Site icon Aparadh Bichitra

ফেলানী হত্যার দশম বার্ষিকীতে নাগরিক পরিষদের কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি প্রদান

আজ ৬ জানুয়ারী ২০২২ বৃহস্পতিবার সকাল ১১.৩০ টায় নাগরিক পরিষদের আহবায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীনের নেতৃত্বে নিহত ফেলানীর মা জাহানারা বেগম ভাই জাহানুদ্দীন, রংপুরের শ্রমিক নেতা আকরাম হোসেন, আসাদুজ্জামান দূর্জয়, হযরত আলী, আশরাফ আলী, মাছুম পারভেজ প্রমুখের উপস্থিতিতে স্মারক লিপি হস্তান্তর করা হয়। ফেলানী হত্যার বিচার, পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও অনন্তপুর সীমান্তের নাম ফেলানী সীমান্ত নাম করনের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদানের পর কুড়িগ্রাম শহীদ মিনারে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শ্রমিকনেতা আক্রাম হোসেনের সভাপতিত্বে নাগিরক পরিষদের আহবায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাগরিক পরিষদের আহবায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, “গত ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ভারতের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরেরর সময় ফেলানী ও সীমান্তে হত্যার বিচার ও সীমান্তে বাংলাদেশী সাধারণ নাগরিক হত্যার বিষয়টি আলোচনা না হওয়ায় তীব্র নিন্দা জানাই।”

তিনি বলেন “নির্দোষ কিশোরী ফেলনী হত্যা বিচার নিয়ে ভারতীয় সুপ্রীম কোর্টে তালবাহান অবিচারের নামান্তর। ফেলানী হত্যার বিচার আজ সকল সভ্য মানুষের দাবী। ৭ জানুয়ারী ফেলানী দিবস (নিরাপদ সীমান্ত দিবস) পালন করুন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুনের জীবন অবসান হলেও তার ওয়াদাৃত ফেলানীর পরিবারকে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ এখনও হয়নি। অনন্তপুর সীমান্তের নাম ফেলানী সীমান্ত নামকরন করে তার স্মৃতিকে সম্মান জানানোর দাবী জানাচ্ছি। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ অভিন্ন সীমান্তে যে খুন, গুম, জখম করেছে তার আন্তর্জাতিক তদন্ত করতে হবে। বিচার করতে হবে। গুলশান বারিধারা কুটনৈতিক পাড়ার পার্ক রোডের নাম ফেলানী সরণী করতে হবে।”