Site icon Aparadh Bichitra

নামাজের এক রাকাতেই পুরো কোরআন শেষ করলেন সিরিয়ান তরুণ

ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।নামাজের এক রাকাতেই পবিত্র কোরআন খতম করেছেন সিরিয়ান বংশোদ্ভূত এক তরুণ। সাত ঘণ্টা ধরে নামাজ পড়ে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ করেন আবদুর রহমান আল নাবহান নামের এই তরুণ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবের এক ভিডিওতে আবদুর রহমান জানান, তিনি নামাজের এক রাকাতেই পবিত্র কোরআন খতম করেছেন। পবিত্র কোরআনে ৩০টি পারা ও ২৪০ রুকু রয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬। দীর্ঘ সাত ঘণ্টায় তিনি মনোযোগসহ পুরো কোরআন তিলাওয়াত করেন বলে জানান ২০ বছর বয়সী এই তরুণ।আবদুর রহমান বর্তমানে তুরস্কের কোনিয়া শহরে বাস করেন এবং স্থানীয় সেলজু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। মূলত তিনি সিরিয়ার ঐতিহাসিক হালব শহরের অধিবাসী। রাতেরবেলা নামাজে পুরো কোরআন খতম করা তার দীর্ঘ স্বপ্ন ছিল। কারণ ইসলামের তৃতীয় খলিফা ওসমান বিন আফফান (রা.) তাহাজ্জুদ নামাজের এক রাকাতে পুরো কোরআন শেষ করেছেন বলে হাদিসের বর্ণনায় এসেছে। মূলত বিখ্যাত সাহাবির এ ঘটনা তাকে অনুপ্রাণিত করে।

অবশ্য এর আগেও অনেকবার আবদুর রহমান এক রাকাতে কোরআন খতমের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেছেন। তবে তিনি বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। তবে নিজ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি ছিলেন অনড়। তাই অনেকবারের ব্যর্থতা তাকে প্রস্তুত হতে সহায়তা করে। অবশ্য এক রাকাতে কোরআন খতম করে খ্যাতি পাওয়া বা ভাইরাল হওয়া তার উদ্দেশ্য নয়। বরং একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে তা করেছেন বলে জানান তিনি।

জানা যায়, রাত ১১টায় আবদুর রহমান নিজের অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণে নামাজে দাঁড়ান। এরপর দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর ভোর ৬টায় তিনি কোরআন খতম করে নামাজ শেষ করেন। তিনি এমন সময় নির্বাচন করেন, যে সময়ে ক্লান্তি ও পরিশ্রম কম হবে এবং পুরো কোরআন শেষ করা সম্ভব হবে। তাই শীতের রাতের সময়কে বেছে নেন। কারণ গ্রীষ্মকালে অল্প কাজেই ক্লান্তি চলে আসে এবং শরীরে ঘাম তৈরি হয়। তা ছাড়া গ্রীষ্মের রাতের চেয়ে শীতের রাত দীর্ঘ হয়।

সূত্র : আল শারাক ও আল ইমারাত আল ইয়াওম।