ছাগল চোর বাশেদ এখন কোটিপতি শাহিন চেয়ারম্যানের শেল্টারে সবুজছায়া আবাসনের অন্তরালে ভয়ংকর প্রতারণা

0
715

দুর্নীতি ও অনিয়ম হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, কারও মুখের দিকে তাকানো হবে না; যে দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। এটা ধরে রাখতে হবে। আমরা দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে যোগ করতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী দিনের বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চাই সেটার পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছি।’‘বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন একটা বিস্ময়। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যার সঙ্গেই দেখা হয় জিজ্ঞেস করে কীভাবে এত উন্নয়ন করলাম। আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছিল। আমরা আমাদের দেশে সেই মন্দার প্রভাব পড়তে দিইনি। দক্ষতার সঙ্গে সব দিক সামাল দিয়েছি। আমরা এখন ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। ৯০ ভাগ উন্নয়ন কাজ নিজস্ব অর্থায়নে করছি। কারও কাছে আমাদের হাত পাততে হয় না।’

অপরাধ বিচিত্রা: পরিনত হয়ে গেছে। এটা শটকার্ট কোটিপতি হওয়ার সহজ ও জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। টিভিতে যখন লাক্স সাবানের বিজ্ঞাপন চোখের সামনে চলে আসে তখন কালো নারী ঐ সাবান ব্যবহার করে বিশ^সুন্দরী হওয়া যথেষ্ট চেষ্টা করে। কিন্তু বাস্তবে লাক্স সাবান ব্যবহার করে কাউকে সুন্দর হতে দেখা গেছে বলে মনে পড়ে না। তবু বছরের পর বছর ধরে লাক্স সাবানের আকর্ষনীয় বিজ্ঞাপন প্রচার হয়ে আসছে, যা বাস্তবতার সাথে কাজের কোন মিল নেই। এটাই হচ্ছে প্রতারনা। অর্থাৎ প্রতারক কোন কিছু এমন ভাবে চোখের সামনে উপস্থাপন করবে যা দেখে অন্য কেউ লোভের বশে নিজের মুল্যবান সম্পদ তার হাতে তুলে দিবে। সংবাদ মাধ্যমের  কল্যানের আমরা বহু ধরনের প্রতারকের সাথে পরিচিত হয়েছি, নিত্যনতুন কৌশলে এসব প্রতারক চক্র নতুন নতুন প্রতারনা নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হচ্ছে। ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিন ও রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি সাহেদের প্রতারনা এখন সবারই জানা। বাস্তবে ডেসটিনির গাছ প্রকল্পের একটি গাছের সন্ধানও কেউ খুজে পায় নাই, অথচ গাছের নামে শুধুমাত্র কাগজ বিক্রি করেই হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রফিকুল আমিন। সাহেদ তো করোনা দুর্যোগ কালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেই বিক্রি করে দিয়েছে। করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে যে যাই বলুক না কেন? এসব প্রতারক কিন্তু একদিনে সৃষ্টি হয় নাই, দেশের বড় সাইজের ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা এদেরকে পেছন থেকে শেল্টার দিয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরীর হাতের পরশে ২০০১ সালে ডেসটিনির পথ চলা সুগম হয়। সাহেদকে প্রতারনা করার সুযোগ দিয়ে কেউ কেউ তো তাদের ভাগ্যেই পরিবর্তন ঘটিয়ে ফুলে ফেপে বটগাছে পরিনত হয়েছেন এমন কথাও প্রচলিত রয়েছে আমাদের জনসমাজে। সাহেদের মতো এমন হাজারো প্রতারক রয়েছে আমাদের চোখের সামনে। যারা রক্ষক নামের কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে দিনের পর দিন এসব প্রতারনা চালিয়ে আসছে। এই যেমন ই-কমার্স খ্যাত অনলাইন বিজনেস ই-ভ্যালি ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। এটা দেখেও না দেখার ভান করছে কর্তৃপক্ষ। যখন সাহেদের মতো ধরা পড়বে তখন অপরাধের খোজে অনুবীক্ষণ যন্ত্র নিয়ে মাঠে নামবে দুশক। আবাসন/প্লট ব্যবসায়ী ভ‚মিদস্যু প্রতারকদের চিত্র তো আরো ভয়াবহ। এদের প্লট আছে-একটা আর বিক্রি করে দিয়েছে এক হাজারটা। কেউ কেউ একজনের জমিতে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে আরেক জনের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। আবার জোড়পূর্বক বালু ভরাট করে খাস জমি, ব্যক্তি মালিকানা জমি সহ খাল ও নদী জায়গা পর্যন্ত দখলে নিয়েছে গেছে। কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে সবুজছায়া গোল্ডেন সিটির আগ্রাসী এমন নদী, খাল ও নিরিহ মানুষের জমি দখলে নেয়ার ভয়ানক চিত্র দেখলেই তা বুঝা যায়। ছাগল চুরির দায়ে গ্রামেরবাড়ী বরিশাল ছেড়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জে আশ্রয় নেয়া সবুজছায়া গ্রæপের চেয়ারম্যান বাশেদ সিমন মাল্টিপারপাসের ফাঁেদ ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নজর দেয় জমি দখলের খেলায়। কেরানীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন আহম্মেদের পূর্নাঙ্গ শেল্টারে সবুজছায়া গোল্ডেন সিটির নামে দখল করে নেয় নদী ও খালে জমি সহ শতশত মানুষের ফসলি জমি। পুলিশের প্রটেকশন নিয়ে জোড়পূর্বক বালু ভরাট করে কৃষকের জমিতে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় প্রশাসন কি ব্যবস্থা নিয়েছে এসব ভ‚মিদস্যুদের বিরুদ্ধে, অবৈধ কর্মকান্ড দেখেও দিনের পর দিন কেন তারা নিরব থেকে যাচ্ছে এধরনের নানা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এবারের প্রতিবেদন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়কের কুচিয়ামোড়া ব্রিজ সংলগ্ন বিদ্যুতের সাব-স্টেশনের পেছনে কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর ইউনিয়নের পাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া ধলেশ^রী নদী পাড় দলখ করে গড়ে উঠেছে কুখ্যাত ভ‚মিদস্যু বাশেদ সিমনের সবুজছায়া গোল্ডেন সিটি আবাসন প্রকল্প। কোন প্রকার আইন কানুনের তোয়াক্কা না করিয়া সরকারী অনুমোদন ছাড়াই শুধুমাত্র কেরানীগঞ্জের গডফাদার উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন আহম্মেদের শেল্টারে অন্যের জমিতে জোড়পুর্বক বালু ভরাট করে দখলে নিয়েছে এই কোম্পানীটি। সরকারের অনুমোদন না নিয়ে এসব কোম্পানী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না। অথচ দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ও চেয়ারম্যান শাহিন আহম্মেদের চোখের সামনে থেকেই দিনে দিনে কৃষকের জমি গ্রাস করেছে ভ‚মিদস্যু বাশেদ সিমন। প্রতারক বাশেদ সিমন আগেই জানতেন কেরানীগঞ্জে একটা দুর্বা ঘাসের সাথে কথা বলতে হলে শাহিন চেয়ারম্যানের অনুমতি লাগে।

