Site icon Aparadh Bichitra

সিডরে নিহতদের স্বরণে কুয়াকাটা সৈকতে মোমবাতি প্রজ¦লণ

পটুয়াখালী উপকুলীয় প্রতিনিধি: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) এর আয়োজনে পালিত হয়েছে সিডর দিবস। সিডরে নিহতদের স্বরণে সৈকতে মোমবাতি প্রজলন সহ দোয়া মোনাজাত করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ জোন’র পুলিশ পরিদর্শক বদরুল কবির, ইনস্পেক্টর মোঃ হাসনাইন পারভেজ, টোয়াকের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া রিপোর্টারস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন বিপু, দীপ্ত টিভির প্রতিনিধি ফরাজী মোঃ ইমরান, আরটিভির সাংবাদিক জসিম পারভেজ, সাব ইনস্পেক্টর মোঃ মিন্টু মিয়া সরদার, টোয়াকের ডিরেক্টর আবুল হোসেন রাজু, তৈয়বুর রহমান, আসাদুজ্জামান মিরাজ, সদস্য মাসুম আল বেলাল, নুর হোসেন আকাশ, পর্যটক সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মোঃ সোহেল মাহমুদ। এছাড়াও ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এসোসিশেন (কুটুম), ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি পৃথকভাবে দিবসটি পালন করেছে।

 জানাগেছে, ২০০৭ ইং সালের ১৫ই নভেম্বর প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডবন্ড হয়ে যায় পটুয়াখালী সহ সমগ্র উপকুল। সিডরে উপকুলের মানুষের জানমালের ব্যপক ক্ষতি হয়। সিডরের আঘাতে ৩ হাজারেরও বেশী মানুষ নিহত হয়। প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সডিরের ভয়াবহতা মানুষ আজও ভুলতে পারে না। তাই এই দিনটির স্বরণে উপকুলের মানুষ প্রতিবছর দিবসটি পালন করে আসছে।

টোয়াকের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড় সিডরের কথা শুনলে আজও কেঁপে ওঠে। সিডরের ভয়াবহতায় উপকুলের মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবন সহ উপকুলের সবুজ বেস্টনী এবং পশু পাখি। সিডরের পর থেকে যেকোন ঝড় বন্যার কথা শুনলেই এখন আতকে ওঠে। উপকুলের মানুষের দাবী টেকসই বেরীবাধঁ নির্মাণ।