আপনার কাজে শয়তান কখন জয়ী হয়

0
478

যখন আপনি অভিমান করে রাগ করে সালাত ত্যাগ করেন, যখন আপনি জেদ করে বলেন যে, ধূর সালাত আদায় করে কি পেয়েছি আর কি ই বা পাবো!

যখন আপনি অনবরত চেষ্টা করতে করতে কাংখিত গন্তব্যে পৌছাতে পারেন না আর হতাশ হয়ে যান!

যখন কোন কিছুতে বিফল হন এবং আশা ছেড়ে দেন! নিরাশ হয়ে চেষ্টা করা ত্যাগ করেন!

যখন একের পর এক গুনাহ করতে থাকেন এবং মনে তাওবাহ করার ইচ্ছেই জাগ্রত হয় না!

যখন অন্তর থেকে নেক আমলের প্রতি বিতৃষ্ণা অনুভূত হয়!

যখন মনে অসম্ভব হায় হুতাশের সৃষ্টি হয়!

যখন মনে অসৎ চিন্তার উদয় হয় এবং অসৎ পথে পা বাড়ান!

যখন রেগে যান, ক্রোধান্বিত হয়ে যান! যখন গালি-গালাজ করেন, খারাপ আচরণ করেন!

যখন অপর মুসলিমের উপর যুলুম করেন!

যখন চাওয়ার পরেও তা না পেয়ে অধৈর্য্য হয়ে যান এবং চাওয়া বন্ধ করে দেন!

অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে, অনেক কারন দেখানো সম্ভব। যখন ভালো মন্দ বোঝার পরেও মন্দের দিকে অগ্রসর হবেন ঠিক তখনই শয়তান জয়ী হয়ে যায়!

অপরদিকে, নেক আমল করার পরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে শয়তান জয়ী হয়ে যায়! অবাক হচ্ছেন?

যখন, লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে এবং সামাজিক অবস্থা-অবস্থানের উন্নতির জন্য নেক আমল করেন তখন!

যখন নেক আমল করার পাশাপাশি সেসব সম্পর্কে আশেপাশের কাউকে কাউকে বলে বেড়ান!

যখন নেক আমল করার পরে মনে অহংকার সৃষ্টি হয়!

যখন হালাল-হারাম, ভালো-খারাপ বোঝার পরও আপনি মিথ্যে কে ভুল কে আঁকড়ে ধরে থাকেন!

যখন আপনি মানুষের মুখাপেক্ষী হন! মানুষের কাছে নিজ প্রয়োজনের কথা প্রকাশ করে দেন, মানুষের কাছে সাহায্য চান অথচ তারাও আপনার মতোই আল্লাহর সৃষ্ট মানুষ!

প্রতিটি কথা প্রতিটি কর্ম লিপিবদ্ধ হচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দেয়া হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে, নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, পথ বাতলে দেয়া হয়েছে, শাস্তির ভয়াবহতা যেমন বলা হয়েছে তেমনি পুরষ্কার সম্পর্কে ও স্পষ্ট বলা হয়েছে, তবুও কি আমরা বুঝব না!

হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের তাক্ওয়া অবলম্বন কর এবং ভয় কর সে দিনকে,   যখন কোন পিতা তার সন্তানের পক্ষ থেকে কিছু আদায় করবে না, অনুরূপ কোন সন্তান সেও তার পক্ষ থেকে আদায়কারী হবে না।   নিশ্চয় আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য ; কাজেই দুনিয়ার জীবন যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রতারিত না করে এবং সে প্রবঞ্চক যেন তোমাদেরকে কিছুতেই আল্লাহ্ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে। (সূরা লুকমান, ৩৩ নং আয়াত)

আর দুনিয়ার জীবন তো খেল –তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয় এবং যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য আখেরাতের আবাসই উত্তম; অতএব, তোমারা কি অনুধাবন কর না? (সূরা আল-আন’আম, ৩২ নং আয়াত)

হায় আফসোস! আমরা কতটা গাফেল!!!

أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

“আউযুবিল্লাহি মিনাশশাইতানির রাজীম”

আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই বিতাড়িত শয়তান থেকে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two − 1 =