তাই শাহিন চেয়ারম্যানের নির্বাচনের সময় তাকে একটি দামি গাড়ি উপহার দিয়ে নিজের রাস্তা পরিষ্কার করে নেন। কারন শাহিন চেয়ারম্যান হাতে থাকলে সাতখুন মাফ। তবে গাড়ি লেনদেনের বিষয়টি শাহিন চেয়ারম্যান নিজের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলে দাবী করলেও কেরানীগঞ্জর অসংখ্য আ‘মীলীগ নেতাকর্মীর স্মৃতির এ্যালবামে তা ভালোভাবেই সাজানো আছে। তাছাড়া সবুজছায়া কোম্পানীর আয়-ব্যয় সংক্রান্ত হিসেবের খাতা অডিট করলেই ৭০/৮০ লক্ষ টাকা মুল্যের প্যাড়াডো গাড়ীটি এখন কোথায় আছে তা জানা যাবে। আর এই ম্যাজিক্যাল কৌশলেই ছাগল চুরি দায়ে নিজ গ্রাম থেকে বিতারিত বরিশালের বাশেদ সিমন কেরানীগঞ্জকেই বেছে নেয় প্রতারনার স্টেডিয়াম হিসেবে।

বাশেদ সিমন ২০১০ সালের দিকে সবুজছায়া মাল্টিপারপাসের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। আর ঐ টাকা দিয়ে গড়ে তোলেন সবুজছায়া মাল্টিপ্যালেস নামের দুটি বহুতল ভবন। আর এই ভবন দুটোর ফ্ল্যাট বিক্রি নামে হাতিয়ে নেয় শত কোটি টাকা। ৫লাখ, ১০ লাখ বা তারও অধিক টাকায় একটি ফ্ল্যাট অন্তত ২৫ জনের কাছে বুকিং দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হয় টাকা। তবে এতেও তার পেট ভরে না। নজর দেন জমি দখলের খেলায়।

মাথার উপর ক্ষমতাশালী কোন দরবেশ বাবার আশীর্বাদ থাকলে অন্যের জমি দখল করা এখন কোন ব্যাপারই না। সবুজছায়ার জমি দখলের চিত্রটা খুবই চিত্রাকর্ষক। প্রকল্প এলাকায় বাশেদ সিমন প্রথমে দুইকাঠা পরিমান ধানের জমি ক্রয় করেন। আর বিশাল আকারে সবুজছায়া গোল্ডেন সিটি আবাসনের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন। আর স্থানীয় টাউট-বাটপারদের দালাল নিযুক্ত করে প্রচার করতে থাকেন এখানে অত্যাধুনিক কোম্পানী প্রতিষ্ঠিত হবে। এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের চাঁকা ঘুরে যাবে।

এতে কোম্পানির প্রতি পাশের জমির মালিকদের নজর আকৃষ্ট হয়। কিছু দিন পড়ে ঐসমস্ত কৃষককে তাদের জমি ভাড়ায় খাটানোর জন্য প্রস্তাব দেয় সবুজছায়ার দালাল চক্র। একটি জমি থেকে একজন কৃষকের বছরে যেখানে ৫/১০ হাজার টাকা ইনকাম হতো সেই জমির জন্য সবুজছায়া বছরে ভাড়া দিতো ২৫/৩০ হাজার টাকা। আর এমন লোভে পড়েই কুষকেরা তাদের জমি সবুজছায়ার কাছে ৫/১০ বছরের জন্য সাইনবোর্ড টানানোর শর্তে ভাড়া দেয়। এভাবেই ভাড়াটে জমিতে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে একটি নির্দিষ্ট এলাকাকে দখলে নেয় সবুজছায়া গোল্ডেন সিটি আবাসন। এতে সাধারন লোকজন খুব সহজেই অনুমান করতে পারে সবুজছায়া একটা মহাভারতীয় কোম্পানী। এখানে প্লট কিনলে লস হবে না।

আর বাশেদ সিমন ঢাকা শহরের আভিজাত্য ভবনে এসিওয়ালা রুমে বসে তৈরি করেন প্রতারনার নীল নকশা। সাইনবোর্ড ঘেরা এলাকাকে কয়েকশ প্লটের মাষ্টারপ্ল্যান বানিয়ে বুকিংয়ের অন্তরালে শুরু হয় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মিশন। আগে এলেই কনার প্লট, সাথে অসম্ভব মুল্য ছাড় এমন সব অফারের মাধ্যমে এক একটি প্লট অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জনের কাছে বুকিং দিয়ে নেয়া হয়েছে টাকা। ভাড়াটে জমিতে সবুজছায়া গোল্ডেন সিটির সব মিলিয়ে দুই শতাধিক প্লট আছে।

যদি সরকারী অনুমোদন নিয়ে প্রকল্প করা হতো তাহলে ঐ পরিমান জমিতে প্লট হতো ৫০টির নিচে। তবে সরকারী অনুমোদন নিতে গেলে একক মালিকানায় একটি সুনিদিষ্ট পরিমান জমি রেকর্ড দাখিল করতে হয়। আর অনুমোদনের আগে এমন প্রকল্প সাজিয়ে প্রচারনা চালানো সহ প্লট বিক্রি করা সম্পূর্ন অবৈধ। তারপরেও স্থানীয় প্রশাসনের সামনেই এসব কার্যক্রম চালিয়ে এসব ভ‚মিদস্যু প্রতারকরা। এভাবে ৫/১০ বছরের জন্য জমি ভাড়া নিয়ে প্লট বানিয়ে তা বুকিং দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সবুজছায়া গ্রæপ। এবার ভাড়াটে জমি দখলের পালা। হয় জোড়জবস্তি, না হয় কৌশলে-এই যেমন কাঠা প্রতি ১০/২০ হাজার টাকা।

