কৃষক নেতা লিয়ার খানের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়

0
367

বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক, দক্ষিণ বঙ্গের খাস জমি আন্দোলনের নেতা, দশমিনা আবদুর রশিদ তালুকদার কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য,দশমিনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংস্করণ সভাপতি, দশমিনা বাজার উন্নয়ন  কমিটির সভাপতি, স্বাধীনতাকালীন ছাত্র ইউনিয়ন এর সভাপতি ও গেরিলা যোদ্ধা,বিশিষ্ট সমাজ সেবক, কমরেড আবদুস সাত্তার খানের সুযোগ্য সন্তান লিয়ার হোসেন খানের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় আয়োজনে ২১ জানুয়ারি ২০২২ইং ২৭/১১/১এ তোপখানা রোড (৩য় তলা), সেগুনবাগিচা, ঢাকায় বিকাল ৪ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সংগঠনের সভাপতি কমরেড বদরুল আলম এর সভাপতিত্বে বক্তাব্য রাখেন বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবল সরকার, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এএএম ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খান, সহসভাপতি রেহেনা আক্তার, গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শামীমা আরা,রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এট সভানেত্রী লাভলী ইয়াসমিন,  বাংলাদেশ কিষাণী সভার আশা মণি, ছাত্র নেতা সরকার আল ইমরান। সভা শুরুতে লিয়ার ভাইয়ের স্মৃতির প্রতি ১ মিনিট দাঁড়িয়ে  বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

বক্তারা বলেন, কমরেড লিয়ার হোসেন খান ছোট বেলা থেকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলেন।  দেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ছাত্র ইউনিয়ন এর সভাপতি ছিলেন এবং তাঁর নেতৃত্বে গেরিলা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। তিনি স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিএম এল এর রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং তৎকালীন সরকার হুলিয়া জারী করেন। দীর্ঘবছর আত্ম গোপনে ছিলেন এবং পরবর্তীতে গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। তিনি জেল থেকে বের হয়ে ১৯৭৬ সালে  বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

বক্তারা আরো বলেন, কমরেড লিয়ার হোসেন খান পারিবারিক রাজনৈতিক পরিবেশে বড় হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রজীবন হতেই বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত হন এবং ৭১—র মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০০০ সাল হতে দক্ষিণাঞ্চালে ভূমিহীনদের খাসজমিতে বন্দোবস্ত দেয়ার সফল কার্যক্রম শুরু হয়। রাজনৈতিক জীবনের নানান উত্থান পতন সত্ত্বেও তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত প্রাণ।

কমরেড লিয়ার হোসেন খানের মৃত্যুতে খাসজমি আন্দোলনে যে শূণ্যতা সৃষ্টি  হয়েছে তা এখনও পূরণ হয়নি। বর্তমানে খাসজমি আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য লিয়ার খানের মত নেতৃত্ব খুবই প্রয়োজন ছিল। নেতৃবৃন্দ খাসজমি আন্দোলনকে জাতীয় রুপ দেয়ার জন্য সকল ভূমিহীন কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − twelve =