এম এ আবির, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি, মালয়েশিয়ার অঙ্গ রাজ্যে সারাওয়াকে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে বৃক্ষ রোপন খাতে কর্মী পাঠাতে প্রস্তুুত বাংলাদেশ। তবে এই প্রক্রিয়া সরকার টু সরকার ( জী টু জী) মাধ্যমে করতে হবে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ এ খাস্তগীর।
ডেপুটি হাইকমিশনার গতকাল মালয়েশিয়ার উপ- মুখ্যমন্ত্রী দাতুক অমর ডগলাস উগাহের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ কালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে কর্মী গ্রহণের ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার সর্বশেষ মানদণ্ড মেনে চলতে প্রস্তুুত। যেখানে তারা অবশ্যই কোভিড-১৯ এর দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন । বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্মী পাঠানোর ব্যবস্থা করতে প্রস্তুুত। প্রাথমিক ভাবে আমরা ৩ হাজার কর্মী পাঠাতে পারি।
ডেপুটি হাইকমিশনার আরো বলনে, সারাওয়াকের কৃষি, পাম ওয়েল, বৃক্ষ রোপন, ও অনন্য খাতে কর্মী পাঠাতে আমর সক্ষম।
মালয়েশিয়ার উপ-মুখ্যমন্ত্রী অমর ডগলাস উগাহ তাহার বক্তব্যে বলেন, সারাওয়াকে অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন বিশেষ করে পাম ওয়েল শিল্প খাতে। আমাদের ফসল উৎপাদনের জন্য আরও কর্মী প্রয়োজন। আমরা স্বাগত জানাই। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে আমাদের কর্মী সংকট সহ অনেক অভুতপূর্ব চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে।
সারাওয়াকে কর্মী পেরণের প্রস্তবে আমাদের আরও আলোচনার প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী দাতুক পাতিঙ্গি আবাং জোহরির কাছে এই বিষয়ে নিয়ে প্রস্তাব পেশ করব।
উগাহ আরোও বলেন, সারাওয়াকে ২০৩০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক নেট খাদ্য ও খাদ্য পণ্য রপ্তানিকারক হওয়ার প্রয়াসে গবাদিপশু প্রজনন এবং আধুনিক নির্ভুল চাষে বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানিয়েছি। আমরা অনন্যদের মধ্যে ধান উৎপাদন, বাগান এবং জাহাজ নির্মাণ খাতেও আগ্রহী। বাংলাদেশের সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
সৌজন্যে সাক্ষাৎতে আরোও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব ফরিদ আহমেদ এবং সারাওয়াকের ডেপুটি স্টেট সেক্রেটারি দাতো শ্রী মোহাম্মদ আবু বকর মারজুক।