পটুয়াখালীতে যৌতুকের বলি গৃহবধূ- স্বামী-শশুরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

0
384

পটুয়াখালী উপকুলীয় প্রতিনিধি: কলাপাড়ায় বিয়ের সাত মাস না পেরোতেই যৌতুকের নির্মম বলি কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া। গৃহবধূ সুমাইয়াকে যৌতুকের দাবিতে অমানুষিক নির্যাতন চালায় স্বামী শশুর ও ননদ মিলে।

পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গলায় রশি লাগিয়ে ঘরের দোতলার রুয়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয় ওই গৃহবধূকে । কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল 

ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এমন অভিযোগ এনে গৃহবধূ  সুমাইয়ার মা খাদিজা বেগম একটি হতো মামলা দায়ের করে । আদালত কলাপাড়া থানায় করা জিডির 

কাগজপত্র তলব করেছে। এমনকি থানায় হত্যার অভিযোগ না নেয়ার অভিযোগও করা 

হয়েছে। মামলায় সুমাইয়ার স্বামী মাসুদ চৌকিদারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও শ্বশুর-ননদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নিহত সুমাইয়ার পারিবারিক ও মামলা সূত্রে জানা যায়, কলেজ ছাত্রী থাকাকালে 

সাত মাস আগে লালুয়ার সুমাইয়ার সঙ্গে ধুলাসারের নয়াকাটা গ্রামের মাসুদ চৌকিদারের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় প্রায় দুই লাখ টাকা, মালামাল ও দুই ভড়ি স্বর্ণালঙ্কার দেয় সুমাইয়ার পরিবার। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই মাসুদ তাঁকে 

দেয়া স্বর্ণের চেইন বন্ধক রাখে। এরপরে গরু-মহিষ কেনাবেচার ব্যবসার জন্য সুমাইয়ার স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে তিন লাখ টাকা দিতে চাপ দেয়। এনিয়ে প্রায় দিনই সুমাইয়াকে গালিগালাজ করা হতো। এমনকি ভরণ পোষণ বন্ধ 

করে দেয় বলে সুমাইয়ার মা খাদিজা বেগম মামলায় উল্লেখ করেছে। সুমাইয়ার মা গনমাধ্যমকে জানায় , যেভাবে রশি গলায় বেধে আড়া ও রুয়ার সঙ্গে বেঁধে রাখা অবস্থায় পাওয়া গেছে, তা কোন মেয়ে তো দুরের কথা কোন পুরুষ লোকের 

একার পক্ষে ওই ভাবে বাঁধা সম্ভব নয়। গরু-মহিষ কেনা-বেচার ব্যবসার জন্য গহনা বিক্রি করে তিন লাখ টাকা না দেয়ায় এমনটি করা হয়েছে। বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা দেয়ার প্রস্তাবনা দেয় সুমাইয়ার স্বামীর 

পরিবারের লোকজন।উল্লেখ্য, ২৭ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে মহিপুর থানা পুলিশ নয়াকাটা গ্রামে সুমাইয়ার স্বামীর ঘরের দোতলা থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 2 =