মোঃ সেলিম উদ্দীন: দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের সোলতান মৌলভীপাড়ার মোরশেদা আকতার, তাসমিন আকতার ও আসমাউল হুসনা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তিন বোন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীত্বকে জয় করে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের অদম্য ইচ্ছে শক্তি দিয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শব্দটি তাদের কাছে হার মানতে বাধ্য হচ্ছে। বর্তমানে তাসমিন ও আসমা হাজেরা তজু কলেজে একাদশ শ্রেণিতে এবং মোরশেদা চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজে বিএ দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়রত। স্থানীয় আবদুল মাবুদ বলেন, তাদের বাবা নুরুল আমিন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ও কোরআন হাফেজ ছিলেন। ২০১০ সালের ২৮ মার্চ তারিখে নিখোঁজ হয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত কোন খোঁজ পায়নি তার পরিবার।
মোরশেদা আকতার জানান, দীর্ঘ তিন বছর বাবা নিখোঁজ, মায়ের গলায় টিউমার ও বাসস্থানের টিন নষ্ট হয়ে পানি পড়ছে। টাকার অভাবে তাদের লেখাপড়া খরচ, মায়ের চিকিৎসা ও থাকার ঘরটি মেরামত করতে পারছে না। শতকূল পরিস্থিতির মোকাবেলা করে লেখাপড়া শেষ করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে এমনটি প্রত্যাশা তাদের।
তাসমিন ও আসমা বলেন, আমরা তিন বোন চট্টগ্রাম শহরে থেকে পড়াশোনা করছি, আমার অসুস্থ মা ফরিদা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করে আমাদের লেখাপড়া খরচ যোগান দিতে চেষ্টা করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন জনু বলেন, চুনতি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি এবং সমাজের বিত্তবানদের মেধাবী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরিবারের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি। তারা যে প্রতিকূল অবস্থায়ও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে তা সমাজের জন্য শিক্ষনীয় হয়ে থাকবে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান হাবীব জিতু বলেন, মেধাবী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তিন বোনের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।