নিজস্ব প্রতিবেদক : কমিটির সভাপতি আলী হায়দার ওরফে হায়দার সরকার সাধারণ সম্পাদক কালিমুল্লাহ ইকবাল হাসান মামুন ও কথিত কো-অপট সহ-সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কবির রাজিব যোগসাজশ ক্লাবের ২৭ লাখ ৮০২ টাকা আত্মসাৎ করেন। ক্লাবের সদ্য বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটি ও বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি পর্যায়ক্রমে আয়-ব্যয়ের হিসাব ও প্রেসকাবের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফেরত চাইলে অসামিরা নানা টালবাহানা আশ্রয় নেয়। এমনকি আসামিদের কমিটি বিলুপ্ত ও মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তারা গোপনে প্রেসকাবের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সরকারি অনুদানের ২লাখ ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। মামলার বাদী টঙ্গী প্রেসকাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী বলেন, “ঐতিহাসিক টঙ্গী প্রেসকাবের সুনাম রাক্ষার্থে আমরা মামলা করতে বাধ্য হয়েছি”।
আসামিদের প্রেসকাবের নামে সরকারি অনুদান ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা সহ ২৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং এখানে টঙ্গী প্রেসকাবের পদ-পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে থেকে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। এমনকি ফান্ড এর হিসাব সংগঠনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফেরত চাইলে আসামিরা দুর্নীতির দায় থেকে মুক্তি পেতে প্রেসকাব জবর দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
আইনজীবী খোরশেদ আলী বলেন প্রেস কাবের সদস্যরা আসামিদের বিশ্বাস করে নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্ত’ আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করে সংগঠনের অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্তী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
টঙ্গী প্রেসকাবের কার্যকরী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মো: শহীদুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা ওয়াজ মিয়া জাতীয় অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানী দলকে বলেন, “ঐতিহাসিক টঙ্গী প্রেসকাবের এম হায়দার সরকার কালিমুল্লাহ ইকবাল এই কাবের সুনাম নষ্ট করার জন্য বিভিন্নভাবে পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
তাই দৈনিক সমকালের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নাম্বার ১০০/২০২২ইং। সাবেক কমিটির ব্যাপারে আরো জানা যায় তারাই প্রেসকাবের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
তাই টঙ্গীর বিভিন্ন সাংবাদিক ক্লাবের সাংবাদিক ভাইয়েরা জাতীয় অপরাধ বিচিত্রা অনুসন্ধানী দলটিকে বলেন, টঙ্গী প্রেসকাবের সাবেক কমিটির সাংবাদিকতা নামে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। অতিসত্বর হায়দার সরকার ও কালিমুল্লাহ ইকবাল এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও সঠিক বিচারের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন
বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তীতে সাংবাদিকতার নামে অপ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করা হবে।