ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের শাহপরান থানা সভাপতি মঈন উদ্দীনকে অপহরণের চেস্টা

0
1831

 স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের শাহপরান থানা সভাপতি মঈন উদ্দীনকে সন্ত্রাসীরা অপহরণের চেস্টা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত ১৭ আগস্ট সিলেটের শাহপরান মাজার তদন্ত কেন্দ্র সংলগ্ন কবরস্থান এলাকায়। এ ঘটনায় সভাপতি মঈন উদ্দীন শাহপরান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য সুরমা গেইট ফাড়ী ইনচার্জ সারোয়ার আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ফাড়ী ইনচার্জ সারোয়ার আহমেদ এর নিকট জানতে চাইলে, তিনি বলেন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগে জানা গেছে, শাহপরান থানা এলাকার শেখ জমসিদের সাথে বিবাদি কয়েছ মিয়ার বিরোধ চলছিল। ঘটনাটি মিমাংসার জন্য ১৭ আগস্ট বিকালে দিন ধার্য্য ছিল। জানা গেছে, উক্ত শালিসে থাকার জন্য তদন্ত কেন্দ্রের ভিট পুলিশ এ এস আই কামাল ও মাছুম চৌধুরী ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের শাহপরান থানা সভাপতি মঈন উদ্দীনকে আহবান জানান। যার প্রেক্ষিতে তিনি শালিসে উপস্থিত থাকেন। শালিসে তিনি বিবাদি কয়েছ মিয়ার বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেন। ওই সময় কয়েছ মিয়া মঈন উদ্দীনকে ধমক দেয়। তখন এ এস আই কামাল বিবাদী কয়েছ মিয়াকে সতর্ক করেন। শালিস শেষে মঈন উদ্দীন বাসায় ফিরে আসার সময় সন্ত্রাসী কয়েছ মিয়া ও তার দলবল তাকে মারধর করে সিএনজিতে তুলে নেয়ার চেস্টা করে। ওই সময় শেখ আব্দুর রহিম, শেখ জমসিদ আলী, মানিক মিয়া, তাজুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা মঈন উদ্দীনকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করেন। ৷

প্রকাশ, বিগত ২০১৮ সালে সিলেটের খাদিমনগর চা বাগানের বহর কলোনীর মধ্যে কয়েছ মিয়া অবৈধ ভাবে টিলা কেটে ঘর ও দোকান নির্মাণ করে। শুধু তাই নয়, সেখানে মাদকের আড্ডাও গড়ে তুলে পরিবেশ নষ্ট কয়ায় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের শাহপরান থানা সভাপতি মঈন উদ্দীন প্রতিবাদ করেন। যার ফলে কয়েছ মিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী বিগত ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবরে মঈন উদ্দীনকে প্রচন্ড মারধোর করে টলা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তখন ওই এলাকার মকবুল মিয়ার ছেলে তানিম তাকে উদ্ধার করেন।

এই ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। এ ব্যাপারে মঈন উদ্দীন পরের দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু থানা পুলিশ ঘটনাটি আমলে না নেওয়ায় সন্ত্রাসী কয়েছ মিয়ার সাহস বেড়ে যাওয়ায় পূণরায় এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে মঈন উদ্দীনের অভিযোগ। এ ব্যাপারে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।৷

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × three =