স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর মিরপুর এলাকার কুখ্যাত দখলবাজ আবু জাহিদ জোয়ার্দারের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মিরপুর মডেল থানাধীন মার্লিন-৩ ভবনের ক্রয়কৃত ফ্ল্যাটের নিরহ মালিকরা। হোল্ডিং নং-৮৯-এ/৩ বড়বাগ, মিরপুর-২। এ যেন এক দখলবাজের রাজত্ব। গত-২০/০৯/২০১৯ইং সালে নির্মানধীন ভবন থেকে তাকে উচ্ছেদ করে একটি লিখিত মুচলেকা গ্রহন করেন যে-রাজউকের চুড়ান্ত নিস্পক্তি ব্যতীত নির্মান, বসবাস ও ব্যবহার করবেন না। করলে তা বে-আইনী বলে গণ্য হবে। তা না মেনে আবু জাহিদ জোয়ার্দার ৬৫০ বর্গ ফুটের একটি ফ্ল্যাটে কাজ শুরু করেন। ফ্ল্যাট ক্রয়কৃতদের থেকে জানা যায় রোকেয়া বেগমের কাছ থেকে আম-মোক্তার নামা নিয়েছিলেন মো: সাইফুল ইসলাম। তবে নেওয়ার পর থেকে আর রোকেয়া বেগমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি সে বেঁচে আছে না কি মারা গেছেন। তার কাছ থেকে ফ্ল্যাট ক্রয় করেন প্রায় ২০জন গ্রাহক তার মধ্যে জাহিদ জোয়ার্দারও একজন। সে কোন এক অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে “মার্লিন-৩” ভবন নামকরন করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে যাচ্ছে।
গত-০১/০৮/২১ইং তারিখে জাহিদ জোয়ার্দার মিরপুর মডেল থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যেখানে মো: ফারুখ হোসেনকে আসামি করে চাঁদাবাজি মামলা করেন।
এ বিষয়ে ফারুক হোসেন অপরাধ বিচিত্রা’কে বলেন, আমি এ বাড়ীর থাই এর কাজ করছি আমার কোন অপরাধ নেই। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। তাছাড়া মামলাটা যেন এক অদৃশ্য শক্তির বলে চলছে ! ১ মাসের মধ্যে আমার বিরুদ্ধে চার্জশীটও দিয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অন্যদিকে এ মামলার আসামি জাকির হোসেনের মেঝো ভাই মো: জাহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ নানা রকম ভয়-ভীতি প্রদর্শন করার কারণে মানসিচাপে মারা যান এ নিয়ে মিরপুর থানায় একটি অপমৃত্যু জিডি করেন জাকির হোসেন যার নং (১৯৫৬)।
রাজউক কর্তৃক চ‚ড়ান্ত নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে বাধাঁ দিলে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। তবে ফ্ল্যাটটির তিনটি দরজা লোহার এঙ্গেল দিয়ে আটকে রাখা হয় যা মার্লিন এক ভবনের সিসিটিবির মূল ফটকে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী ২০১৩ সালের পর নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কিন্ত ২০১৯ সালে প্রতারক জাহিদ জোয়ার্দার মার্লিন-৩ ভবনের অবৈধ গ্যাস সংযোগের জন্য ফ্ল্যাট মালিকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন প্রায় দুইলক্ষাধিক টাকা। সরেজমিনে দেখা যায়, জাহিদ জোয়ার্দার অবৈধভাবে পাশের অন্য একটি বাড়ী থেকে গ্যাসের পাইপ টেনে মার্লিন-৩ ভবনে গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করেন। মো: জাকির হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় এই চোরাই গ্যাস সংযোগের মূল সহযোগী তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম।
এই চোরাই গ্যাস সংযোগের ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলামকে অবহিত করলেও কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এ বিষয়ে জাকির হোসেন অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন, আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হয়রানি করেন জাহিদ জোয়ার্দার। তাছাড়া তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে আমাকে আরোও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে মার্লিন-৩ ভবনের সহ-সভাপতি হোসনে আরা অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন, জাহিদ জোয়ার্দারসহ কয়েকজন মিলে আমাকে প্রথমে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে অস্বীকার করলে আমি আমার পরিবারের পরিচয় দিয়ে ফ্ল্যাটে উঠলে আমাকে বিশ দিন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়নি সাইফুল ইসলাম ও জাহিদ জোয়ার্দার। অনেক হয়রানী স্বীকারের পর আমি বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমার পরিবার নিয়ে এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভ‚গছি।
এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) বলেন, আমার জানা নেই এর আগের ওসি সাহেব হয়তো জানতো আপনি তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন।