সুনামগঞ্জে গোয়েন্দা সদস্য ও ভাই বোনসহ ৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু

0
397

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থায় (এসএসআই) কর্মরত এক গোয়েন্দা সদস্য ও ভাই-বোনসহ ৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়বন্দ গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে ইলেকট্রিশিয়ান রমজান আলী (৪২), দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের নগদীপুর গ্রামের আব্দুল জলিল (৩২) ও তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরনগর গ্রামের ইউপি সদস্য বাবুল মিয়ার শিশুকন্যা ইসরাত জাহান ইমা (৬), তার চাচাতো ভাই একই গ্রামের আশিকনুরের ছেলে আরমান হোসেন রুমান (৫) ও একই উপজেলা উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের বাসিন্দা ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এসএসআই) সদস্য ইয়াকুব আলী (২৬)।

আজ সোমবার (৮ নভেম্বর) বিকাল ৫টায় ও দুপুরে পৃথক ভাবে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিনোসহ পরিবারের নিকট হস্থান্তর করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- আজ সোমবার (৮ নভেম্বর) বিকাল অনুমান ৫টায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার বীরনগর গ্রাম সংলগ্ন বৌলাই নদী থেকে শিশুকন্যা ইসরাত জাহান ইমা ও তার চাচাতো ভাই আরমান হোসেন রুমানের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রবিবার (৭ নভেম্বর) সকালে পরিবারের অজান্ত দুই ভাই বোন খেলা করতে গিয়ে বাড়ির পাশর্^বর্তী বৌলাই নদী ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়।

অপরদিকে সকাল অনুমান ৯টায় জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বড়বন্দ গ্রামে বিদ্যুতের লাইন মেরামত করতে গিয়ে ইলেটট্রিশিয়ান রমজান আলী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা  করেন।

এদিকে গতকাল রবিবার (৭ নভেম্বর) রাত ১০টায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থায় (এসএসআই) কর্মরত সদস্য ইয়াকুব আলীর লাশ সুনামগঞ্জ পৌরশহরের বাঁধনপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বাসার গোসল খানার ভিতরে গালায় গামছা বাঁধা অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। গত ২০২০ সালের জুলাই মাসে ইয়াকুব আলী জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থায় যোগদান করেন। এতদিন তিনি ঢাকায় কর্তরত ছিলেন। সম্প্রতি ছুটিতে সুনামগঞ্জ আসেন। কিন্তু তার রহস্য জনক মৃত্যুর কোন কারণ জানা যায়নি। তবে গত ২২ আগষ্ট ইয়াকুব আলী বিয়ে করেছিলেন। এরপর গ্রামের বাড়ি রেখে সুনামগঞ্জ শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। তার মৃত্যুর খবর জানা জানির হওয়ার পর থেকে জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

অন্যদিকে দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের নগদীপুর গ্রামে চা খাওয়ার ৫টা বিল নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আব্দুল জলিল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এঘটনায় ২৯জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর, তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার, দিরাই থানার ওসি আজিজুর রহমান ও সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শহিদুর রহমান সাংবাদিকদের পৃথক ঘটনায় এক গোয়েন্দা সদস্য ও ভাই-বোনসহ ৫জনের মর্মান্তিক  মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।  

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

10 + 7 =