গুলশান-বনানী প্রতিবন্ধীদের ভাগ্য নিয়ে মালিক সমিতি ফরাজী নুরনবীর যত অপকর্ম

0
1059

হাবিব সরকার স্বাধীন: গুলশান-বনানী প্রতিবন্ধীদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন মালিক সমিতি নামে একটি সংগঠন। নেতৃত্ব দিচ্ছেন কিছু অসাধু সুবিধাবাদী ব্যক্তি তাতে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিবন্ধি অঙ্গসংগঠনের কর্মীগণ। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় সাবেক মেয়র আনিসুল হক প্রতিবন্ধীদের যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন। প্রভাবশালী ও মালিক সমিতির হিংসª থাবার কাছে প্রতিবন্ধী পরিবার যেন বড় নিঃস্ব। মালিক সমতির সংগঠনের নামে প্রতিবন্ধীদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে সরকারদলীয় ওআইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিবন্ধীদের কোন সু ফলাফল আসেনি। মালিক সমিতি সংগঠন লুটেপুটে খাচ্ছে প্রতিবন্ধীদের ভাগ্য। অসাধু কিছু পুলিশ কর্মকর্তা দিয়ে মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও তাহলো লোকদেখানো পরবর্তীতে তারা নিজেরাই অভিযান চালিয়ে গাড়ি আটক করে মনগড়া মত মুনাফা লুটে নেয় শুধু এখানেই ক্ষান্ত নয়। বলে জানিয়েছে সংগঠনটি সভাপতি মোঃ আফসার, সাধারণত সম্পাদক জাহাঙ্গীর সহ সভাপতি সাঈদুর রহমান, বিপুল হোসেন, মোঃ আবু হাদিস,প্রতিবন্ধীদের ১৬০টি গাড়ি স্টিকারভ ভোগ করছে মালিক সমতির কর্ণধর ও প্রভাবশালী কিছু অসাধু কর্মকর্তাগন। বিএনপির নেতা ফরাজী ও নুরনবীর নেতৃত্বে এভাবে দিনের পর দিন, মাসের পরে মাস ডিজিটাল কায়দায় সোসাইটির নামে প্রতি গাড়ী থেকে ১হাজার টাকা করে চাঁদা তোলা হয়। পোশাক ফ্রি থাকলেও পোশাক বাবদ১ হাজার টাকা দিতে হয় মালিক সমিতি সংগঠন কে। গুলশান-বনানী মালিক সমিতি বলে কথা।তথ্য এসেছে ক্যাসিয়ার প্রতিমাসে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা করে চাঁদা তুলে। খেটে খাওয়া দিনমজুর রিকশাচালক দের দাবি কাদের ফান্ডে যায় গরিবের রক্ত ঝরানো এই টাকা? এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয় রিক্সা সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান ফরাজীকে তিনি বলেন সাক্ষাতে কথা বলেন।এবং প্রতিবেদকে চা খাওয়ার কথা বলেন ফরাজী। বেলতলা মালিক সমিতির অফিসে দেখা করতে গেলে সেখানে সংবাদকর্মী পরিচয় পাওয়া মাত্রই সবায় দেখি খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সাংবাদিককে অজুহাত দেখিয়ে সেখান থেকে মালিক সংগঠনের কর্মীরা যার যার মতো বাইরে চলে যান। মালিক সমতির নেতা নুর নবী বলেন বড় পুলিশ কর্মকর্তা অপেক্ষা করছেন তাই ব্যস্ত নাম জিজ্ঞাসা করলে এড়িয়ে যান তাদের অজুহাতের কোন শেষ নেই। এভাবে সোসাইটির নাম ভাঙ্গিয়ে অনুমতি বিহীন সোসাইটির স্টিকার লাগায় ফারাজী, নুরনবী, সাদ্দাম,আলী, শুধু এখানেই শেষ নয়। বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধি ও অসহায় মানুষের ন্যায্য অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। সে দুঃখে গত ১৬ই মে ২০১৮ রোজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও আমরণ অনশন কর্মসূচীর ডাক দিয়েছেন। প্রতিবন্ধী ও অসহায় নির্যাযিত মানুষেরা,

