প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় রাজনীতি ব্যানারে বিতর্কিত আলোচিত টুন্ডা মোমিন

0
660

হাবিব সরকার স্বাধীন:রাজধানীতে হাইব্রিড নেতা আনাগোনা বেড়ে গেছে। কুকর্ম আড়াল করতে রাজনীতি দলীয় ব্যানার ব্যবহার করা হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য। বহু মামলার আসামিরা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে ইতিপূর্বে সাইনবোর্ড ব্যবহারগুলো রক্ষা পায়নি কিছু নেতা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে। বনানী থানা নব্য তাঁতী লীগের নেতা মমিন সরকার ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন? স্থানীয়দের দাবি প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় হয়তো আলোচিত বহু মামলার আসামি মোমিনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। গুলশান-বনানী কড়াইল মহাখালী আলোচিত-সমালোচিত বহু মামলার আসামী  বনানী থানা তাঁতী লীগের সভাপতি মমিন সরকার  ওরফে টুন্ডা মোমিন। কেউ কেউ গ্যাস মমিন নামে ডাকেন। গুলশান থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গাড়ি এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির মামলায় মোমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৮ মার্চ রবিবার মোমিনকে গুলশান থানা পুলিশ ৩৭৯  ধারায় চুরির মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা নম্বর-১২।

এ ব্যাপারে গুলশান থানা ওসি তদন্ত আমিনুল ইসলাম বলেন, মমিন একজন চিহ্নিত দাগী সন্ত্রাসী এবং চোরাকারবারি। তার বিরুদ্ধে কড়াইল বস্তি এলাকায় গ্যাস চুরির অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে জানা যায়, মমিন গুলশান-১ এ সাতাশ নম্বর রোডে গাড়ির পার্টস চুরির উদ্দেশ্যে গাড়ির আশপাশে অবস্থান নেয়। এই সময় গুলশান থানার এসআই মশিউর রহমান তার গতিবিধি লক্ষ করতে থাকে।

একপর্যায়ে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আরেকটি সূত্র জানিয়েছেন সাবেক গুলশান জোনের ডিসি ও বর্তমান ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমানের নিষেধ থাকা সত্তে¡ (৩১) (২৯) (৩২) নম্বর রোড দিয়ে মমিনের নেতৃত্বে একাধিক মাদক কারবারি এ রাস্তা দিয়ে মাদক আদান-প্রদান করেন বলেও জানা গেছে। মমিনের কিছু বাহিনীর নেতৃত্ব নৌকা চলাচল করছে বলে সে রাস্তা চেকপোস্ট না থাকার কারণে মাদক লেনদেন করা অতি সহজ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও কাউন্সিলের কথায় পাত্তা না দিয়ে অবৈধভাবে নৌকার চলাচল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন নৌকার মাঝি আরিয়ান হানিফ।

সেইসাথে তিনি আরো বলেন সবাইকে ম্যানেজ করতে হয় স্যার নইলে তো চলবে না।  এবিষয়ে মোমিনকে ফোন করলে ফোন রিসিভ করেনি। এসআই গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন আমরা ভাড়া দেই তবুও তারা বাধা মানছে না। কড়াইলের মমিন চিহ্নিত মাদক কারবারি গাড়ি চোর এবং কড়াইল বস্তি এলাকায় আতংক সৃষ্টিকারী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সে অবৈধ গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ  বস্তির বিভিন্ন ঘরে সরবরাহ করে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করেন। তার বিরুদ্ধে রাজনীতিতেও অবৈধ পন্থায় অর্থের প্রভাব খাটিয়ে বনানী থানা তাঁতী লীগের সভাপতি পদটি বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে। অভিযোগ আছে মমিনের সাঙ্গ-পাঙ্গরা সন্ধ্যার পর কড়াইল বস্তি থেকে নৌকার মাধ্যমে গুলশান-১ এ প্রবেশ করে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি করে সহজে  নৌকাতে পার হয়ে আবার কড়াইল চলে আসে। এ কারণে এতদিন পর্যন্ত মোমিনকে ধরা যাচ্ছিল না।

