Site icon Aparadh Bichitra

ঢাকার ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কফিল উদ্দিনের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেনসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৪ জন সমর্থক আহত হয়েছেন

শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ-সংলগ্ন এলাকায় দফায় দফায় নৌকা সমর্থিত প্রাথী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর, সাগর, পলাশ, সাকিমুদ্দিন, মাসুদসহ আটজন আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কফিল উদ্দিনের ছেলে সাবেক সেনা সদস্য হালিম, মোমিনসহ তাদের পক্ষের সাতজন আহত হন।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সাকিমুদ্দিন ঢাকা টাইমসকে জানান, দুপুরে ইউপি কার্যালয় থেকে তারা চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান সোহরাবসহ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন৷ এ সময় সুয়াপুর ইউনিয়ন সেতু এলাকায় পেছন থেকে প্রথম দফায়  অস্ত্র নিয়ে তাদের গাড়িবহরে হামলা চালান নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কফিল উদ্দিনের সমর্থকরা। এতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী  হাফিজুরসহ আটজন আহত হন। বর্তমানে তাকে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী কফিলের ছেলে মো. হান্নান পালটা অভিযোগে বলেন, ‘আমরা নির্বাচনি প্রচারণা করছিলাম। এ সময় হাফিজুরসহ তার লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। এতে আমার ভাই হালিমের একটি আঙুল কেটে পরে গেছে। আরও ছয়জনকে মেরে আহত করা হয়েছে।’

ধামরাই থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস বলেন, ধামরাইয়ে সূয়াপুর ইউনিয়নের আওয়ামী মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ১০ থেকে ১২ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এখনও কোনো পক্ষের লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ধামরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা বেগম বলেন, ‘ঘটনাটি মৌখিকভাবে শুনেছি। কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি৷ অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে পুলিশ অবস্থান করছে।’