কামরুল হাসান : ঢাকার নিকটবর্তী সাভারে অটোরিক্সা হারিয়ে চালকের আত্মহত্যা। নিহত নাজমুল কাজী(৩০)খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায় সবুর কাজীর ছেলে।মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) রাতে সাভার পৌর এলাকার রেডিও কলোনির জালেশ্বর মহল্লার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার গলায় দড়ি দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।সে সাভারের রেডিও কলোনি জালেশ্বর এলাকায় ইলা মসজিদ সংলগ্ন ইমুরনেছার বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী নাজমা খাতুন জানান, আমরা প্রায় দেড় মাস আগে গ্রাম থেকে সাভারে এসে বসবাস শুরু করি। আমার স্বামী গ্যারেজ থেকে ভাড়া নিয়ে একটি অটোরিকশা চালাতো। এর আগে একবার হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে রিকশা চালানোর দায়ে তার স্বামীর রিকশা আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে মামলা দিয়েছিলো।
তখন টাকা দিয়ে মামলা ভাঙিয়ে সেই রিকশা ফেরত আনে সে। গতকাল সকালে আবার রিকশা হারিয়ে গেলে তার স্বামী জানায় হয়তো পুলিশ আবার রিকশা আটক করেছে।
পরে আমি গ্যারেজে যাই। সেখানে গ্যারেজ মালিক ঘটনা জানালে তিনি বলেন, যদি পুলিশ রিকশা আটক করে থাকে তাহলে নাজমুল ছাড়া রিকশা দেবে না। পরে আমি হাইওয়ে থানায় খবর নিয়ে জানতে পারি তারা রিকশা নেয়নি। একথা শুনে আমি বাসায় ফিরে আসি। বাসায় এসে দেখি নাজমুল আত্মহত্যা করেছে। নাজমুল মানসিক ভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন ছিলো। এর আগেও গ্রামে থাকা অবস্থায় একবার বিষপান করে এবং একবার গলায় দড়ি দিয়ে দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলো। তবে এবার কী কারণে আত্মহত্যা করল বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার ওসি আতিকুর রহমান আতিক জানান, মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রেডিও কলোনি এলাকা থেকে এমন কোনো রিকশা হাইওয়ে পুলিশ আটক করেনি। যদি আটক করা হতো তাহলে আমাদের কাছে সেটার তালিকা থাকতো।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক আব্দুল হক বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে রেডিও কলোনি এলাকার জালেশ্বর মহল্লা থেকে নাজমুল নামের এক রিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমা খাতুন একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।
তবে নিহত নাজমুল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে জানতে পেরেছি। এর আগেও নাকি সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলো। তবে তিনি রিকশা হারিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি নাকি তার স্ত্রীকে বলেছেন, রিকশা পুলিশ নিয়েছে। কিন্তু তার স্ত্রী রিকশা উদ্ধারে পুলিশের কাছে যেতে চাইলে নাজমুল যায়নি। আর হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ নাজমুলের রিকশা আটক করেনি বলে জানিয়েছেন।