Site icon Aparadh Bichitra

আইজিপি জেলা ভিত্তিক পুলিশ কর্মকর্তাগণের প্রতি একটু নজর দিবেন কি?

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম ভাদৈ বাইপাস রোড এলাকার পবিত্র কুরআনের হাফেজ আহমদ আলী স্বপের হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ আল-আমীন এর নাটকীয় কান্ড, উল্লেখ্য যে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম ভাদৈ বাইপাস রোড এলাকায় বিগত ২২/০৪/২০২১ ইং তারিখ রাত্র ১০ঃ৩০ ঘটিকা সময় শেখ মাইনুল হাসানগংরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একজোট হয়ে একটি ধারালো ছুরি ও দেশীয় আতিয়ার  দ্বারা বাম চোখের উপরের সহ আঘাত করলে বিগত ২৩/০৪/২০২১ ইং তারিখ ১০ঃ২০ ঘটিকার সময় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন।

বিগত ২৪/০৪/২০২১ ইং তারিখ হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে একজন অজ্ঞাত রেখে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি, মামলার সাথে সাথে হবিগঞ্জ  সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ মাসুক আলী সাহেবের নেতৃত্বে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামীসহ  দুজনকে গ্রেপ্তার করেন, এবং প্রধান আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে।

 ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং  হত্যা মামলায় ব্যবহৃত দাঁড়ালো চুরিটি প্রধান আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাহার বাসা হইতে উদ্ধার করেন পরবর্তীতে প্রধান আসামিসহ দুইজনকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন। এবং ৩ নং আসামী স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন।

কিন্তু  হঠাৎ করে হবিগঞ্জ জেলার সাবেক পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ উল্লাহ আসামিদের দ্বারা বশীভূত হয়ে আমি বাদীকে গোপনে রেখে আমার অজান্তে আমার ডায়েরী হত্যা মামলাটি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা হইতে জেলা গোয়েন্দা শাখা হস্তান্তর করেন তখন থেকেই আমার সন্দেহ হয়েছিল যে আমার ছেলের হত্যা মামলার ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে আমাকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ উল্লাহ যাই হোক তিনি তৎকালীন বদলি হওয়ার আগে হত্যা মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করেন জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ আল-আমীনকে এখন বোঝা যাচ্ছে ।

যে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ উল্লাহ নির্দেশ মোতাবেক আমার ছেলের হত্যা মামলার নিয়ে নাটকীয়তা করছেন  তদন্তকারী কর্মকর্তা আলাআমিন। যাহার পরিপেক্ষিতে আমি বাদী হয়ে ইতোমধ্যে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আমার ছেলের হত্যা মামলার ন্যায়বিচারের স্বার্থে অভিযোগ দায়ের করেছি, বর্তমানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোন কোন কর্মকর্তা আমাকে পরামর্শ দিচ্ছেন।

  যে আমার ছেলের হত্যা মামলাটি অন্য কোন সংস্থায় নেওয়ার জন্য আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমার কি অপরাধ ছিল আমার ছেলের হত্যা মামলা নিয়ে তো আমি কোথাও কোনো অভিযোগ করি নাই, তারপরও কেনো আমার ছেলের হত্যা মামলাটি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা হইতে জেলা গোয়েন্দা শাখা নেওয়া হলো। তাহলে কি আমার সন্দেহটাই কি সঠিক।। 

আমার ছেলের হত্যা মামলার পিএম রিপোর্ট আসছে দীর্ঘদিন হচ্ছে তারপরও হত্যা মামলার চার্জশিট দেওয়া হচ্ছেনা বিজ্ঞ আদালতে, সম্ভবত কি আসামিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

বিস্তারিত আরও তুলে ধরা হবে সময়ের সাপেক্ষে। 

 নাটকের শেষ মুহূর্ত তুলে ধরা হবে অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকা