“সাংবাদিকদের বৃহত্তর ঐক্য ও অধিকার রক্ষাই ফেডারেশনের লক্ষ্য”
সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার জন্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিষ্ট অর্গানাইজেশন(এফবিজেও) গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের সকল স্তরের উন্নয়ন হলেও তৃনমূল সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য কোন দাবি-দাওয়াই মূল্যায়ন হয়নি। সংবিধান মতে জাতির বিবেক বলে খ্যাত রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ সাংবাদিকগন। ফেডারেশনের দাবি, রাষ্ট্রের অপরাপর সংগঠন যেমন-আইনজীবীগন আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন, ডাক্তারগন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন, ব্যবসায়ীগন বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন তেমনিভাবে সাংবাদিক ও সাংবাদিকদের সংগঠন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম তথ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে থাকাটা আবশ্যক।
এফবিজেও’র দাবি দাওয়া নিন্মরুপ:
যে কোন গণ মাধ্যমের ওয়েব সাইটে কোন প্রতিবেদন বা সংবাদ প্রকাশের পর কেউ ক্ষুদ্ধ হলে তিনি মামলা করার পূর্বে সম্পাদক বরাবর প্রতিবাদ দিতে হবে। সম্পাদক তা আমলে নিয়ে তা নিস্পত্তির ব্যবস্থা করবেন। তাতেও সংক্ষুদ্ধ ব্যাক্তি সন্তুষ্ট না হলে তিনি আদালতে মামলা করতে পারবেন। মামলা হওয়ার পর আদালত কর্তৃক সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ও সম্পাদক বরাবর সমন জারি করবেন এবং প্রতিবেদক ও সম্পাদক আদালতে হাজির হলে আদালতকে জামিন দিতে হবে, অর্থ্যাৎ এটি জামিন যোগ্য মামলা হিসাবে আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ।
সংবিধান মোতাবেক ৪র্থ স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃত সাংবাদিকদের রাষ্ট্রের ১ম, ২য়ও ৩য় স্তরের সাথে (১ম-জাতীয় সংসদ, ২য় প্রশাসন বিভাগ, ৩য় বিচার বিভাগ) তুলনামূলক মূল্যায়ন ও সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
সাংবাদিক ও সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে।
দেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের ন্যায় সাংবাদিকদের উন্নয়নে পৃথক বাজেট দিতে হবে। যে বাজেট থেকে সাংবাদিক ও সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোর কল্যাণে ভবন নির্মাণ বা অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ ডিজিটালাইজেশন এবং উপকরণ সরবরাহ সহ সাংবাদিকদের প্রশিক্ষন ভাতা, ঝুকি ভাতা, দূর্যোগ, দুর্ঘটনায় সহযোগিতা, নিরাপত্তা, চিকিৎসা ভাতা, আবাসন সমস্যার সমাধান, দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ, বৃদ্ধ বা অবসর-কালীন পেনশন ভাতা প্রদান করতে হবে।
রাষ্ট্রীয়ভাবে ৩রা মে “বিশ^ মুক্ত-গণমাধ্যম দিবস” পালন করতে হবে।
প্রকাশিত সংবাদ সংক্রান্ত ডিজিটাল মামলা সহ যে কোন মামলার বিচারিক ক্ষমতা কেবলমাত্র প্রেস কাউন্সিলকে দিতে হবে।
সাংবাদিকদের সার্বিক অধিকার রক্ষায় প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করার জন্য যুগোপযোগী আইন প্রনয়ণ করতে হবে।
গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট যে কোন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যান্য সংগঠনের ন্যায় ফেডারেশনের (এফবিজেও) মনোনিত প্রতিনিধিকেও অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
সাংবাদিক কল্যান ট্রাষ্টে (স্নাতক ডিগ্রী ছাড়া সদস্য হওয়া যাবে না) এই কালো আইন বাতিল করতে হবে। এবং দেশের সকল সাংবাদিককে কল্যান ট্রাষ্টের অর্ন্তভুক্ত করতে হবে।