পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নতুন বাংলাদেশ রূপায়নে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ….. জাতীয় পার্টি

0
493

সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি ও মোঃ জহিরুল আলম রুবেল ভাইয়ের নেতৃত্ব,অপরিসীম ত্যাগ,ব্যতিক্রমধর্মী মেধা,নিরলস শ্রম, ক্লান্তিহীন প্রয়াস, লাগাতার সংগ্রাম ও আন্দোলন,অতুলনীয় গণসম্পৃক্ততার ফলশ্রুতিতে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ গৌরবাজ্জ্বেল সাফল্যের সাথে দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ১২ মার্চ অতিক্রম করতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি রক্ষাকবচ হিসেবে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নতুন বাংলাদেশ রূপায়নে জনতার বন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপির নেত্রীত্বে অঙ্গীকারবদ্ধ তাদের নেতৃত্বের সাফল্য কামনা করছি।

সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি’র সম্পর্কে জানাতে হলে ৪(চার) যুগের ইতিহাস তুলে ধরা দরকার।কারণ  বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই জাতীয় নেতা মানুষের মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।সৈয়দ আবু হোসেন ১৯৫৬ সালের ১২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ একরাম হোসেন ও মাতার নাম ফাতেমা খাতুন।সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ছাত্রজীবনে রাজনীতি সাথে জড়িত ছিলেন।

তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ১৯৮৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ঢাকা-৪ আসন থেকে।১৯৮৮,২০১৪,২০১৮  সালে তিনি পুনরায় একই আসন থেকে সংসদ সদস্য হন।সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি তার নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কখনো নমনীয় হননি, বরং জনতার অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রথিত করার মাধ্যমে তীব্রতা দেয়াই ছিল তার প্রধান উদ্দেশ্য।

একথার প্রমাণ মেলে তিনি ঢাকা ৪ আসন থেকে বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ইতিহাস পর্যালাচনায়। জাতীয় রাজনীতিতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার উদ্দেশ্য ছিল একটি সাধারণ মানুষের  স্বার্থকে সমুন্নত রাখা এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপির নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সকল থানা সম্মেলনের মাধ্যমে ঢেলে সাজানোর কার্যকর সম্পন্ন করা হয়েছে।

যা জাতীয় পার্টি কে আরো শক্তিশালী করবে।আমি বিশ্বাস করি যে,দলের শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করিতে হইলে নেতৃত্ব নিঃস্বার্থ লোকদের হাতে থাকা প্রয়োজন তেমনি একজন সদা হাস্যোজ্জ্বল জাতীয় পার্টির কোন চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি।

এই মানুষটির জীবনাচরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের কথা না বললেই নয়-মানুষের মধ্যে কে ভালো, কে মন্দ তা নির্ভর করে তার অন্তরের অনুভূতি থেকে প্রকাশি আচরণের ওপর।আমার আর আপনার মূল পরিচয় শুধুমাত্র বাহ্যিক আচরণে ফুটে ওঠে না, এটা হয়তো সাময়িক কোনো খ্যাতি দিতে পারে। কিন্তু আমার আপনার ভেতরকার মানুষটির প্রকৃত আচরণই মূল পরিচয় বহন করে।

সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি’র গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আচরণগত দিকের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে সদা হাস্যোজ্জ্বল থাকার মাধ্যমে। যিনি সদা হাস্যজ্জ্বল থেকে আচরণে আন্তরিক তিনি সবার হৃদয় জয় করতে পারেন, সবাইকে কাছে টানতে পারেন তাকে দেখেই বোঝা যায় ব্যক্তিটি কতটা সম্মানিত কতটা সুন্দর মনের অধিকারী।দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ক্ষমতার শীর্ষে ছিলেন অথচ কোনদিনও দুর্নীতিকে ছুঁয়ে দেখেননি।

রাজনৈতিক জীবনে এসেছে নানান সময়ের উত্থান এবং পতন। রাজনীতি থেকেও বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন নীতি আর আদর্শ কে যার কারণে সাবেক রাষ্ট্রপতির জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিশ্বস্ত প্রিয় পাত্র ছিলেন সত্যিই অবাক করার মত।রাজনৈতিক জীবনের উত্থান একটু দ্রুত হয়েছিল সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি’র ১৯৮৩ সালেই তিনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নজরে এসেছিলেন।১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি প্রার্থী হিসেবে ঢাকা -৪ জয়লাভ করেন এবং সক্রিয় ভাবে চলে আসেন রাজনীতির রণক্ষেত্রে। তারপর বেশ কয়েকবার পরপর  সাংসদ হন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × one =