রাজাকারের বাড়িতে তদন্ত কর্মকর্তা দাওয়াত পালন করে, কপালে তিলক পড়ে সাধু বেশ ধরে ??

0
440

তারাগঞ্জের আশির্বাদ, আমি নুর মোহাম্মদ বদরগঞ্জ। গুরুর বৈঠা উলকা বেগে হাতে ধরে ভুমিদস্যু, চাদাবাজ, মাদক, প্রতারক ও দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আপশহীন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্শন, নীলফামারী জেলা, কিশোরগঞ্জ উপজেলা, ৪নং বাহাগিলী ইউনিয়ন, ৯নং ওয়ার্ড, বসুনিয়া পাড়ার বদ্ধ ভুমিতে বংশিয়, তালিকাভুক্ত রাজাকার দলপতি আঃ মান্নান এর ১৯৭১ইং সালে পৈশাচিকতা, বর্বরতা, নিশ^ংশ গনহত্যা, অগ্নিসংযোগ, গনধর্ষন, লুন্ঠন, মুক্তিযোদ্ধাদের ধরিয়ে দেওয়া ও এলাকায় রাজাকার, আরবদর, আলসামস গঠন করে সম্পত্তি দখল, চুরি-ডাকাতির মতো ঘৃন্য অপকর্মকান্ডে লিপ্ত থাকা কুক্ষাত রাজাকার আঃ মান্নান এর বিস্তারিত অপরাধ বিচিত্রার অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত “বেড়ায় যদি ক্ষেত খেয়ে যায়”ইহা আমার দৃষ্টিনন্দন হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছর কিশোরগঞ্জ বাসী রাজাকার আঃ মান্নান এর বিভিন্নভাবে বিচার দাবি করিয়াও নিরাশ হয়েছে। বাহাগিলী ইউনিয়ন এর সাবেক সদস্য মোবারক আলী গত ২বছর ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ দেশের বিশেষ ২৪ স্থানে রাজাকার আঃ মান্নান এর বিচার ও তার নামের তালিকা মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে সংরক্ষনের আবেদন করেন। পুলিশ হেড কোয়াটার ঢাকা আই,জি,পি কতৃক আবেদনের বিষয় তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ সুপার নীলফামারীকে নির্দেশ দেন বলে জানা যায়।

অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানে পুলিশ সুপার নীলফামারী মহাদয় অফিসার ইনচার্জ কিশোরগঞ্জ থানাকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিলে গত ২৯-০৬-২০২০ইং এস,আই আঃ ওয়াহাব মোট ৪জন স্বজনহারা ও প্রত্যক্ষ দর্শির স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন। ১/ হবিবর রহমান, ২/ ইউ,পি সদস্য মোরাদ হোসেন, ৩/ আঃ রহমান, ৪/বাবুল হোসেন। গত ৩১-০৩-২০২১ইং কিশোরগঞ্জ স্বাধীনতার ৫০ বছরেও অরক্ষিত বসুনিয়াপাড়ার বদ্ধভুমি।

৪নং বাহাগিলী ইউ,পি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান (দুলু) শাহ প্রতিদিনের বার্তা দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের মাধ্যমে রাজাকার আঃ মান্নান এর বর্বরতার শিকার করেন। ইহা ছাড়াও দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলো প্রকাশ অব্যহত রেখেছেন।

গত ০৮-০৪-২০২১ইং ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) নীলফামারী রাজাকার আঃ মান্নান এর বাড়িতে আসেন এবং রাজাকারের বাহির উঠানে বসে তার ছোট ভাইদের স্বাক্ষ্য গ্রহনের মাধ্যমে অভিযোগ কারী মোবারক আলীর বিরুদ্ধে সর্গীয় নীলা মাতাশ্রী দেবী চন্ডির আবির্ভাব ঘটায়।

স্বাক্ষী ১/ আঃ মালেক ওরফে নুলু, ২/ আঃ রহিম ওরফে সুলু, ৩/ অলিয়ার রহমান সকলের পিতা মৃত রাজাকার আবেদ হাজী, ৪/ রফিকুল পিতা মৃত রাজাকার চাটি মামুদ।

গত ১৪-০৪-২০২১ইং অভিযোগকারীর পক্ষে সার্কেল সাক্ষী গ্রহন করেন। ১/ মোবারক আলী, ২/ মোছাঃ ওমেদা খাতুন। এলাকাবাসী অপরাধ বিচিত্রাকে জানায় গত ২৫-০৬-২০২১ইং তাং রাজাকার আঃ মান্নান এর নাতির খাতনার অনুষ্ঠানে মাইক্রবাসে চেপে দাওয়াত পালন করেছেন এই দায়িত্বশীল তদন্ত কর্মকর্তা। উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ বিষয়টি তদন্তের ভার উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে দিলে, রাজাকার আঃ মান্নান এর যোগাযোগে তিনি সাধু বেশ ধরে, কপালে তিলক পড়ে এযাবত কোনো তদন্ত বা তদন্তের প্রতিবেদন দেন নাই বলে সুত্রে জানা যায়। এলাকাবাসী বলেন, এই কুক্ষাত রাজাকার আঃ মান্নান এর এক ছেলে বি,জে,বিতে, অপর এক ছেলে আর্মিতে, ছেলের বউ পরিবার পরিকল্পনায় সরকারী চাকরীতে কিভাবে কর্মরত থাকিতে পারেন।

অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কিশোরগঞ্জ থানা কমান্ড, গত ২৩-০৩-২০১৭ইং তাং রাজাকার তালিকায় আঃ মান্নান এর ক্রমিক নং ৮১তে প্রকাশ করেন। তার পিতা মৃত রাজাকার আবেদ হাজী এর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে সংরক্ষিত যোদ্ধাপরাধী তালিকায় ক্রমিক নং ৭৪২ তার জেঠা রাজাকার চাঠি ওরফে ছবির তালিকায় ক্রমিক নং ৭৪৫, তার চাচা রাজাকার কজাবর ওরফে তফেল তালিকায় ক্রমিক নং ৭৪৬।

ইহা ছাড়াও রাজাকার আঃ মান্নান স্বাধীনতার পর নীলফামারী ও রংপুর জেল হাজতে কয়েকবার। এদিকে তদন্ত কর্মকর্তা মহাদয় তদন্তের কি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন জনগন তাহা জানিতে চায়।

১৯৭১ইং সাল, বাংলা ১৯শে আষাঢ় রাজাকার আঃ মান্নান এর নেত্তৃতে এলাকায় খান সেনা নিয়ে এসে দুগ্ধপোষ্য ১৩মাসের শিশুটি সহ ৯টি তাজা প্রান গুলি করে নিঃষ্প্রান করে। এলাকাবাসীর দ্বাবী বিষয়টি পুর্ন তদন্ত সাপেক্ষে সর্বচ্য শাস্তির বিধান করিয়া জাতিকে গøানিমুক্ত করিতে মাননীয় প্রাধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন। চোখ রাখুন..

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 + 13 =