বুধবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন । সম্প্রতি সময়ে সারা দেশে টিসিবির পন্য বিক্রয় কার্যক্রম চলমান থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে যাহ সাধারন মানুষের নাগারে মধ্যে আসে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন. করোনা মহামারিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সব রাষ্ট্র দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, এর কুফল হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে।এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছেন। তবে জনবান্ধব সরকার দেশের নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে বক্তব্য এইসব কথা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
এক প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন কয়েকটি নিত্যপণ্যের টিসিবি, বর্তমান ও পূর্বের বাজারমূল্যের একটি তুলনামুলক চিত্র তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যমতে- গত ১ মার্চ মসুর ডালের কেজি গত ১ মার্চ ছিল ১২০ টাকা, তা কমে ৫ এপ্রিল হয়েছে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। এসময়ে টিসিবি বিক্রি করছে ৬৫ টাকা কেজিতে। খোলা চিনি প্রতিকেজি ১ মার্চের ৮৫ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল হয়েছে ৭৮ টাকা। এসময়ে টিসিবি বিক্রি করছে ৫৫ টাকা কেজি দরে।
ছোলার কেজি ১ মার্চের ৭৭ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল ৭২ টাকা ৫০ পয়সায় নেমেছে। এ সময়ে টিসিবি বিক্রি করছে ৫০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ ১ মার্চের ৬০ টাকা কেজি থেকে কমে ৫ এপ্রিল হয়েছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। টিসিবি বিক্রি করছে ২০ টাকা কেজি দরে।
সয়াবিন তেলের লিটার ছিল ১৭০ টাকা। তবে ৫ এপ্রিল এর মূল্য কমে হয়েছে ১৬১ টাকা ৫০ পয়সা। এ সময়ে পাম অয়েল লিটারপ্রতি ১৫৮ টাকা থেকে কমে ১৪২ টাকা হয়েছে। টিসিবি প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করেছে ১১০ টাকা করে।