সাভারে বেড়েছে মশার উপদ্রব

0
431

কামরুল হাসান : দেশে প্রতিদিন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩০৬ জন । গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এদিকে সাভারের পৌর এলাকাসহ সকল স্থানেই বেড়েছে মশার উপদ্রব । এতে করে বিপাকে পরেছে সাধারণ জনগণ। মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে ময়লা আবর্জনা ও জমাট পানির কারনে মশা বাড়ছে বলে অভিমত দিয়েছেন সাধারণ জনগণ।

সাভার পৌর এলাকায় সন্ধ্যা নামতে না নামতেই শুরু হয় মশার রাজত্ব। মশার তীব্র উপদ্রবের কারণে সাধারণ জনগণের মাঝে ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই মনে করছেন, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মত রোগে আক্রান্ত হতে পারে সাধারণ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মশা নিয়ে পোস্ট দিয়ে অনেকেই তাদের ক্ষোভ ঝাড়ছেন।

মশা নিধনে সাভার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় ফগার মেশিন দিয়ে ঔষধ দিলেও তেমন কোন লাভ হয়নি বলে জানান ভুক্তভোগীরা। চলমান বর্ষা মৌসুমে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গু জ্বরে। করোনা মহামারীর সময় ডেঙ্গু নতুন করে আতংক ছড়াচ্ছে সাভারে। বিশেষ করে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও বিভিন্ন গলিপথে ময়লা আবর্জনার স্তুপ থেকে মশার জন্ম হচ্ছে বলে জানান সাধারণ মানুষ ।সম্প্রতি সাভারের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা এই নিয়ে করছেন ব্যাপক সমালোচনা। শুধু বসতঘর বাড়ি অফিস-আদালত নয় মশার উপদ্রব থেকে চলতি পথেও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না।

রিকশাচালক রাজ্জক হোসেন বলেন, আগে তো রাস্তায় বসলে কিংবা বাসায় মশা কামড়াতো কিন্তু, এখন তো রিকশা চালানো অবস্থায়ও মশা কামড়ায়। মশার জন্য কোথায় একটু শান্তিতে বসতে পারি না।                                        বিভিন্ন ওয়ার্ডের বসবাসরত বাসিন্দারা বলেন, মশার যন্ত্রনায় একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। দিনে কিংবা রাতে মশার জন্য কোথাও বসতে কিংবা শুতে পারছি না।

এই বর্ষায় মশার উপদ্রব আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সাভার পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নিকট অতি দ্রুত মশা নিধনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। তাই সামনে বর্ষাকালকে কেন্দ্র করে ডেঙ্গুর আগাম প্রস্তুতি নিয়ে সাভারবাসী চিন্তিত থাকলেও এতে তেমন মাথাব্যথা নেই পৌরসভার।সম্প্রতি সাভারের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা এই নিয়ে করছেন ব্যাপক সমালোচনা। শুধু বসতঘর বাড়ি অফিস-আদালত নয় মশার উপদ্রব থেকে চলতি পথেও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না।                                                                                                   

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা জানান,বর্তমান ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক আছে কিন্তু পর্যাপ্ত পদক্ষেপ না নেয়া হলে ভয়ানক হতে পারে পরিস্থিতি। আমরা চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুত আর আমাদের কাজ চিকিৎসা দেওয়া। মশা মারার ব্যাপারটি পৌরসভার তারা যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমাদের মশার ব্যাপারে কিছু করার নেই।                                           

 সাভার পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুল গনি জানান, “আমরা মশা নিধনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিয়ন্ত্রণের ঔষধ স্প্রে করছি, পাশাপাশি মশার লার্ভা ধংস করার জন্যেও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, যা খুব শীঘ্রই প্রতিটি ওয়ার্ডে স্প্রে করা হবে। কার্যক্রমগুলো আরো আগেই শুরু হতো, তবে লকডাউনের কারণে আমাদের কাজ কিছুটা স্থবির হয়েছিলো।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one + 15 =