পৌরসভার আদেশ অমান্য করে এক সা়ংবাদিকের জায়গা দখলে নিয়েছে ভূমি দস্যু শাহিন

0
371

হবিগঞ্জ মাধবপুরে ভূমি দস্যু শাহিন মিয়ার বিরুদ্ধে পৌরসভার আদেশ অমান্য করে ইমারত নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। অভযুক্ত ভূমি দস্যু শাহিন মিয়া (৫০) মাধবপুর পৌরসভার মৃত অলিউর রহমানের পালক পুত্র। সাংবাদিক শাকিল হাসান শাহিনের বিরুদ্ধে মাধবপুর পৌরসভায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সাংবাদিক শাকিল হাসান অবিযোগে বলেন, পৌরসভার অনুমোদন বিহীন অবৈধভাবে বাউন্ডারি ওয়াল ও ঘর নির্মাণ কাজ বন্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ প্রসঙ্গে।হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা মাধবপুর পশ্চিম মৌজার এস. এ-৬৭৩ ও বর্তমানে বি. এস ফাইনাল -৮১৬ ও৮১৭ নং দাগে  এস. এ-৫৪ ও বর্তমানে  বি. এস ফাইনাল -৩৩০ খতিয়ান, নামজারী-১৩৩১ খতিয়ান  দলিল নং-১৯১০. আমার ১৩.২৪ শতাংশ জায়গা রয়েছে। কিন্তু বণিত জায়গাটিতে পৌরসভার অনুমোদন ছাড়াই উক্ত জমির পাশে অবৈধ দখলধার শাহিন মিয়া অবৈধভাবে বাউন্ডারি ও ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।পৌরসভার অভ্যন্তরে কোন নির্মাণ কাজ করতে পৌরসভার নীতিমালা অনুসারে পৌরসভার অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক এবং এই অনুমোদন নিতে জমির মালিকানা প্রামানের জন্য সংশ্লিষ্ট  কাগজ  দাখিল করাও প্রয়োজন।সে অন্যের মালিকানাধীন জায়গায় অবৈধভাবে বাউন্ডারি ওয়াল ও ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করায় কোন বৈধ কাগজপত্র  দাখিল করতে পারবেনা।

 পৌরসভার অনুমোদন বিহীন অবৈধ ভাবে জায়গায় বাউন্ডারি ওয়াল ও ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পৌরসভার মেয়রের দিষ্টি কামনা করেন। এই লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে, স্মারক নং- মা পৌ/ প্রকৌঃ/৩১/২০১৮-২০১৯/৭১৪(৬) পৌরসভার অনুমোদন বিহীন ইমারত নির্মাণ বন্ধ  করণ প্রসঙ্গে, আপনি পৌরসভার অনুমোদন বিহীন ইমারত নির্মাণ করিতেছেন, যাহা স্হানীয় সরকার আইন ( পৌরসভা আইন -২০০৯) এর আলোকে ইমারত নির্মাণ আইন -১৯৫২ ও বিধিমালা -১৯৯৬ অনুযায়ী ইমারত নির্মাণের পৃবৈ পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদন গ্রহণের বিধান রহিয়াছে। কিন্ত আপনি উক্ত বিধান লঙ্ঘন করিয়া স্বেচ্ছায় নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যাহা নির্মাণ আইনের পরিপন্থি।পত্র  প্রাপ্তির সাথে সাথে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে নিদেশ প্রধান করেন।

অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে  কঠোর আইন-আনুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে মর্মে ভূমি দস্যু শাহিন মিয়াকে নোটিশ প্রেরণ করেন পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান। কিন্তু এই আদেশের পরেও ভূমি দস্যু শাহিন কাজ করে যাচ্ছেন। সাংবাদিক শাকিল হাসান অপরাধ বিচিত্রা করে জানান ভূমি দস্যু শাহিন আমার জায়গা জোরে দখল করে অবৈধভাবে বাউন্ডারি ওয়াল ও ঘর নির্মাণ করে। আমি নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নেই।আমি ২৩/১১/২০২০ সালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টে্ট আদালত হবিগঞ্জে একটা মামলা করি মামলা নং-৯১০/২০( মাধবঃ) ভূমি দস্যু শাহিনকে আসামি করি।

বিজ্ঞ বিচারক এ বিষয়ে শান্তি – শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মাধবপুর থানার ওসিকে  দায়িত্ব দেন।পরবর্তীতে মাধবপুর থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে একটি লিখিত নোটিশ প্রদান করে। যাতে উভয় পক্ষকেই শান্তি – শিঙ্গালা বজায় রাখার নিদের্শ দেওয়া হয়ে।কিন্তু অভিযুক্ত শাহিন মিয়া মাধবপুর থানার এই আদেশ অমান্য করে গত ২০২১ সালের ১০ জুন উক্ত জমিটি অবৈধভাবে পুরোপুরি দখল করার জন্য বাউন্ডারি ও ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে। তখন করোনা লকডাউনের জন্য আদালত বন্ধ থাকায়  আমি মাধবপুর পৌরসভায় অভিযোগ করি।

সাম্প্রতিক কালে ভূমি মন্ত্রী  এক সংবাদ সম্মেলন বলেন ভূমি দস্যুর বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রনয়ন করা হচ্ছে। এই আইনে কেহ ভূমি দস্যু প্রমাণিত হলে তাঁর  ১০ থেকে ১৪ বছরের সাজার বিদান করা হবে। আশা করি  এই আইনটি হলে জনগণ এর সুফল পাবে।ভূমি দস্যুদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।ভূমি দস্যু শাহিনের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে একা দিক ব্যক্তি বাদি হয়ে মামলা করেছে।

স্থানীয়রা বলেন শাহিন মূলত একটা বন্ড বাটপার লোক। সে ইসলামের লেবাসধরে এই প্রতারণা করে  যাচ্ছে। সে অনেক অবৈধ  সম্পদের মালিক। তার সঠিক  বিচার হওয়া দরকার। এরা ইসলামের শত্রু।শাহিন ২০১০ পরবর্তী সময়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মাধবপুরে আগুন ভাংচুর অগ্নি  সন্তাস করে। শে তখন কার জামাতের সক্তিয় নেতা ছিল। সাংবাদিক শাকিল হাসান স্থানীয়রা প্রতি মন্ত্রী  এ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 − 14 =