ভয়ঙ্কর কিলার সুরুজের হুকুম দাতা কে?

0
500

হাবিব সরকার স্বাধীর: ভয়ঙ্কর ভাড়াটে কিলার সুরুজ ওরফে যুবরাজ। অতি সাধারন গরিব পরিবারের বাবা সন্তান সুরুজ ,বাবা কসমেটিক ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম। মাতা শেফালী বেগম, সাং লক্ষ্মীপুর,খেয়রপাড়া থানা সৈয়দপুর, জেলা নীলফামারী সুরুজ্জামান ওরফে সবুজ বয়স ২৬। এলাকার অনেক ভাড়াটিয়া চিহ্নিত গুন্ডাপান্ডা সঙ্গে রয়েছেন সুরুজের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। অপকর্ম আড়াল করতে তার রয়েছে জানা-অজানা বহু নাম। অনুসন্ধানে এমনটাই জানা গেছে। অপরাধ জগতে সে যুবরাজ হিসেবে পরিচিত। কথিত আছে যুবরাজের অস্ত্র থেকে বের হওয়া বুলেট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না। নিজের অস্ত্র না থাকলেও ভাড়া অস্ত্রে ভাড়ায় গুলি করা আর খুন করাই তার কাজ। কাকে গুলি করা হলো, কে মরলো_ সেটা তার জানার বিষয় না। হত্যার বিনিময়ে শুধু তার দশ অথবা পাঁচ হাজার টাকা মিললেই হলো। কে কি সে ব্যাপারে জানার প্রয়োজন নেই। অনুসন্ধানে জানা যায়, সাত বছর বয়সে স্কুলের শিক্ষকে দেশী অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে স্কুল জীবন থেকে বিদায় নেয় বখাটে সুরুজ ওরফের যুবরাজ। এভাবেই ১০ বছর বয়সেই মাদকের জড়িয়ে যায়। এলাকায় মাদক মামলা থাকার কারণেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া থেকে রক্ষা পেতে শেষ আশ্রয়”হিসাবে ঢাকাকে নিরাপদ আশ্রয় মনে করে এই কিলার।এবং বড়লোক হওয়ার নেশায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে কিলার যুবরাজ। আত্মগোপনে চলে আসে মিরপুর শাহ আলী মাজারের পাশে আলতাফ নামের একটি হোটেলে আশ্রয় নেয় কিলার যুবরাজ।

হোটেল কর্মরত হলেও রাতে তার ভয়ঙ্কর চলাফেরা ছিল অন্যরকম। সেখান থেকে শুরু হয় তার কিশোর গ্যাং এর তৎপরতা। সেই এলাকাটাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা উজ্জ্বলকে আঘাত করে সেখান থেকে পালিয়ে ২০১৫ সালে কড়াইল এরশাদনগর বস্তিতে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে ২০নং ওয়ার্ড ওয়ারলেস গেট একটি হোটেল হোটেল বয় হিসাবে চাকরি করলেও রাতে মাদক ব্যবসায় লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ করেন হোটেল মালিক পক্ষ। সে কারণে তাকে নিষেধ করে দেওয়া হয়। ২০২০ সালে বগুড়া পুলিশের হাতে যুবরাজ ওরফে সুরোজ তার সঙ্গীর সজীব বিপুল পরিমান ফেন্সি নিয়ে গ্রেফতার হয়।


দীর্ঘ ৯ মাস জেল খেটে সাবেক ঠিকানায় ফিরে আসে কিলার যুবরাজ। কড়াইল এসে দীর্ঘদিন থাকার পর টার্গেট করেন সংবাদকর্মী স্বাধীন কে। সবুজ ওরফে যুবরাজ স্বীকারোক্তি না দিলেও ইঙ্গিতে বলেছেন এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে এই কাজ করতে রাজি হয়েছে।তাং ৩০/৭/২০২১/ গতরাত আনুমানিক ১১.৩০. ঘটিকায় সময় বনানী থানা ২নং রোড আমতলা মাঠের পূর্ব পাশে রাস্তার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংবাদকর্মীর মোটরসাইকেল গতিরোধ করে ভাড়াটিয়া কিলার সুরুজ্জামান ওরফে যুবরাজ বাহিনী।