মমিন গ্রেপ্তার হওয়ায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, মমিন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং ছিনতাই চুরি ও ডাকাতি মূল হোতা। তার অত্যাচারে কড়াইলে সাধারন মানুষ  দিশাহারা এমনি দাবি এলাকাবাসীর। উল্লেখ্য, চুরির মামলায় গ্রেপ্তার মমিন এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। যাহা বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে বিভিন্ন সময় প্রকাশ করেছে। মিডিয়ায় বিভিন্নভাবে ফলাও হলেও কোনভাবেই এতদিন মোমিনকে থামানো যায়নি। একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মমিন এইসব কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল বলে জানা যায়।

মোমিনের অপকর্মের কাহিনী:বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি হত্যা, গুলশান থানায় বোমা বিস্ফোরণ মামলা বনানী  থানায় একাধিক জিডিও মামলা রয়েছে টুন্ডা মোমিন এর বিরুদ্ধে। তার নামে একাধিক দায়ের করা মামলা নং ৮৩৬/১৫ তাং ০৬/০৯/১৮ আরো একাধিক মামলা রযেছে যার নং ৪৫৫/১৬, বনানী থানা মামলা নং ৮/১/১৫,১৬/৭/১৬, সি.আর মামলা নং ১৬, বনানী থানা মামলা নং ৬৯/১৭ গুলশন থানা মামলা নং, ৬/৮/১৮/বহু রয়েছে অজনা। সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাস রেশনিং করেও সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, নতুন গ্যাস পাওয়া না গেলে দেশে গ্যাস সংক বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল ও আবাসিক এলাকায় গ্রাহক সাধারণের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একশ্রেণীর নেতা-কর্মী নামধারী একাধিক সংঘবদ্ধ লুটেরা চক্র সরকারি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চারশ’ মিলিয়ন ঘনফুটেরও বেশি পরিমাণ গ্যাস লুটে নিচ্ছে।

সম্পূর্ণ চোরাইভাবে বাইপাস লাইন, মিটার ট্যাম্পারিং, খাতায় নাম-ঠিকানা না তুলেই অবৈধ গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, সংযোগ দিয়ে নানা কৌশলে গ্যাস চুরি-লোপাটের ঘটনা অবলীলায় ঘটে চলছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে যে, সংবাদপত্রে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে কেবল সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে মাঝেমধ্যে অভিযান চালানো হলেও অত্যন্ত দাপুটে এই সংঘবদ্ধ গ্যাস-চোর-লুটেরাদের নানা ধরনের তদবিরের কারণে মাঝপথেই এসব লোক দেখানো অভিযান থেমে যায়। গ্যাস চুরির অভিযোগে অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন করা ঐ সকল প্রতিষ্ঠান আবারো নতুন করে অপরাধ কর্মে লিপ্ত হয়।

এগুলোর সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত আইনানুগ প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেসব দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য তাদের দায়িত্বহীনতা কেন, বাস্তবতার তাগিদে এ প্রশ্ন এখন সমগ্র জাতির। জাতীয় সম্পদ-গ্যাস লোপাটের ঘটনা কোনো অদৃশ্য বিষয় হতে পারে না। দেশের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান, মার্কেট, বাসাবাড়ি, হাউজিং কমপ্লেক্স, বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সিএনজি স্টেশন সমূহে চোরাই গ্যাসের লাখ লাখ অবৈধ সংযোগ দিয়ে কড়াইল বস্তিতে গ্যাস-বিদ্যুৎ চোরের রাজা টাইটেল লাভ করেছে মমিন।

এবং অনেক জায়গায় অনুমোদনের অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহ করে এসব দুর্নীতিবাজ চক্র প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জাতির  প্রশ্ন বিভিন্ন পত্রপত্রিকার লেখা হলেও সবগুলো চলে যাচ্ছে হিমঘরে তার কারণ কি? স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রশ্ন, অবৈধ ও অনৈতিক সংযোগ যারা নেয় এবং যারা দেয়, তাদের খুঁটি কোথায়  লুটেরাদের নজিরবিহীন লুটপাটের কারণে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে রাষ্ট্র। অপরদিকে দেশের উৎপাদন ব্যবস্থায় হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। আবাসিক গ্রাহকরাও চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। চট্টগ্রামে গ্যাসের অভাবে বহু শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন শিল্প-কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

