বাঞ্ছারামপুরে মানুষের নয়নের মনি ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম এমপি

0
509

হাবিব সরকার স্বাধীন :ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কৃতিসন্তান ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম এমপি। শৈশব থেকে ছিলেন সৎ দক্ষ মেধাবী। দেশ নিয়ে ভাবনার  যেন তার কমতি ছিল না। এমন এক মহান ব্যক্তিকে নিয়ে আজকে আমাদের এই প্রতিবেদন।জীবন বৃত্তান্ত:ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম। ৫ মে ১৯৫১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মরহুম মৌলভী রফিক উদ্দিন আহমেদ ও মরহুমা মোসাম্মাৎ পরিবানুর পুত্র এবি তাজুল ইসলাম। ১৯৬৬ সালে মেট্রিক, ১৯৬৮ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিষয়ে ভর্তি হন। ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম (অব.) এর জীবন ঘটনাবহুল। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বশরীরে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়নকালে তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে জিডি পাইলট হিসেবে যোগদানের যোগ্যতা অর্জন করেন। এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পক্ষ হতে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক আসে। সে ডাকে সাড়া দিয়ে ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।

তিনি ৩ নং সেক্টরে জেনারেল শফিউল্লাহর অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনকের হত্যার পর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেন। ফলশ্রæতিতে, তিনি  গ্রেফতার হন এবং ১৯৭৬ সালে প্রিমেচিউর রিটায়ার্মেন্টে যেতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে তিনি ব্যবসায় ও রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই সাথে তিনি দলের শিল্প ও বাণিজ্য কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদ তৈরির পর তিনি প্রথম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসন হতে পুনরায় নির্বাচিত হন। ৬ জানুয়ারি ২০০৯ তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।

ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম শৈশব থেকেই ছিল দেশ প্রেমিক। শত ব্যস্ততার মাঝেও ভাবতেন কিভাবে মানুষ সুন্দর ভাবে চলতে পারে, কিভাবে মানুষ সুখে দিন কাটাবে এটাই ছিল ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলামের  চেতনা। তিনি বলেন বাঞ্ছারামপুরে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। বাঞ্ছারামপুর বিনির্মাণে আমরা আপনাদের নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই, বাঞ্ছারামপুরকে ডিজিটাল ও শিক্ষিত নগরী হিসেবে তৈরি করার জন্য সব সবময় কাজ করে যাব। আগামীর সন্তানেরা যেন এদিকে নজর রাখে। লেখপড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলা এগিয়ে যেতে হবে। সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ধারিয়ারচর হাজী ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবন এবং মো: নুরল ইসলাম কলেজ উদ্বোধনকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম তাজ এমপি। অংশগ্রহণে তিনি বক্তব্য বলেছিলেন সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই। তিনি আরো বলেন দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সবাইকে  মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হবে।

ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, আমরা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, গণমানুষের উন্নয়ন হোক এমনটাই আমরা চাই। বাঞ্ছারামপুরে কোনো ধর্মীয় ভেদাভেদ নেই, আর থাকবেও না। সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্মীয় কাজ করে যাবে। আমরা চাই বাঞ্ছারামপুরের উন্নয়নের সাথে মিশে থাকুক প্রতিটি জনগণ। সর্বস্তরের মানুষের কাছে একজন জনপ্রিয় এক নেতা ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম সবার যেকোনো সমস্যা সমাধানের কথা তিনি মনোযোগ দিয়ে শোনেন। গত ৪ই জানুয়ারি ২০২২ একদল তরণ নিয়ে আওমীলীগ অংশগ্রহণ করেন কাজী সারওয়ার জাহান সরকার।

তিনি বলেন বাঞ্ছারামপুরে মাটি ও মানুষের নেতা উন্নয়নের রূপকার ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম এমপি মহোদয়ের নিকট এসেছি। আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে আওয়ামী লীগের কর্মকান্ড দেখে আমি খুশী দেশ-বিদেশের ইতিপূর্বে প্রশংসনিয় সরকারের কার্যক্রম। ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম এমপির সাথে কথা বলে সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়েছি। বর্তমান পেক্ষাপটে এমন নেতা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। ধনী-গরিব সবাই এই মহান নেতার কাছে সমান। সরাসরি কথাটা না হলে জানতেই পারতাম না ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম এমপির উদার মনের মানুষ।

আমি কৃতজ্ঞ আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম এমপি যে কোনো নির্দেশনা মেনে চলবো। কাজী সারোয়ার সরকার বলেন এমন নেতার প্রশংসা বলে আমি শেষ করতে পারবো না। অনুসন্ধানে জানা যায়  ভালোবেসে কেউ বলে ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম নয়নের মনি। কেউবা বলে উন্নয়নের রূপকার, সর্বস্তরর মানুষ  তার দীর্ঘ আয়ু কামনা করেন।  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার  বাঞ্ছারামপুরে উন্নয়নের রূপকার ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম গৃহহীনদের মাঝে ঘর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ ও অনুদান কিছুদিন পর পর প্রদান করেন।

এই মহান নেতা বাঞ্ছারামপুরের আইয়ুবপুর ইউনিয়নের কড়িকান্দিতে ৩০টি গৃহহীন পরিবার ও উজানচর ইউনিয়নে ৩০টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করেছেন তিনি। কিছু দিন পরে আবারো বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ২৬টি পরিবারের মাঝে ৫১ বান্ডেল টিন ও প্রতিটি পরিবারকে নগদ ৬০০০ টাকা করে প্রদান করেন বাঞ্ছারামপুর ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম এমপি।

স্থানীয় সাধারণ জনগণ ভালোবেসে নাম দিয়েছেন উন্নয়নের রূপকার। ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম এমপি ৬নং সংসদ সদস্য হয়ে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে মুখরিত করে তোলেন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা। শিক্ষাব্যবস্থা খেলার মাঠ থেকে শুর করে আলাদিনের চেরাগের মত বদলে দিয়েছেন সবকিছু। বাঞ্ছারামপুর ছোট বড় সকলের কাছে তিনি একজন প্রশংসনীয় নেতা। সাধারণ মানুষের জন্য আপনি বহু কিছু করেছেন আর কি করতে চান এমন প্রশ্ন করলে তিনি দাবি করেন আমরা মানুষ আমাদের নেত্রী একটাই দাবি সবার উপরে মানুষ সত্ত তাহার উপর নাই। তাই মানুষকে ভালোবেসে মানুষের সেবা করে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই। 

আমরা লক্ষ্য করেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বস্ত্র দিয়ে তাদের জীবন চলার বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন। সে থেকে আমরা অনেক কিছু শিখার রয়েছে। ইতিপূর্বে তিনি মানবতার মা হিসেবে রেকর্ড করে ফেলেছেন বিশ্বের দরবারে। আমরাও চাই বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নাম সুরক্ষিত থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 × 5 =