বনানী সোসাইটির নামে সোসাইটির কিছু কর্মকর্তা রিক্সা মালিক শ্রমিকদের নিকট হতে রিক্সা আটক করে উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর রিক্সার ব্লুবুক পরিবর্তন করার সময় অর্থ আদায় করে সোসাইটির নামে ২ বছরের নয় কোটি ছাপান্ন লক্ষ আশি হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে।

বনানী সোসাইটির কিছু কর্মকর্তাগণ এদের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে হতদরিদ্র শ্রমীকদের উপর অমানবিক নির্যাতন, কথায় কথায় রিক্সা আটক, ১০০ টাকার পরিবর্তে রিক্সার মালিকের নাম ব্যবহার করে ৪৫০ ও দুহাতে রিক্সা চালালে ৫০০ টাকা করে দিতে হয়। আবার কেউ যদি সত্য কথা প্রকাশ করে দিলে তাকে আর সোসাইটির রিক্সা দেওয়া হয় না।

তাই ভুক্তভোগীদের দাবী কার ইশারায় চলছে সোসাইটির রমরমা চাঁদাবাজির ব্যবসা-বানিজ্য?? অনুসন্ধানে আরো দেখা যায় মেয়র আনিসুর রহমান প্রতিবন্ধীদের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেই প্রতিশ্রুতিতে যারা সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল তাদের পরিবর্তে ফায়দা লুটছেন ফরাজি বাহিনী। এভাবেই মনের দুঃখের কথা বলেন প্রতিবন্ধী আলম হোসেন, সফিক, ফিরোজ, জাহাঙ্গীর, সুমন, শান্ত, রাসেল শরীফ, মিরাজ জয়নাল আরো অনেকে। r

তারা বলেন ভিক্ষা চায় না অন্ন চায় বাঁচার মত বাঁচতে চায় নবীর শিক্ষা করো না ভিক্ষা। আমরা ভিক্ষা চাই না। রহিঙ্গারা যদি বাংলাদেশে মাথা উচু করে বাঁচতে পারে আমরা কেন পারব না? আপনি বঙ্গবন্ধু মুজিব কন্যা ৪২ বছর পরেও যুদ্ধ অপরাধীর বিচার করে প্রমান করেছেন সোনার এই বাংলায় অপরাধীদের রক্ষা নাই।

তাই আমরা গরীব মানুষ আপনার সহযোগীতা ছাড়া কোথায় যাব। বনানীতে সোসাইটির নামে যে চক্রটির কাছে অসহায় মানুষ বন্ধি হয়ে আছি সূষ্ট তদন্ত করে তাদের বিচার আওতায় আনা হোক। আপনিই তো বলেছেন গরীব ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি করতে দেওয়া হবে না।

তাহলে জামায়াতের নেতা ফারাজী ও নুরনবী সোসাইটির নামে রিক্সা আটক প্রতি মাসে গাড়ী প্রতি ৫০০ টাকা করে চাঁদা তুলে সে টাকা কোথায় যায়? আমরা অসহায় ভুক্তভুগী, কিছু বলতে সাহস পাই না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে প্রশাসনিক ভাবে অহেতুক ঝামেলায় পড়তে হয়। এই বিষয় নিয়ে এলাকাবাসীর দাবী কমিটি করে তদন্ত করা।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। মালিক সমিতি ও সোসাইটির নাম ভাঙ্গিয়ে যারা বাণিজ্য করছে তাদের মুখোশ খুলে দিতে আমাদের আমাদের অনুসন্ধান চলমান চোখ রাখুন পরবর্তী সংখ্যা

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × 1 =