রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর দুই উপজেলার মাঝামাঝি স্থালে কোমরভাঙ্গী রেকডীয় জমি প্রভাবশালীগণ জোরপুর্বক জবরদখল নেয়ার চেষ্টা করেন। জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের দন্দের জের ধরে আমনধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১৭ জন। এর প্রতিবাদে ১৩ নভেম্বর শনিবার বেলা ১২ টার দিকে শিবেরডঙ্গী নামক স্থানে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগি পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে ভ‚ক্তভোগী পরিবার আব্দুল ওয়াহাব, আব্দুস সালাম, আব্দুল মতিন ও জহির উদ্দিনসহ আরো অনেকেই বলেন, আমাদের তফশীল জেলা কুড়িগ্রাম থানা রৌমারী, মৌজা কোমরভাঙ্গী, জেএল নং-২৮ আরএস খতিয়ান নং ৬৮৪, জমির পরিমান ১ একর ৮২ শতক জমি নিয়ে দির্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গরা একাধীকবার মিমাংশার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
পরে ভুক্তভোগী পরিবার কোন উপায় না পেয়ে রাজিবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সরেজমিন তদন্ত করে পুলিশ ১০৭/১১৭ ধারা বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে নন, এফ, আর প্রসিকিউশন করা হয়েছে মর্মে মুছলেকা দিয়ে জামিন পান।
এমতাবস্থায় ১০ নভেম্বর দুপুর আনুমানিক ১২ ঘটিকার সময় আমার পরিবারসহ তফশীল বর্ণিত জমিতে রোপনকৃত রোপা আমন ধান কাটতে যাই। ধান কাটা অবস্থায় ওৎ পেতে থাকা বিবাদীগন আত্মিয়স্বজন, ভারাটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে দলবদ্ধ ভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা ও এলোপাতারী মারপিট করিয়া মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে জখম করেন।
এতে এ পরিবারের প্রায় ১৭ জন গুরুতর আহত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন, গ্রাম্য মাতাব্বর আলহাজ¦ আব্দুল বারী, আলহাজ¦ বদিউজ্জামান অবঃ আর্মি, মক্কর আলী, বকুল মিয়া বসির উদ্দিন, আনার আলী আব্দুল গণি ও মতিয়ার রহমানসহ অনেকেই আরো অভিযোগ করে বলেন, এ ভারাটিয়া সন্ত্রাসী হামালাকারীরা লাল বাদশাহ (৫০), ই¯্রাফিল (৪৪), রাফাত আলী (৪৭), ফুল মিয়া (৪৭), তারা মিয়া (৪৫), শাহাবুদ্দিন (৪০) এরা এলাকার প্রভাব খাটিয়ে অনেকের জমিও জবর দখল করে নিয়েছে। এর আগে অনেকবার গ্রাম্য সালিস ও প্রশাসনিক ভাবে আইনি ব্যবস্থা নিয়েও কোন কিছু করা সম্ভব হয়নি। আমাদের দাবী এ সব ভ‚মি দস্যুদের বিরুদ্ধে আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে আইনি ভাবে শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।