোনো ভাবে সমুদ্রে না ফেলা, হাজারী বা নাঙলা জাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে আইনের ব্যবহার  নিশ্চিত করা, জীব বৈচিত্র রক্ষায় সবাই সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তারা । প্রকৃতি প্রেম ও সচেতনতাই রক্ষা পাবে এই সামুদ্রিক বন্ধু প্রানী ডলফিন এমনটাই মনে করেন সচেতন মহল।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

8 + sixteen =