চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ যানবাহনের ছড়াছড়ি

0
883

বিশেষ প্রতিনিধিঃ চট্রগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে রোডে রাজত্ব করেছে  নিষিদ্ধ তিন চাকার যানবাহন। লেগুনা, ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা, টলি(নছিমন) ভটভটি।এসব যান চলাচলের কারনে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা, হচ্ছে যানজট  হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশদের কোন ভূমিকা নেই এই যান গুলোর বিরুদ্ধে। এইদিকেঃ জানা যায় গত ৭ সেপ্টেম্বর চুনতি জাঙ্গালিয়া নামক স্হানে লেগুনার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হন।এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর একইস্থানে যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী, শিশুসহ ৪ জন আহত হয়েছিল। গত ৮ই আগস্ট আমিরাবাদ কিল্লার আন্দর এলাকায় মালবাহী ট্রাক ও টলি মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনাস্হলে টলি চালক জসিম উদ্দিনের একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । গত ৩ আগস্ট গোলাম নবী হাজীপাড়ার এলাকায় মালবাহী ট্রাক একটি ব্যাটারি চালিত রিক্সাকে বাচাঁতে গিয়ে রাস্তার পাশে  দাড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে ধাক্কা দিলে,ঘটনাস্হলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ নামের ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হয় । চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এভাবে প্রতিনিয়ত চলছে  অবৈধ যানবাহন ও লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভার দের কারণে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা,, খালি হচ্ছে অনেক মায়ের কোল নিভে যাচ্ছে অনেক জীবনের আলো।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে সড়কে নিষিদ্ধ্য যানবাহন চালকদের সাথে, নিষিদ্ধ গাড়ি চলাচলের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তারা বলে, তাদের কোনো অসুবিধা হয় না আমাদের উপরের মহলের কিছু লোকের সাথে হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশদের সাথে সংযোগ আছে এরাই প্রশাসন ম্যানেজ করেন।

সিএনজি লেগুনা চালকরা আরও বলেন….  মাঝেমধ্যে লোহাগাড়া ট্রাফিক পুলিশ কেরানীহাট ট্রাফিক পুলিশ ও দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশ সিএনজি সহ আমাদের আটক করে নিয়ে যায়। তখন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে আবার সিএনজি ছেড়ে দেয়, আর না হয় টাকা দিতে একটু দেরী হলে বিভিন্ন ধরনের মামলা দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায়।

লোহাগাড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও কেরানীহাট ট্রাফিক পুলিশ বাক্স  এর সামনে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল ও যাত্রী উঠানামা হলেও,,  লাইসেন্স বিহীন চালক ও গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়না লোহাগাড়া ট্রাফিক পুলিশ ও কেরানীহাট ট্রাফিক পুলিশের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সিএনজি ও লেগুনা চালক  জানায় হাইওয়ে সড়কে গাড়ি চালানোর জন্য আমরা প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে দিই দালালদের,, তাদেরকে টাকা না দিলে হাইওয়ে পুলিশ ট্রাফিক পুলিশ আমাদেরকে মামলা দে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লোহাগাড়া উপজেলায় ট্রাফিক পুলিশের বক্স এর পাশে এবং অল্প কিছু দূরেই  গড়ে উঠেছে তিন চাকার যানবাহন সিএনজি ও চার চাকার লেগুনা স্টেশন। ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ দেখেও যেন না দেখার বানকরে থাকে। এই ষ্টেশনের গাড়িগুলোর যেমন নেই কোন নিবন্ধন তেমনি চালকদের নেই কোন লাইসেন্স।

হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে লোহাগাড়া স্টেশন থেকে প্রতিদিন লেগুনা ও তিন চাকার যানবাহনগুলো চট্টগ্রামমুখী সড়কে লোহাগাড়া থেকে পদুয়া-ঠাকুরদিঘী- কেরানীহাট হয়ে দোহাজারী ষ্টেশন পর্যন্ত এবং কক্সবাজারমুখী সড়কের আধুনগর-চুনতি- আজিজনগর হয়ে চকরিয়া পর্যন্ত চলাচল করছে।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রব বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। মহাসড়কের, থ্রী-হুইলার,চার চাকার লেগুনা,ট্রলি,ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ যানবাহন যাতে মহাসড়কে চলতে না পারে সেদিকে খেয়াল রেখে আমরা প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করছি।

লোহাগাড়া  ট্রাফিক পুলিশ বক্সের টিআই স্নেহাংশু বিকাশের সাথে এই বিষয়ে  জানতে চাইলে,, তিনি বলেন হাইওয়ের দায়িত্ব আমাদের না এটা হাইওয়ের দায়িত্ব। অটোরিক্সার কথা জানালে তিনি বলেন এগুলোর কোনো কাগজপত্র নাই আমরা কি করব।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × 4 =