লোহাগাড়ায় সাংবাদিককে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ, বিভিন্ন মহলের নিন্দা

0
912

মোঃ সেলিম উদ্দীন: চট্টগ্রামের লোহাগাড়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ আঞ্চলিক কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন রশিদী কে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব সভাপতি ও এশিয়ান টেলিভিশনের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি আবদুল আউয়াল জনি, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি তাজউদ্দীন, দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি এম. হোসাইন মেহেদী সহ লোহাগাড়া প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।

এ বিষয়ে পৃথক পৃথক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. আবুল আলা মোহাম্মদ হোছামুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হামিদুর রহমান। 

সূত্র মতে, সম্প্রতি ভূমিদস্যু কতৃর্ক রাস্তায় প্রতিবন্ধকা সৃষ্টির ছবিসহ তথ্যবহ সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে হারুন ওরফে ভূমিদস্যু স্ট্যাম্প হারুন সংবাদ প্রতিনিধির মৌরশী জায়গার পাশে তার খরিদা জায়গা হওয়ায় উভয় জায়গায় রোপিত চারাগাছ উপড়ে ফেলে উলটো লোহাগাড়া থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে। জানতে পেরে সংবাদ প্রতিনিধি লোহাগাড়া থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। উভয়ের অভিযোগে চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তাগণ সুষ্ঠু তদন্ত করে উভয়কে বৈঠকের নির্দেশ দিলে হারুন আইনের নির্দেশ অমান্য করে বৈঠকে সাড়া না দিয়ে গা ঢাকা দেয়। পরবর্তীতে সে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আরও একটি অভিযোগ করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও যাচাই বাছাই করে সালিশী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে অভিযুক্ত হারুন তা অমান্য করে দিনক্ষেপন করে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি কাল্পনিক ঘটনায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

হারুন ওরফে ভূমিদস্যু স্ট্যাম্প হারুন। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আধুনগর ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সে বিভিন্ন কুকর্মকে পুঁজি করে হয়েছে আঙ্গুল ফুল কলাগাছ। তার প্রধান পেশা—নেশা খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে ফাঁদে আটকিয়ে স্ট্যাম্প জালিয়াতি করে বিভিন্ন দিক হাতিয়ে নেওয়া এবং গড়িমসিতে মামলা মোকদ্দমা করে হয়রানি করা। আবার বিভিন্ন কল্পকাহিনী ফুসলিয়ে নাজেহালের এমন অভিযোগ শেষ নেই তার বিরুদ্ধে। তাদের এমন অপরাধ প্রবণতায় এলাকার লোকজন দিন দিন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। খেটে খাওয়া অসহায় দিনমজুর লোকজন প্রতিবাদে নেমে আসে অত্যাচার ও জুলুম। তাদেরকে দেওয়া হয় নানান রকম গায়েবী মামলা।

মামলা দিয়ে হয়রানি করাই স্ট্যাম্প হারুনের পেশা। আবার সে একাধিক নারী নির্যাতন মামলা ও সরকারি খাস জায়গা জোরপূর্বক দখলের বন বিভাগের একাধিক মামলায় জেল খেটেছে। তারপরও সে নিশ্চিন্তে এলাকায় বিচরণ করায় সাধারণ মানুষের কাছে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ আহমদ জানান, “তার বিরুদ্ধে জায়গা—জমি, সীমানা দখলের অভিযোগ আছে। মীমাংসাতে আমরা নিজেরাই হিমশিম খাচ্ছি।

সে একেক সময় একেক রকমের কোর্টে মামলা করায় দুর্ভোগে পড়ছি।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেক দিনমজুর জানান, “ওই হারুন হাওলাতের টাকা দিনসুদি করে স্ট্যাম্প জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল তৈরি করে আমাদের অনেকের খাস দখলীয় জমি দখল করে রেখেছে।” চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির অনেক সদস্য জানান, “আসলে তার বিরুদ্ধে দিনমজুরের স্ট্যাম্প জালিয়াতির অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে আছে।” এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত হারুন জানান, এলাকার কিছু কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × three =