আজ ৩০ আগষ্ট ২০২১ (সোমবার) বিকাল ৪ টায় আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ খানের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামসুদ্দীনের সঞ্চালনায় ৩৭১ ফ্রি স্কুল ষ্ট্রীটস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলন নেতৃবৃন্দ গতকাল লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশের নিরস্ত্র-নিরীহ ২ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও দিল্লীর প্রতি আনুগত্যই দেশের নাগরিকদের এই হত্যার মূল কারণ। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করে মানচিত্র প্রকাশ করেছে। যাতে ভারতের মানচিত্রে বাংলাদেশকে অধিভুক্ত দেখানো হয়েছে। সরকার নিশ্চুপ কোন প্রতিবাদ নেই। অথচ ভারত নেহেরু ডকট্রিন বাস্তবায়ন করে মহাভারত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে আমাদের স্বাধীনতা ভুলুন্ঠিত হবে। জাতিকে এখনি সজাগ হয়ে অস্তিত্ব রক্ষা করতে হবে।
বক্তাগণ দেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং দলীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক খুন-গুম, হামলা, মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানান। ইতিমধ্যেই যারা গুম হয়েছেন তাদেরকে অবিলম্বে তাদের পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার জন্য শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। খুন-গুম, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার বাণিজ্য রাষ্ট্রের মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। এ অপসংস্কৃতি বন্ধের জন্য তারা শেখ হাসিনার নিকট আহ্বান জানান।
সভায় বক্তাগণ বলেন, “ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সরকারের বাধা, হামলা-মামলার ফলে সরকার দিল্লীর অনুগত বলে প্রতীয়মান হওয়ায় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জনগণের সুদৃঢ় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। ঘাতক মোদীর আগমনের প্রতিবাদে আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া জাতীয় বীরদের প্রতি সম্মান জানাচ্ছি এবং তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। ঐ আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া মাওলানা মামুনুল হকসহ দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।”
সভায় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমীন, অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মাওলানা বজলুর রহমান আমিনী, নুুরুল ইসলাম বিপ্লব, এয়াকুব শরীফ, সুলতান মাহমুদ, এন. ইউ. আহম্মেদ, প্রমুখ।