হাইকোর্ট মাজার মসজিদের প্রধান ইমামকে হয়রানি পুলিশের বন্ধু পরিচয় দানকারী মো: শফিকুল ইসলাম বহু অপকর্মের হোতা

0
733

অপরাধ বিচিত্রা: ঢাকার প্রাণকেন্দ্র হাইকোর্টে হযরত শরফউদ্দিন চিশচির মাজার সংলগ্ন মসজিদের প্রধান ইমাম ড.মাওলানা আবদুস সালামের বিরুদ্ধে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতার পরিচয়ে একজন স্বার্থাম্বেসি ব্যক্তি কর্তৃক শাহবাগ থানায় মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দায়ের সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। স্বার্থাম্বেসি ব্যক্তিটি হচ্ছেন মো: শফিকুল ইসলাম, পিতা, মৃত ফিরোজ মিয়া, ঠিকানা: ২৪/এ তোপখানা রোড (গ্রীণ ইস্টার্ণ), শাহবাগ, ঢাকা। বাদির বিরুদ্ধে প্রধান ইমাম এর অভিযোগ হচ্ছে বাদি শফিকুল ইসলাম তার কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কল করে কিছুদিন পর পরই বিনা কারণে চাঁদা দাবি করেন। ইমাম ড. মাওলানা আবদুস সালাম চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। হুমকি দাতা মো: শফিকুল ইসলাম ঢাকা মহানগরির শাহবাগ থানায় একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১১ তারিখ ০৮-০৩-১৬ খ্রি:  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা ১০। ঠুনকো একটি কারণ দেখিয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়।  মামলাটির কোন সাক্ষি না থাকায় এবং তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান ইমাম মামলার দায় হতে অব্যহতি পান। মামলার অব্যহতি সংক্রান্ত আদালতের নকল হাইকোর্ট মাজার কমিটির নিকট দাখিল করে তিনি প্রধান ইমাম হিসেবে তার চাকুরি ফিরে পাওয়ার ন্যাজ্য আবেদন করেন। কিন্তু হাইকোর্ট মাজার কমিটি তার এই আবেদন আমলে নিচ্ছে না। মাজার কমিটি তাকে নিয়োগ দিয়েছিল প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগপত্র দিয়ে। মিথ্যা মামলার দায় হতে অব্যহতির পরও মাজার কমিটি তাকে নিয়োগ না দিয়ে হয়রানি করছে।

অধিকন্ত মাজার প্রাঙ্গনে তার জন্য বরাদ্দকৃত কামরায় রাখা মূল্যবান জিনিসপত্র নিতে বাধা দিচ্ছে। কামরায় তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রি সংক্রান্ত মূল্যবান বই রয়েছে যা তাকে নিতে দিচ্ছে না হাইকোর্ট মাজার প্রশাসন।

এদিকে মামলার বাদি মো: শফিকুল ইসলাম তার পিছে লেগে আছে যে কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করার জন্য। অভিযোগ থেকে জানা গেছে মো: শফিকুল ইসলাম ঢাকা শহরে সারাদিন ঘুড়ে একবার নিজেকে পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচয় দেন আবার পুলিশের বড় কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে আছে বলেও পরিচয় দেন। এভাবে অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে সুবিধা আদায় করাই তার কাজ। তার কোন নিদ্রিষ্ট পেশা আছে কি না তা জানা যায় নাই।

শফিকুল ইসলামের হাত থেকে বাঁচার জন্য ও হাইকোর্ট মাজার প্রশাসনের অবিচার থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য প্রধান ইমাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন অতিক্রম হওয়ার পরও তিনি কোন প্রতিকার পচ্ছেন না। প্রধান ইমাম কর্তৃক দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায় পুলিশের সোর্স বলে পরিচয় দানকারী মো: শফিকুল ইমলাম প্রধান ইমামকে একবার চাঁদার জন্য ভয় দেখান, অপরদিকে এই মসজিদের সাবেক খতিব মাও: নুরুল ইসলাম ফারুকির মত প্রাণনাশ বা গুম করার হুমকি দেন। আবার থানায় বিভিন্ন পেন্ডিং মামলায় জড়ানোর হুমকিও দিচ্ছেন।

তিনি পুলিশের বড় কর্তাদের সাথে ছবি তুলে এসব ছবি দেখিয়ে মানুষের কাছে অন্যায় প্রভাব খাটান ও ফায়দা লুটেন। দুদকে ও প্রশাসনের নিকট দায়ের করা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থেকে আরও জানা গেছে তিনি অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে অনেক সম্পদ গড়ে তোলেন। ২৪/এ, তোপখানা রোডে (গ্রীণ ইস্টার্ন) শাহবাগ ঠিকানায় তার কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট রয়েছে। নিজস্ব ব্যবহারের জন্য একাধিক গাড়ি রয়েছে।

তাছাড়া নামে ও বেনামে ঢাকা ও তার আশেপাশে একাধিক প্লট, ফ্ল্যাট ও প্রচুর অবৈধ সম্পদ রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করলে ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এই ব্যাপারে মো: শফিকুল ইসলামের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কৌশলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান ও নিজেকে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি  হিসেবে জাহির করেন।

প্রধান ইমাম এর নামে দায়ের করা মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে কেন পুণ: নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না এবং কর্মরত থাকা অবস্থায় তার কামরায় রক্ষিত মূল্যবান জিনিসপত্র কেন দেওয়া হচ্ছে না এই ব্যাপারে মাজার কমিটির দায়িত্বে থাকা মো: আবদুর রহমান, ডেপুটি রেজিষ্ট্রার (সার্বিক, আদি ও অধিক্ষেত্র) হাইকোর্ট বিভাগ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার দপ্তরে গেলে তিনি এই প্রতিবেদকের সাথে ব্যস্ততার কথা বলে দেখা করেন নাই।\

  মো: শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হাইকোর্ট মাজার মসজিদের আরও অনেক কর্মচারীকে  মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের সোর্স পরিচয় দানকারী শফিকুল ইসলামের অন্যায় প্রভাব ও প্রধান ইমাম মাও. ড. আবদুস সালামের ওপর মাজার কমিটির অবিচারের বিষয়ে অপরাধ বিচিত্রার তদন্ত অব্যহত আছে। আগামি সংখ্যায় থাকছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

6 + 7 =