অভদ্র ভাষায় গালাগালি এক পর্যায়েসংবাদ কর্মীকে দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, হাতুড়ি , দেশি চুরি দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। সংবাদকর্মী চেঁচামেচিতে আশেপাশের লোকজন আসলে সেখান থেকে দ্রুতগতিতে সংবাদকর্মী সাথে থাকা ভিভো মোবাইল ফোন, অপ মোবাইল ফোন, ও স্বর্ণের চেইন নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিকাশ নাম্বার থাকা সংবাদকর্মী স্বাধীনের বিকাশের থাকা ৯০০০ টাকা সজিবের মোবাইলে প্রথমে ৫০ টাকা রিচার্জ ,এবং পরবর্তীতে বাকি টাকা ৮৯৮০ ২ নং আসামী তার নিজের মোবাইলে সেন্ড মানি করে নেয় ।সজীবের বিকাশ নাম্বার ০১৩২০৭২৫১৮০ সুরুজ্জামান সুরোজ ওরফে যুবরাজ জানায় পরিকল্পিতভাবে সজীব ,রাজু ,পল্লব, মিলে আরো দুই-তিনজন মহাখালী আমতলী এলাকায় ওত পেতে থাকে হামলা চালায় ।

ঘটনার তিন দিনের পর ১নং আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। বনানী থানা মামলা নম্বর (২০১৬ ) সাল রাজধানীর শাহ আলী বাজার এলাকায় খেলার মাঠে রফিকুল ইসলাম নামে অপর এক কিশোরকে হত্যার মামলার দিয়ে অন্ধকার জগতে প্রবেশ তার এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু। বিলাসিতা বাড়ি অর্থের লোভে মরিয়া হয়ে ওঠে সুরুজ্জামান।দিন দিন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে সে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের নেতা এনামুল জীবনকে ও তার সহযোগী শামীমকে গুলি।


করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় র‌্যাব এর হাতে গ্রেফতার হয়। বনানী থানা সংবাদ কর্মী হত্যার চেষ্টায় মামলা গ্রেফতার হওয়ার পর যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রেফতার ছবি ভাইরাল হয়। যুবরাজের নানান অজানা তথ্য ইতিপূর্বে আমাদের দপ্তরে এসেছে।বেরিয়ে আসে সদ্য কৈশোর পেরোনো যুবরাজ ও সজীবের অন্ধকার জগতের ভয়ঙ্কর তথ্য। সংবাদ কর্মী হত্যাচেষ্টা মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছে। বনানী থানা ওসি নুরে আজম মিয়া ওসি তদন্ত শেখ সোহেল রানা, অপারেশন সাইহায়ান।


উল্লাহ নেতৃত্বে কড়াইল বিট ইনচার্জ আদর্শনগর এলাকা দায়িত্বর দক্ষ অফিসার এসআই দেলোয়ারের চেষ্টায় কিলার যুবরাজকে গ্রেফতার করা হয়। গুলশান-বনানী রাতের আধারে সকল অপকর্ম সাথে ছিনতাই থেকে চুরি কাজে লিপ্ত ছিল এই চক্রটি। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করলেও সংসারে অভাবের কারণে আর পড়ালেখা করা সম্ভব হয়নি। ওই সময় খেলার মাঠে মারামারিতে রফিক নামে এক বন্ধু নিহত হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠায়। যুবরাজ ভাষ্য, কিশোর সংশোধনাগারেই কয়েক বন্ধুর সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তার। সেখানেই সে অস্ত্র চালনার বিষয়ে জানতে পারে। কিশোর বন্দিদের কাছ থেকে বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কে ধারণা পায় সে। ২০০৬ সালে কিশোর সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে কারওয়ান বাজারে আলুর আড়তে কাজ নেওয়ার পর পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিকের ঘনিষ্ঠজন মনিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।

মনিরের কাছ থেকেই সে সরাসরি পিস্তল ও রিভলবার চালানো শেখে। এরপর মনিরের হয়ে সে কয়েক বছরে ধানমন্ডি, ফার্মগেট, কলাবাগান, তেজতুরীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি অপারেশনেও অংশ নেয়।
বুলেট জানায়, সে নির্দেশ পেয়ে টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। অনেক সময় বড় ধরনের ছিনতাইয়ে সে গুলি চালানোর কাজ করে। কাকে গুলি করা হচ্ছে তা সে জানে না।

শুধু দেখিয়ে দেওয়া ব্যক্তিকে গুলি করে চলে আসে। ২০ নং ওয়ার্ড বস্তি।বেলতলী নারীঘটিত বিষয় নিয়ে সোহাগ ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা সালিশের মাধ্যমে এই বকাটে কিলার সুরুজ ওরফে যুবরাজ কে এলাকা থেকে বিতাড়িত করেন। মামলার ১ নং আসামী সুরুজ ওরফে ভয়ঙ্কর কিলার যুবরাজ গ্রেপ্তার হলেও ২নং আসামী সজীব, পল্লব, রাজু, অজ্ঞাত নামা আসামী এখনও গ্রেফতার হয়নি। এবিষয়ে এসআই দেলোয়ার প্রতিবেদককে জানান অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক।যেখানেই থাকুক না কেন আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা চলমান থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × 2 =