Site icon Aparadh Bichitra

হিজড়াদের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের তথ্য দিতে নারাজ ওসি !

to me

হিজড়াদের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের তথ্য দিতে নারাজ ওসি !  রাতে সাংবাদিকদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরন শাহাদাত হোসেন মানিকঃ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজধানীর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় হিজড়াদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আট জন আহত হয়। আহতদের টঙ্গীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় রাত সাড়ে ১২ টায় দিকে হিজড়াদের দুইপক্ষকে নিয়ে থানায় একটি মিমাংসায় বসবেন ওসি সহ অফিসারগন এমন তথ্যের ভিত্তিতে কয়েকজন সাংবাদকর্মী থানায় উপস্থিত হয়। রাত ১১ টার দিকে হিজড়া কচি থানায় এসে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি দেখে চলে যান। পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শান্তা তার হিজড়াদের নিয়ে থানায় উপস্থিত হয়। তখনও সংবাদকর্মীরা থানায় উপস্থিত ছিলেন রাত পৌনে ১২ টার দিকে ওসি আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস থানায় আসেন এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে কোন প্রকার তথ্য না দিয়ে সংবাদ কর্মীদের সাথে খারাপ আচরন সহ অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা টুয়েন্টি ফোরের দুই সাংবাদিক আলি হোসেন এবং এলিন কে ধাক্কা মারেন এবং থানা থেকে বের হয়ে হতে বলেন। (যার ভিডিও সাংবাদিকদের হাতে রয়েছে)। সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণের ঘটনায় পরবর্তীতে উত্তরা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাসেল খান, মহিলা সম্পাদিকা মাহামুদা আক্তার পুষন ও সরেজমিন পত্রিকার জুয়েল উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আক্তারুজ্জামান ইলিয়াসের সাথে কথা বললে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরন করার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন হিজড়াদের বিষয় নিয়ে আমাদের মাথা ঠিক নাই। হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা করেছে হিজড়া গুরু কচি ওরফে ইব্রাহীম। ওসি বলেন ঘটনার পর থেকে ২০ জন সাংবাদিক আমাকে ফোন করেছে এবং তারা এদিকের কথা সেদিকে লাগাচ্ছে তাই আমরা এই বিষয়টা নিয়ে ঝামেলায় আছি। পরে থানার সকল ফটক বন্ধ করে দিয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে খারাপ আচরন করে সবাইকে বের করে দেন এবং হিজড়া শান্তা সহ তার অনুসারী মোট ৬ জনকে আটক করেন। পরে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আবারো থানায় ঢুকতে দেখা যায় হিজড়াদের এক পক্ষের গুরু কচিকে। জানা যায়, রবিবার সকাল ১০টার দিকে উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টর এলাকা শান্তা গ্রুপ ও কচি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারা লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সংঘর্ষে জড়ানো দুই গ্রুপই এলাকা ত্যাগ করেন জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা ও মারামারির অভিযোগে গত ২৫ অক্টোবর আব্বাস উদ্দিন আশিক নামে আপন গ্রুপের এক সদস্য কচি গ্রুপের দুই-তিন শ হিজড়াকে আসামি করে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন। মামলাটি এখনও তদন্তাধীন। এর মধ্যেই কচি গ্রুপ এবং শান্তা গ্রুপের মধ্যে নতুন করে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ হয়।