শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাম প্রসাদ রাজবংশী ও তার বোন জামাই তাপস রাজবংশী সামান্য মাছ বিক্রেতা থেকে এখন কোটিপতি বনে গেছে। বছর দুয়েক আগেও যাদের নুন আন্তে পান্তা ফুরাতো তারা এখন কোটিপতি। অনুসন্ধানে জানা যায়,রামপ্রসাদের প্রকৃত বাড়ি নবাবগন্জ থানার পাড়া গ্রাম এলাকায় হলেও তার পিতা রং লাল রাজবংশী বাড়ৈখালীতে মুক্তিযোদ্ধা নরেশ রাজবংশীর বাড়িতে লজিং থাকতেন। মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে লজিং থাকার সময় ২০০৭ সালে হঠাৎ করে ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭ শতক জমি ক্রয় করে বাড়িতে ব্লিডিং নির্মাণ করে। আড়িয়াল বিল ও মাওয়া হতে মাছ ক্রয় করে স্হানীয় বাড়ৈখালী বাজারে বিক্রী করে কোটি পতি বনে যাওয়ায় এলাকায় কানা ঘোষা চলছে। কিছু দিন পূর্বে বাড়ির পাশে নির্মাণাধীন ভবনসহ ৬ শতক জমি ৩৮ লাখ টাকায় ক্রয় করেন রাম প্রসাদ। অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে বিবাহ করতে রাজি না হওয়ায় প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় করেও অবশেষে বিবাহ করতে বাধ্য হন। তার ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।
চরিত্রহীন মাদক সেবী রাম প্রসাদ আপন সমন্ধি মালয়েশিয়া প্রবাসী মনোরন্জন এর স্ত্রী দিপীকার সাথে অবৈধ প্রণয়ে জড়িয়ে বিচার শালিশে দু লাখ টাকা জরিমানা দেন। মাদক মামলায় শ্রীনগর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে সেখানেও ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়। অপর দিকে রামপ্রসাদের বোন জামাই তাপস রাজবংশী (৩৩) পিতা, বেনী রাজবংশী বাড়ৈখালী বাজারে মাছ বিক্রী করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।
কিছু দিন পূর্বে তাপসের বোন কবিতা রাজবংশী কে ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে হাসাড়ায় বিবাহ দেন। রাম প্রসাদের ৩৮ লাখ টাকার ক্রয়কৃত জমির অর্ধেক মালিকানা তার। সেবক সংঘ ক্লাব এলাকায় ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ৫ শতক জমি ক্রয় করে তাপস। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে সামান্য মাছ বিক্রী করে কিভাবে এত টাকার মালিক বনে গেলেন তা নিয়ে এলাকাবাসী বিস্মিত।
এ ব্যপারে তাপস রাজবংশী নিকট জানতে চাইলে সে কোন উত্তর দিতে পারেন নি। বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী সেলিম তালুকদার বলেন,”রাজবংশী মাদক ব্যবসায়ী নয়,পূর্বে এলাকার কিছু লোক তাকে মাদক দিয়ে ফাসাতে চেয়েছিলো। তার টাকার উৎস কি জানতে চাইলে তিনি সাক্ষাতে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে লাইন কেটে দেন।