শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিতে মাথায় ভোট বাক্স নিয়ে কিশোরগঞ্জে হানিফ বাংলাদেশী

0
687

ভোট প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন করে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিতে মাথায় ভোট বাক্স নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলায় পদযাত্রা করে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছেন হানিফ বাংলাদেশী। নাগরিকদের নির্বিঘœ পরিবেশে ভোট প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে শক্তিশালী নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিতে মাথায় প্রতীকী ভোটের বাক্স নিয়ে ৬৪ জেলা প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে স্বারকলিপি প্রদান এবং ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য প্রতীকী গণভোট সংগ্রহ কর্মসূচির ২৪তম দিনে আজ ১৭ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বারকলিপি দিয়ে প্রেসক্লাব ও জেলা শহরে পদযাত্রা করে মানুষের গণমত সংগ্রহ করেছেন হানিফ বাংলাদেশী। কর্মসূচি সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে অর্জিত দেশের সংবিধানে বলা আছে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ।

রাষ্ট্রের উপর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার প্রথম শর্ত হলো ভোটাধিকার। স্বাধীনতার ৫০ বছর যাবত যে দল যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে, সে দলই কম-বেশি ভোটাধিকার গণতন্ত্রকে বাঁধা গ্রস্ত করেছে, আজকের যে পরিচিতি তা একদিনে তৈরি হয়নি, সব শাসকদলের অপরাজনীতি এই চরম অবস্থা সৃষ্টি করেছে।

এই ভয়াবহ অবস্থার উত্তরণ ও একদিনে সম্ভব নয়। রাজনীতিতে প্রতিদ্ব›দ্বীতা থাকবে কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি প্রতিহিংসা থেকে সহিংস পরায়ণ, অবিশ্বাসের সংস্কৃতি চলমান, এবং প্রশাসনের দায়িত্বরত কর্মকর্তারাও কোন না কোন দলের আনুগত পোষন করে চলে সেজন্য রাজনীতিতে অবিশ্বাস কাজ করে।

এই অবিশ্বাস ও আস্থা সংকটের কারনে কয়েক বার অনির্বাচিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছে, এবং মহামান্য হাইকোর্ট সেই তত্ত¡াবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে, একটি গণতান্ত্রিক দেশে অনির্বাচিত তত্ববধায়ক সরকার পদ্ধতি বেশি দিন চলতে পারে না। কারন অনির্বাচিত তত্ত¡াবধায়ক রাজনীতিবিদের জন্য বড় লজ্জাজনক জনক।”

তিনি বলেন, “দেশে মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে রাজনীবিদেরা ব্যর্থ হয়েছে। রাজনীতিতে যে আস্থার সংকট তার জন্য রাজনীতিবিদরাই দায়ী।

এখন জনগণের ভোটাধিকার ও নিবিঘœ ভোট দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে এবং একটি শক্তিশালী নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সংবিধানের যে আইনের কথা বলা আছে মহামান্য রাষ্টপতি সব মহলের সাথে আলোচনা করে সেই আইন প্রণয়ন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন এবং সারাদেশে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করলে জনগণ মাঝে ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহ সৃষ্টি হবে, এবং কার্যকর গণতান্ত্রিক দেশ বিনির্মানে আমরা এগিয়ে যাবো এবং একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসাবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো।”

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

16 − two =