Site icon Aparadh Bichitra

ভালো হতে চান, তওবা ইস্তেগফার করুন

১. প্রথমে নামাজ পড়ার অভ্যাসটা করতে হবে। ঠিক টাইম মতো নামাজ পড়লে সবচেয়ে ভালো হয়। ফজরের নামাজের জন্য নামাজের সময়সূচি দেখে এলার্ম দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে নামাজের সময়সূচি নামে একটা এপস নামাতে পারেন তাতে অনেক দোয়াও, সূরা থাকে শিখে নিতে পারবেন। নয়তো সূরার জন্য কুরআন শরীফের এপস নামাতে পারেন সেক্ষেত্রে যাতে বাংলা অর্থ দেয়া আছে সেগুলো দেখে নামালে ভালো হবে অর্থও শেখা হবে।অর্থ পড়লে এতে মনের অনেক পরিবর্তন হয়। যেহেতু মেয়েদের একটানা ৪১ দিন পড়া যায় না তাই একটানা ৩ বা ২ মাস পড়বেন কোনো গাফিলতি না করে তাহলে দেখবেন আর নামাজ ছাড়তে ইচ্ছে হবে না। পবিত্রতা অর্জনের দিক কড়া নজর রাখতে হবে যাতে নামাজ বিফলে না যায়। নামাজ পরে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি হেদায়েত চাইতে হবে। ভালো কাজ করার তৌফিক চাইতে হবে।

২. ফোনের যত গান, নাটক, সিনেমা ডিলেট করে দিবেন। তার পরিবর্তে গজল, ওয়াজ শুনবেন। ইসলামিক ভিডিও দেখতে পারেন। গান যেমন শুনতেন তেমন গজল শুনবেন এতে করে আল্লাহর দিকে মন আসবে, পরকালের কথা মনে পরবে।

৩. সব ছেলেদের সাথে কথা বলা বন্ধ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আত্মীয়দের মধ্যে পুরুষদের সাথেও কথা বলবেন না। এর জন্য সবচেয়ে ভালো হয় নতুন করে আইডি খোলা।সেখানে শুধু দ্বীনি বোনদের এড করবেন । যাতে আইডিতে ফালতু পোস্ট না আসে । যেহেতু দ্বীনের পথে নতুন তাই অন্যদের এড না দেওয়াই ভালো। দ্বীনি গ্রুপ গুলোতে জয়েন দিবেন। ফেসবুকে এসে আপনি বোরিং ফিল করতে পারেন কারণ তখন দেখবেন কেউ তেমন কথা বলতে চাইবে না আর এ জন্য দ্বীনি বোনদের পোস্ট ও গ্রুপের পোস্ট পড়তে পারেন, লাইক কমেন্ট করতে পারেন আর নিজেও পোস্ট করবেন তখন আর খারাপ লাগবেনা। আইডি বাহিরেও ছেলেদের সাথে কথা বলবেন না। কারণ এতে মন পরিবর্তন খুব কম হয়।

৪. শুরুতেই যদি একদম খাস পর্দা না করতে পারেন। তবে বেশি ঘরের মধ্যে থাকার চেষ্টা করবেন কাজ ছাড়া অযথা ঘর থেকে বের হবেন না। আর বাহিরে বের হলে বোরকা পড়ে যত সম্ভব ঢেকে বের হবেন। ফেসবুকে কোনো ধরনের বেপর্দার ছবি দিবেন না হোক তা আপনার কিংবা পরের ছবি। ছবি দেয়া ও ছবি তোলা থেকে বিরত থাকবেন।পারলে ফোনের থাকা ছবি সব ডিলেট দিবেন।

৫. ভালো কাজ করার আগে ভাববেন এটা করতে পারলে আল্লাহ খুশি হবে এবং কোনো গুনাহের কাজ করার আগে ভাববেন আল্লাহ আমাকে দেখছে এটার জন্য তিনি আমাকে শাস্তি দিবে। সর্বদা আল্লাহকে স্বরণ করবেন, আল্লাহকে ভয় করবেন। কবরে গেলে আমার কি হবে? কি কাজ করলে আমি জাহান্নামের কঠিন আজাব থেকে বাঁচতে পারি? এগুলো ভাববেন ভাবার চেষ্টা করবেন। কবরের কথা ভাববেন যদি আমি অন্ধকার ঐ কবরে থাকি কি হবে আমার?

৬. রাতে ঘুমানোর সময় দোয়া পড়ে ঘুমাবেন। যেমন : ঘুমের দোয়া, আয়াতুল কুরসি, বাকারার শেষ দুই আয়াত, সূরা ইখলাস, ফালাক, কাফিরুন এ গুলো খুবই ফজিলতপূর্ন। শুইলেই অনেকের ঘুম আসে না এর জন্য বিভিন্ন সূরা পড়তে পারেন যে গুলো মুখস্থ আছে বা এপস থেকে দেখে আর জিকির করবেন চোখ বন্ধ করে ইনশাআল্লাহ ঘুম আসবে।

৭. বেশি বেশি ইস্তেগফার (আস্তাগফিরুল্লাহ) পড়বেন।সবকিছুতে আল্লাহর ওপর ভরসা করবেন। বিপদে ধৈর্য্য ধরার চেষ্টা করবেন। আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্য করেন এটা সর্বদা মনে রাখবেন। মনের যত কথা, দোয়া সব আল্লাহকে বলবেন। যা চাওয়ার তার কাছে চাইবেন। সিজদায় চাইতে পারেন। সিজায় আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হওয়া যায়।

আল্লাহর পথে ফিরে আসুন দেখবেন সবকিছুতে শান্তি খুঁজে পাবেন। মোনাজাতে দুই ফোঁটা চোখের পানি ফালাতে পারলে যে কতটা শান্তি লাগে না ফালালে বুঝবেন না। এটা ভাববেন আমি ভালো কাজ করলে তার প্রতিদান পাবো ইনশাআল্লাহ। হয়তো দুনিয়ায় নয়তো আখিরাতে।আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন, ক্ষমা করুন, আপনার রাস্তায় সঠিকভাবে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।