পাকশী রেলওয়ে ট্রাফিক বিভাগের ছাঁটাইকৃত গেইট কিপার মুন্না চৌধুরীর আত্মহত্যার ঘটনার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ঘটনার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে কতৃর্পক্ষকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি।বুধবার বিকেলে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার আয়মা রসুলপুর গ্রামের পিযুস চৌধুরীর ছোট ছেলে মুন্না চৌধুরী আত্মহত্যা করেছেন। মুন্না চৌধুরীকে সহ ৮১ জন পাকশী বিভাগের ট্রাফিক গেইট কিপারকে গত ৩০/০৬/২০২০-ইং তারিখে কোন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বাংলাদেশ রেলওয়ে কতৃর্পক্ষ ছাঁটাই করে। ছাঁটাইয়ের কারণে সৃষ্ট মানসিক চাপেই মুন্না চৌধুরী আত্মহত্যা করেছেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছে। যদি সত্যিই বেকারত্বের চাপে মুন্না চৌধুরী আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে এই আত্মহত্যার দায় বাংলাদেশ রেলওয়ের উপরেই বর্তায়।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ৬—৭ বছর চাকরি করার পরও তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ না করে উল্টো তাদেরকে অন্যায় ভাবে ছয় মাসের বেতন বকেয়া রেখে ছাঁটাই করা হয়েছিল। এ অমানবিক সিদ্ধান্তের ফলে ৮১ জন যুবক আজ বেকারত্বের অভিশপ্ত জীবন অতিবাহিত করছে।
ছাঁটাইকৃত সকলেই প্রচন্ড মানসিক চাপে রয়েছেন। মুন্নার মত যাতে আর কোন অঘটন আমাদের দেখতে না হয় সেজন্য এখনই সকলকে সতর্ক হতে হবে। রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি বলেন, মুন্নার সাথে ছাঁটাইকৃত ৮১ জন গেইট কিপারকে বকেয়া বেতন পরিশোধ করে চাকরিতে পুনবর্হালের জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে মুন্নার অসহায় পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য রেলওয়ে কতৃর্পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।