চট্টগ্রামে নাম্বারবিহীন সিএনজির টোকেন বাণিজ্য

0
636

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে নাম্বারবিহীন সিএনজি এবং লাইসেন্স বিহীন ট্যাক্সির চালকদের হেনস্তা করে রমরমা টোকেন বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। কর্ণফুলী থানাধীন মইজ্জারটেকে চলাচল করা নাম্বার বিহীন সিএনজি এবং লাইসেন্স বিহীন ট্যাক্সি চালকের কাছ থেকে টোকেন বাণিজ্য চলছে। জানা যায়, প্রতিদিন ৭ হাজারের উপরে সিএনজি চলাচল করে বিভিন্ন রুটে। এদের মধ্যে দৈনিক লাইন খরচ বাবদ বাঁশখালী, বদরখালী, চন্দনাইশ থেকে আসা ৭০/৮০ টাকা, পটিয়া থেকে আসা ৪০ টাকা, আনোয়ারা (ছাতরী) এবং কর্ণফুলী থেকে আসা ২০ টাকা। মাসিক টোকেন বাবদ বাঁশখালী, বদরখালী, চন্দনাইশ, পটিয়া থেকে আসা ২৫০ টাকা। আনোয়ারা (ছাতরী) থেকে আসা ১৫০ টাকা এবং কর্ণফুলী থেকে আসা ১২০ টাকা। বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে ট্রাফিক সার্জেন্টের নেতৃত্বে এবং মইজ্জারটেক সিএনজি সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ে চলছে টোকেন বাণিজ্য। টোকেন দাতারা টোকেন নিতে না চাইলে চালকদের আটক মামলা ও টো করে দেবে বলে বিভিন্ন ধরনের হেনস্থা করে।

প্রতিটি সিএনজি টেক্সিকে বাধ্যতামূলক ভাবে টোকেন নিতে হয়। টোকেন নিতে অস্বীকৃতি জানালে ট্যাক্সির চাবি কেড়ে নেয়া হয়। মইজ্জারটেক সিএনজি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ বলেন এসব বিষয় সভাপতি জানে। দৈনিক লাইন চালু বিষয় এবং টোকেন চাঁদার টাকা বিষয়ে লাইনম্যান এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন ট্রাফিক (টি.এ) কে টাকা দিতে হয় না হলে আটক মামলা কিংবা টো করে দেয়।

টোকেন বাণিজ্য ও চালকদের হেনস্তার বিষয়ে মইজ্জারটেক সিএনজি সমন্বয় পরিষদের জাফর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন স্ট্যান্ড গুলোতে সিএনজির শৃংখলার জন্য কর্মরত দের খরচ বাবদ ৫/১০ টাকা নেয়া হয় তবে যে পরিমাণ টাকার কথা বলা হয়েছে তা ভুল।একজন কত টাকা ইনকাম করে যে এখানে এতো টাকা দিবে। অভিযোগে উল্লেখিত টাকার পরিমান অযৌক্তিক।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

7 + seventeen =