মওলানা ভাসানীর জন্ম ও মৃত্যু দিবস জাতীয় ভাবে পালনের দাবিতে মানববন্ধন

0
486

সীমান্ত হত্যা রোধ, জ্বালানী-দ্রব্য মূল্য কমাও, দুর্ভিক্ষ থামাও মানুষ বাঁচাও এবং মওলানা ভাসানীর জন্ম ও মৃত্যু দিবস জাতীয় ভাবে পালনের দাবিতে আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক মোঃ হারুন অর রশিদ খান এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামসুদ্দীনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন শাহবাগে ১৬-১১-২০২১ তারিখ মঙ্গলবার, বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “সীমান্ত হত্যা রোধ করতে স্বাধীনতা পরবর্তী সকল সরকারই ব্যর্থ হয়েছে। দেশের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির ফলে দেশের নাগরিকদের বিনা উস্কানিতে ভারতীয়রা হত্যা করে চলছে। অমিত শাহ, মনোহর পারিকর, সুব্রামনিয়াম স্বামী, দিলীপ ঘোষসহ ভারতীয় নেতারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হরণের হুমকি দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা আমাদের নাগরিকদের হত্যা করছে। আমাদের দেশের অভ্যন্তরে নাগরিকদের ওপার থেকে গুলি করছে। আবার সীমান্তে হত্যা করে লাশ গুম করছে। অথচ কোন সরকারই কার্যকর কোন প্রতিবাদ করেনি। যা হতাশাব্যঞ্জক।”

বক্তারা আরো বলেন, “দেশে দূর্ভিক্ষ অবস্থা বিরাজ করছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে বাজার মূল্য জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। খাদ্যের অভাবে মানুষ আত্মহত্যা করছে। জ্বালানী মূল্য ও পরিবহন ভাড়া জনগণের দারিদ্র্যের মাত্রা চরম ভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখনি দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরতে হবে। অন্যথায় দূর্ভিক্ষ চরম আকার ধারণ করবে। জ্বালানী মূল্য বৃদ্ধি সর্বৈব জনভোগান্তি বাড়ানো ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে করা হয়নি। বিশ্বে জ্বালানীর মূল্য কমছে। বাংলাদেশে জ্বালানী মন্ত্রণালয় হাজার হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। অথচ জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতের মাফিয়ারা রাষ্ট্র এবং সরকারের উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে বলেই দেশে জ্বালানীর মূল্য বাড়ানো হয়েছে। ১২ কেজি এলপি গ্যাস ১৩৫০ টাকা খুচরা বাজারে ১৪/১৫ শত টাকা। এ যেন হরিলুট।”

বক্তারা বলেন, “মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা। তাঁর ঘোষিত ৪ ডিসেম্বরের ঘোষণাই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা। তাই ৪ ডিসেম্বরকে স্বাধীনতা (ঘোষণা) দিবস পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। তাঁর জন্ম ও মৃত্যু দিবস রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দেশব্যাপী পালনের দাবি জানাচ্ছি। ”

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী)’র চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন (চট্টগ্রাম) এর চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার সামছুল করিম সেলিম, ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমীন, নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসাইন, আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলন’র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনির, ভাষা আন্দোলন স্মৃতি রক্ষা পরিষদের সহ-সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন খান মজলিস, পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান, বিপিপি’র মহাসচিব তালুকদার মোঃ মকবুল হোসেন, প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ ফোরামের আহ্বায়ক এন. ইউ. আহম্মেদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক জোটের চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলাম দেওয়ান প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten − 9 =