এই সরকারের আমলে গ্যাসের অভাবে শিল্প খাতে নেয়া ঋণ ভিন্ন খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। সরকারের নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, অযোগ্যতা, অদক্ষতা ও সর্বত্র কমিশন, ঘুষ-দুর্নীতি বিশেষ করে চরম ব্যর্থতার কারণে দেশের দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব নিরসনে নতুন কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হচ্ছে না। আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

প্রকাশিত খবরে একাধিক গ্রাহকের বরাত দিয়ে যে তথ্য জানানো হয়েছে, তাতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, টাকা দিয়ে গ্যাসের চোরাই সংযোগ নেয়া যায়। গ্যাস সংযোগের যে নিয়ম-পদ্ধতি রয়েছে, তা যদি যথাযথভাবে মেনে কাজ করা হয়, তাহলে কোনো শিল্প-কারখানায় আবাসিক এলাকায় বা বস্তিতে গ্যাসের চোরাই লাইন কিংবা অবৈধ সংযোগ কোনোভাবেই সম্ভব হওয়ার কথা নয়। এক্ষেত্রে চরম দায়িত্বহীনতা ও জবাব দিহিহীনতা কি করে চলছে, এর জবাব সরকারকেই দিতে হবে।

জাতীয় সম্পদ গ্যাসের চোরাই লাইন, অবৈধ সংযোগ, চুরি, লুটপাট ও অপচয় কোন স্বার্থের কারণে কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না, তা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছে কিনা, আমরা নিশ্চিত নই। দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্প-কারখানার বিকাশ, উৎপাদন-ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বেকারত্ব নিরসনে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, রাষ্ট্রের রাজস্ব বৃদ্ধি, রাষ্ট্রের সকল স্তরে ঘুষ-দুর্নীতির মূলোৎপাটন, সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সার্বিক জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্যাস-বিদ্যুৎ তথা জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সব সময় আমাদের সোচ্চার লেখনি। তারপরও এসব অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট দফতরের দায়িত্বশীলরা। তিতাসের শীর্ষ সূত্রের বরাত গ্যাসের চোরাই লাইন ও অবৈধ সংযোগ নেয়া এবং দেয়ার সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র।

কড়াইল বস্তি কুমিল্লা পট্টি টুন্ড মমিনের এর অত্যাচারে অনেকে অতিষ্ঠ। তার অফিস কার্যালয়ে ও বাসায় বসে সিসি ক্যামেরা দেখে নিয়ন্ত্রণ করে তার অপকর্ম। ভিলেন স্টাইল সিনেমা মত  এলাকাবাসী তার ভয়ে টু শব্দটি পর্যন্ত কেউ করছে না। প্রতিবাদ করলেই মিথ্যে মামলার শিকার হতে হয়। যুবলীগ নেতা জুয়েলকে বিনা অপরাধে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে রেখেছেন এই টুন্ডা মমিন এলাকায় কারো অজানা নয়।

হঠাৎ আলাদিনের চেরাগ তার হাতে কিভাবে এলো? দিনমজুর আমির হোসেনের বড় ছেলে টুন্ডা মমিন। নিজের পাঁচ ভাইয়ের দাপটে মমিন বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। অবৈধ টাকা দাপটে যুবদল থেকে সরাসরি তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি পদে তিনি।

  মাদক থেকে শুরু করে সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে তার চক্রটি কুমিল্লা পট্টিতে তা রয়েছেন সেভেন স্টার গ্রুপ। আরেকটি সূত্র জানা গেছে কড়াইল বস্তি ১ নারীকে দীর্ঘদিন দর্শন করার পরও তার ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না এই পরিবারটি। চাঞ্চল্যকর তথ্য মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এখন তাঁতী লীগের বনানী থানার সভাপতি পদে বহাল বিতর্কিত হাইব্রিড নেতা মোমিন। বিস্তারিত পরবর্তী সংখ্যা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three + 11 =