কুমিল্লা প্রতিনিধি:কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে লটারির দিয়ে টিকেট চাঁদাবাজির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ার অভিযোগ উঠেছে ইমাম হোসেন মজুমদার ওরফে শিশির নামের এক কিশোর গ্যাং এর মূল হোতা ও চট্টগ্রামে মাডার মামলার আসামির বিরুদ্ধে। সে উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউপির শ্রীরামপুর গ্রামের কবির আহমেদ মজুমদারের ছেলে।শ্রীরামপুর বঙ্গবন্ধু আদের্শ ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত লটারি ২০২২ নাম দিয়ে ১৪-১৫ টি সিএনজি ও অটোরিকশা সংযোগে নাঙ্গলকোট সহ পুরো কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা টিকেট বিক্রি করে ভেড়াচ্ছেন তারা। প্রতিটি লটারির মূল ২০ টাকা নিধারণ করা হয়। যদিও লটারির ড্রয়ের কথা ছিলো ১০ মার্চ। কিন্তু তারা ড্র না দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে শিশির।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রামের রাউজানের ইমরানুল করবি ইমন নামের এক যুবককে বাসায় ডেকে এনে গলা কেটে হত্যার পর প্রথমে বাথরুমে লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা। এরপর লাশ ড্রামে ভরে তাতে চুন আর অ্যাসিড দিয়ে সিমেন্টে ঢালাই। তারপর ওই ড্রাম ফেলে দেওয়া হয় দীঘিতে। এ হত্যা মালমার অন্যতম আসামি ইমাম হোসেন মজুমদার ওরফে শিশির। চট্টগ্রামে থেকে পালিয়ে এসে নাঙ্গলকোট উপজেলা নিজ এলাকয় আত্মগোপনে রয়েছেন।
এখানে এসেও ক্ষান্ত হননি সে। গড়ে তুলেছেন কিশোর গ্যাং। এসব কিশোর গ্যাংদের দিয়ে পুলিশ প্রসাশনকে ফাঁকি দিয়ে নিরবে চালিয়ে যাচ্ছেন তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। বর্তমানে এলাকার শিশির ভাই নামে পরিচিত তিনি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে।
এখন সে ওই সব কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে লটারি মাধ্যমে এলাকায় জনসাধারণের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। শিশির থানা পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের মেনেজ করে এ লটারি টিকেট চাঁদাবাজি করছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইমাম হোসেন শিশিরের মুঠো ফোনে বলেন, আমি লটারি ছাড়িনি। সরোয়ার সহকারে ছোট ছোট ছেলেরা লটারি ছেড়েছে। সাংবাদিক রাজু ও শরীফের সাথে এড করিয়ে দিয়েছি। নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ লটারির গাড়ি আটক করলে সাংবাদিক রাজু গাড়ি ছাড়িয়ে আনে। এর চেয়ে বেশি কিছু আমি জানি না।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামইয়া সাইফুল বলেন, কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।