ঘুষ কেলেঙ্কারীতে ঠিকাদারের হাতে মার খেলেন এলজিইডির দুই প্রকৌশলী

0
332

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃপটুয়াখালীতে প্রথম শ্রেণির এক ঠিকাদারের হাতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের (এলজিইডি) দুই কর্মকর্তা মারধোরের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মারধোরের শিকার মোঃ নাজিম উদ্দীন দুমকী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরে (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী পদে এবং সালাম একই দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত রয়েছে।এঘটনায় পটুয়াখালী এলজিইডি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্য ক্ষোভ বিরাজ করছে। পটুয়াখালী মেসার্স পল্লী ট্রেডার্স এর মালিক গোলাম সরোয়ার বাদল ওরফে মেয়র বাদলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম শাহাবুদ্দিন বলেন,প্রাথমিকভাবে এবিষয়ে জেলা প্রশাসন,পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।

রোববার বেলা ১২টার দিকে দুমকী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) দপ্তর এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভিকটিমের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।মারধোরের শিকার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সালাম বলেন-“২০১৬ সালে গোলাম সরোয়ার বাদল দুমকী উপজেলার পাঙ্গাশিয়ার ব্রীজ নির্মান করেন। কাজ শেষ হলেও র্নিমানাধীন ব্রীজ নানা ত্রুটি থাকায় কাজের অনুকুলে অর্থ পরিশোধ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। কিন্তু ঠিকাদার বাদল আজ রোববার আমার কাছে এসে শতভাগ বিল দাবী করে। তার দাবীর বিপরীতে আমি আপত্তি দিয়ে বলি-উল্লেখিত প্রকল্পে যৌথ মেজরমেন্ট করে বাকি বিল পরিশোধ করা হবে। আপনি চাইলেই আমি বিল দিতে পারিনা। এতে ঠিকাদার বাদল রাঘান্বিত হয়ে আমাকে চরথাপ্পর শুরু করেন। পরে তিনি উপজেলা প্রকৌশলীর কক্ষে গিয়েও একই কান্ড ঘটায়”।

 মারধোরের শিকার দুমকী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ নাজিম উদ্দীন বলেন,প টুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়রের স্নেহধন্য গোলাম সরোয়ার বাদল ওরফে মেয়র বাদল রোববার দুপুর ১২টার দিকে প্রথমে আমার কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সালামের সঙ্গে পুরোনো একটি বিল নিয়ে বাকবিতন্ডা ও মারধোর করে আমার কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় তিনি বিল নিয়ে কথা বলতে চাইলে আমি পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারের সাথে আলোচনা ও সমন্বয় করার পরামর্শ দেই। এসময় কোন কিছু বুছে উঠার আগেই তিনি চেয়ার ছুরে আমার বাম গালে চরথাপ্পর মারেন। চরথাপ্পর দেয়ার সময় তিনি তার কোমরে থাকা পিস্তল খোজে আমাদের ভয়-ভীতি দেখায়। এসময় তার ডাকাডাকিতে উপজেলা পরিষদের অন্যান্য লোকজন এসে তাকে নিবৃত্ত করেন। তিনি চলে যাওয়ার পরপর আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেছি।

দুমকী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর-রশিদ হাওলাদার বলেন-ঘটনার সময় আমি অফিসে ছিলাম। মারধোরের ঘটনার পর এলজিইডির লোকজন আমাকে এসে বিষয়টি অবহিত করলেও আমি গিয়ে ঠিকাদারকে বাদলকে পায়নি। কিন্তু এঘটনাটি উপজেলা পরিষদের নয়,এটা জেলা অফিসের। তবুও অনাকাঙ্খিত ঘটনায় তীব্র ণিন্দা জানাই। পাশাপাশি বিষয়টি সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। দুমকী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল সালাম বলেন-আমি শুনেছি। কিন্তু কেউ অভিযোগ পাইনি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান ঘটনার সত্যতা স্বীকার  করে বলেন-আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − eight =