কুয়াকাটায় ভাসমান পতিতা, বিড়ম্বনায় পর্যটকরা

0
1379

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভাসমান পতিতাদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পর্যটকসহ সৈকতের পর্যটনমুখী ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা। সন্ধ্যা নামলেই ভাসমান পতিতাদের বাজার বসে। সন্ধ্যার পর পরই সৈকতে ঘুরে ঘুরে খদ্দের যোগাড়ে নেমে পড়ে এসব পতিতারা। সৈকতে ভ্রমণে আসা নানা বয়সী পর্যটক ও স্থানীয়রা এদের খদ্দের। সৈকত থেকে খদ্দের নিয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে ওঠে ।  অনেক পতিতারা ঝাউবাগান কিংবা লেম্বুর বনে খদ্দের নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে নিয়ে গিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। আবাসিক হোটেলে চুক্তি ভিত্তিক রাত্রি যাপনসহ স্বল্প সময়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় পর্যটকদের। কতিপয় আবাসিক হোটেল ম্যানেজার,বয়,মটর বাইক চালক, সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা এদের দালাল হিসেবে কাজ করে থাকে। এসব পতিতারা খদ্দেরদের ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সরবরাহ সহ মাদক কারবারিদের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। অভিযোগ রয়েছে টাকা পয়সা ওয়ালা খদ্দের পেলেই নানা প্রলোভনে মাদক সেবনে উৎসাহিত করে। টাকা পয়সা নিয়ে পান থেকে চুন খসলে পুলিশকে ফোন দিয়ে মোটা অংকের টাকায় রফাদফা করে। আবার কোন কোন পতিতারা টাকা পয়সা ওয়ালা খদ্দেরদের আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। এরপর এরা কথিত সাংবাদিক এবং সাজানো প্রশাসনের লোক দিয়ে হোটেল কক্ষে আটকে রেখে টাকার লেনদেন করা হয়। যেসকল খদ্দের টাকা দিতে চায় না তাদের কে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়া হয়। অনেক খদ্দের ও পর্যটকরা মান সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু না বলে টাকা পয়সা দিয়ে সটকে পরে। অনেক সময়  আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে নিজদের স্বার্থ হাসিল করে এমন অভিযোগ রয়েছে  এসব পতিতাদের বিরুদ্ধে। কুয়াকাটা আবাসিক হোটেলে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। অপরদিকে  স্থানীয় যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাপিত হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সৈকতের জিরো পয়েন্টের পূর্ব পাশে ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্সের সামনেই ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন এলাকায় প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত এক ডজনেরও বেশি পতিতাদের আনাগোনা দেখা গেছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের সামনেই এসব পতিতারা খদ্দের যোগাড় করে থাকে। ট্যুরিস্ট পুলিশের এমন নমনীয় ভূমিকায় হতাশ সাধারণ পর্যটকসহ স্থানীয়রা।সৈকতের ছাতা বেঞ্চ ব্যবসায়ী মোঃ নূর হোসেন আকাশ বলেন,সন্ধ্যা নামলেই এসব পতিতারা এসে  ব্যাঞ্চে বসে। ছাতা চেয়ারে বসে থাকা বিভিন্ন বয়সের পর্যটকদের নানা অঙ্গ ভঙ্গির মাধ্যমে আকৃষ্ট করে থাকে। আকাশ আরও বলেন, অনেক উঠতি বয়সের পর্যটকরা ছাতার নিচে বসে থাকা কোন যুবতী পর্যটকদের পতিতা ভেবে প্রস্তাব দেয়। এ নিয়ে কোন কোন সময় বিড়ম্বায় পরতে হয়। এসব পতিতাদের ছাতা চেয়ার থেকে উঠে যেতে বললে উল্টো পতিতা ও তাদের দালালদের রোসানলে পরতে হয়। এমনকি নানা অশ্লীল গালি গালাজ ও হুমকি দেয়া হচ্ছে। একই কথা জানিয়েছেন সৈকতের অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আঃ খালেক জানান, সৈকতে ভাসমান পতিতাদের আনাগোনার বিষয় তার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × four =