মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে এক তরুনীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষন করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এঘটনার প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগষ্ট) সকালে অভিযান চালিয়ে ৩জন ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ধর্ষকরা হলো- জেলার ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের হাসেমপুর গ্রামের বাসিন্দা মতিউর রহমান মতিন (২৬), একই গ্রামের দিলদার হোসেন (২৮) ও পাশর্বর্তী কামারগাঁও গ্রামের বিল্লাল হোসেন (২৬)। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল বুধবার (১১ আগষ্ট) সকালে জেলার ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের হাসেমপুর গ্রামের ২১ বছরের এক তরুনী তার নিজ বাড়ি থেকে নানার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় তাকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় একই গ্রামের মতিউর রহমান মতিন ও দিলদার হোসেন। পরে পাশর্বর্তী সিংচাপইড় ইউনিয়নের হবিপুর গ্রামে অবস্থিত মতিউর রহমানের চাচাতো বোনের বাংলো ঘরের ভিতরে ওই তরুনীকে পালাক্রমে ধর্ষন করে।
আর এই ঘটনাটি তাৎক্ষনিক ভাবে জানাজানি হয়ে গেলে তরুনীকে নৌকা দিয়ে পাশর্বর্তী কামারগাঁও গ্রামের বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় মতিউর রহমান। পরে বিল্লাল ও তার সহযোগী কামরান মিয়া মিলে ওই তরুনীকে আবারো ধর্ষন করে। সারাদিন ব্যাপী এঘটনার চলার পর সন্ধ্যায় ধর্ষিতা তরুনীকে বিল্লাল হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজন।
এঘটনার প্রেক্ষিতে রাতেই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়েরের পর রাতেই এলাকার লোকজন ধর্ষক মতিউর রহমান ও দিলদার হোসেনকে আটক থানায় সোপর্দ করে। বৃহস্পতিবার ১২ আগষ্ট সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করে।
ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন- তরুনী ধর্ষনের ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। এঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।