সাইনবোর্ড ঘেরা জমিগুলোর ফাঁকে ফাঁেক আরো কিছু জমি এরই মাঝে অল্পদামে কিনেও নেয় সবুজছায়া। কিন্তু ঐ জমিগুলোই এবার বালু ভরাটের পালা। বালু ভরাটের জন্য সীমানা নির্ধারন করে বসানো হয় ড্রেজিং। নিজেদের কেনা জমি ভরাটের অন্তরালে রাঁতের আঁধারে ভরাট করেন ভাড়াটে জমিগুলো। কেউ বাধা দিলে তাকে পুলিশ দিয়ে একশো একশো দৌড়ের উপরে রাখেন প্রতারক বাশেদ সিমন।

জমির মালিক রায়হান বলেন, আমাদের জমিতে জোড় করে বালু ফেলে ভরাট করে রাস্তা নির্মান করেছে সবুজছায়া কোম্পানী। আমরা বাধা দিয়েছিলাম, পরে পুলিশ এনে এখানে বসিয়ে রেখে আমাদের জমিতে বালু ভরাট করেছে। এই এলাকার একজন মহারাজা আছে, যার কথার বাইরে পুলিশ কোন কাজ করে না।

রায়হানের সাথে আরো এক জমির মালিক জানায়, এই এলাকার অনেকের জমিই সবুজছায়া একধরনের ফাঁদে ফেলে কিনেছে। আগেই তারা সাইনবোর্ড বসানোর জন্য জমি ভাড়া নিয়ে কৌশলে বালু ভরাট করে ফেলেছে। এখন তাদের কাছে জমি বিক্রি করা ছাড়া কোন উপায় নেই। তাদের নির্ধারিত মুল্যেই তাদের কাছে জমি বিক্রি করতে হবে। এছাড়া ঐ জমিতে দখল যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। কৌশলে তারা এসব জমিগুলো কব্জা করে রেখেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সবুজছায়া গ্রæপের এক ম্যানেজমেন্ট কর্মকর্তা বলেন, সব মিলিয়ে সবুজছায়া গ্রæপ এপর্যন্ত ৫০ হাজার কোটি টাকা জনগনের নিকট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। এসব টাকার একটি বড় অংশ বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। আর এসবের সত্যতা যাচাই করার জন্য সবুজছায়া গ্রæপের লেনদেন সংক্রান্ত হিসাবের খাতাপত্র অডিট করলেই পাওয়া যাবে। সবুজছায়া কত টাকা মানুষের নিকট থেকে হাতিয়েছে, কত টাকা পরিশোধ করেছে আর কত টাকা বিদেশে পাচার করেছে তার চিত্র ফুটে উঠবে।

সবুজছায়ার প্রতারনায় শেল্টার দেয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জ চেয়ারম্যান শাহীন আহম্মেদ বলেন, আমাকে সবুজছায়া কোম্পানী গাড়ী গিফট করেছে এই কথাটি সত্য নয়। এটা আমার বিরুদ্ধে কামরুলের লোকজন অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি সামনে এমপি ইলেকশন করবো। আমার ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। আমি সবুজছায়ার নিকট থেকে মানুষের কয়েক কোটি টাকা আদায় করে দিয়েছি। আপনার চোখের সামনে সবুজছায়া এমন অপকর্ম কিভাবে করছে, আপনে জনপ্রতিনিধি হয়ে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন এটা আমার দায়িত্ব নয়। এক্ষেত্রে এলাকাবাসীর প্রশ্ন এটা তাহলে কার দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে।

তবে কাকে, কিভাবে, কেন ম্যানেজ করে প্রতারক বাশেদ সিমন এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে আসছে আগামী পর্ব। চলবে…….

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × 2 =