খিলগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা শেল্টারে ভূমিদস্যু আলমগীর

0
419

মো: আবদুল আলীম/মো: মামুন খান:)ঢাকার খিলগাঁও থানা আওতাধীন মীর রসুলবাগ কাজী বাড়ির পাশে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে একটি দখলবাজ চক্র দীর্ঘ দিন যাবত জমিটি নিজের দখলে নেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছেন। একবার জমির ওয়ারিশদেরকে হুমকি দিয়ে জমিতে স্থাপনা নির্মানের চেষ্টা করছে আবার জমিতে মধ্যে দেয়াল নির্মান করে নিজের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। জমির মালিক বীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ওমর ফারুক পীর সাহেব (র:) এর পুত্র আবদুল্লা আল মামুন জুয়েল।

  তিনি  বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে বসবাস করছেন। একদিকে পুত্র অনুপস্থিত অন্যদিকে মরহুমের স্ত্রী দখলবাজদের সাথে সংঘর্ষ করতে পারছেন না। এই সুযোগে দখলবাজ চক্র ওঠেপড়ে লেগেছে অবৈধ দখল করার জজ্ঞে। গত ০৭-০১-২০২২ খ্রি: সকাল ১১.০০ ঘটিকায় ঘনাস্থলে গিয়ে দখল প্রক্রিয়া দেখা গেল।

চিহ্নিত দখলবাজ, ভূমিদস্যু ও তাদের দলনেতা আলমগীরকে দেখা গেল একদল শ্রমিক নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার ছেলের জমি দখল করার জন্য প্রাচীর নির্মান করছেন। ভূমিদস্যু আলমগীরের সাথে একটি চক্র রয়েছে। ভূমিদস্যু আলমগীরের ঠিকানা ৯৮ পশ্চিম নন্দিপাড়া, থানা: খিলগাঁও বলে জানা গেছে। উক্ত তারিখে ঘনাস্থলে বিশৃঙ্খলা হতে পারে যেনে আগে থেকেই উক্ত এলাকার নিউ বনশ্রী রসুলবাগ কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সেক্রেটারী খালেদ হাওলাদার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হন

তাদের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন খিলগাঁও থানা ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ও যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ ও একাধিক গণমাধ্যম কর্মী। মরহুম মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুকের স্ত্রী জাহানারা বেগম অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন, “আমার জমি আলমগীর দখল করার কে?” তিনি আরও বলেন দেশে যখন স্বাধীনতা যুদ্ধ চলে তখন তার স্বামী ওমর ফারুক গেরিলা কায়দায় হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন। পেশা জীবনে তিনি একজন বড় মাপের সাংবাদিক ছিলেন।

নিজ এলাকা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয়ভাবে তিনি একজন সন্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। অথচ তার পুত্র ও পরিবার আজ ভূমিদস্যুর হাতে জুলুম ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন যা কাঙ্খিত নয়।  খিলগাঁও থানাধীন উক্ত জমির তপশিল হচ্ছে সিএস ৩১৭, এসএ ১২৩, আরএস ৪ ঢাকা সিটি জরিপ ৫ নং মৌজা নন্দীপাড়া জমির পরিমান ৭.৫ কাঠা। ভুক্তভোগীরা তাদের জমি দখলবাজদের হাত থেকে রক্ষার জন্য ও নিজেদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের আইজিপি, পুলিশ কমিশনার ও স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি কামনা করছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × 3 =