রৌমারী প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, কামকম্পিউটার অপারেটর ও গ্রাম পুলিশরা সম্মানী ভাতা না পেয়ে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রালয় বিভাগ থেকে তাদের সম্মানী ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তা দিচ্ছেন না। ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে রাজিবপুর উপজেলার চর রাজিবপুর, কোদালকাটি, ও মহনগঞ্জ ইউনিয়নের ২২ জন গ্রাম পুলিশ ও ২ জন মহল্লাদার ১৪ মাস থেকে সম্মানী ভাতা না পাওয়ায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের সম্বানী ভাতা দেওয়া হয় হাটবাজার ৪১% ও সাব-রেজিস্ট্রার থেকে ১% ও সরকারী ভাবে ৫৮% তাদেরকে সম্মানী ভাতা দেওয়া হয়। গত ১৪ মাস থেকে ভাতা না পাওয়া গ্রাম পুলিশরা বারবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ধন্না দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদের সম্মানী ভাতার বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রালয় বিভাগে একটি চিঠি দেন। এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রালয় স্বরাষ্ট্র সরকার বিভাগ থেকে গ্রাম পুলিশসহ অন্যান্যদের জন্য ১৪ লক্ষ টাকা সম্মানী ভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দেন। রহস্যজনক কারনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদেরকে ৬ মাসের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই কম টাকা নিতে গ্রাম পুলিশরা অসম্মতি জানান। একই অবস্থায় রয়েছেন ৩ সচিব ও ৩ জন কামকম্পিউটার অপারেটর। এবিষয়ে গ্রাম পুলিশ সভাপতি শ্যামল কুমার বলেন, ১৪ মাসের বিল আসলেও ইউএনও সার আমাদের ৬ মাসের বেতন দিতে চান, আমরা তা নিব না। এবিষয়ে রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নবীউর ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের এত মাথা ব্যথা কেন।