সরকারি কিংবা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তিন থেকে চার বছরের মধ্যেই রেসিং কারটিকে যাত্রী পরিবহন যোগ্য একটি কারে রূপান্তর করতে পারবেন খবর জানানোতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একদল শিক্ষার্থী পাট দিয়ে রেসিং কার তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এর জন্য কারটির সম্মুখভাগকে আরও আধুনিক করতে হবে। পাশাপাশি তারা এর বাণিজ্যিক উৎপাদনের পরিকল্পনা করছেন। এদিকে আগামী বছর লন্ডনে সশীরে “রেসিং” এ অংশ নিতে ইতোমধ্যে আমন্ত্রণও পেয়েছেন তারা। তাই এ রেসিং কারটির উন্নয়নে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন “কিলোফ্লাইট টিম”। কিলোফ্লাইট টিমের অধিনায়ক এরফান ইসলাম বলেন, “আগামী বছর লন্ডনে কার রেসিং প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা এখন এটিকে আরও উন্নত করার কাজ করছি। হাতে সময় কম। তাই এ কাজেই মনোনিবেশ করতে হচ্ছে।
আপাতত সেটি নিয়েই ব্যস্ত। তিনি বলেন, “লন্ডন যাওয়ার একটা বড় ধরনের খরচও আছে। আর্থিক এ বিষয়টির সমাধান হলে কিলোফ্লাইট টিমের সকলেই যেতে পারব। নতুবা রেসিংয়ে বিজয়ী হতে প্রয়োজনীয় কয়েকজনকে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, “রেসিং কার তৈরি করা সম্ভব হয়েছে মানে এটাকে রুপান্তর করে যাত্রী পরিবহনযোগ্য কারে পরিণত করা সম্ভব। সে জন্য ৩ থেকে ৪ বছর সময় লাগবে। আর সহায়তা পেলে এটা নিয়ে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়াও সহজ হবে।
কিলোফ্লাইট টিমের সে ধরনের চিন্তা ও পরিকল্পনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, কুয়েট এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একদল শিক্ষার্থী পাট ব্যবহার করে “রেসিং কার” তৈরি করেছেন। নিজস্ব প্রচেষ্টায় ফর্মুলা কারের আদলে তৈরি করা কারের নাম দিয়েছেন “কিলোফ্লাইট আলফা”। এ কার তৈরিকারী ওই শিক্ষার্থীদের গ্রুপের নামও “কিলোফ্লাইট”। ৩ বছরের চেষ্টায় ২০২১ সালের বছরের জুলাই মাসে কারটি তৈরি শেষ হয়।
এ কারটির মূল বডিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবেশ বান্ধব পাট দিয়ে তৈরি। ফলে কুয়েট শিক্ষার্থীরা এর মাধ্যমে পাটশিল্পকে নতুন উচ্চতায় তুলে ধরছেন। এর বিশেষত্ব হলো সম্পূর্ণ বডি জুট ফাইবার দিয়ে তৈরি। এতে উন্নত ইঞ্জিন, গিয়ার, ব্রেক, মিটার রয়েছে। চালকের জন্য রয়েছে সুরক্ষা ব্যবস্থা। গাড়িটি ঘণ্টায় ১৬২ কিলোমিটার বেগে চলতে সক্ষম।