৪০ বছর পর দখলমুক্ত করলেন উপজেলা প্রশাসন

0
526

উপকুলীয় প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৪০ বছর পর অবশেষে অবমুক্ত হলো জীন খাল। স্থানীয়দের দাবীর মুখে উপজেলা প্রশাসন খালের বাধ কেটে অবমুক্ত করে পানির প্রবাহ সচল করলেন। বুধবার দুপুর তিনটায় কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক সংলগ্ন এলাকায় চিঙ্গরিয়া (জীন) খালে অভিযান শুরু করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাকিবুল আহসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার ও কাউন্সিলর খাইরুল হাসনাত খালিদ। এছাড়া এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ এলাকার জনসাধারন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এ খালটি অবমুক্ত করে দেওয়ার পর জনমনে স্বস্তির নি:শ্বাস দেখা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৮০ এর দশকে রবিন্দ্রনাথ দাস নামের এক ব্যক্তিকে ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা চাষযোগ্য কৃষি জমি দেখিয়ে ওই খাল বন্দোবস্ত দেয়। সবশেষ বিএস জরিপকারীরা বাস্তবের খালকে ব্যক্তিগত নাল জমি দেখিয়ে আরেক দফা চরম দুর্নীতি করে। পরে রবিন্দ্রনাথ দাস এ খালটিকে স্থানীয় বেশ কয়েকজনের কাছে কিছু অংশ বিক্রি করে দেন। পরে বাঁধ নির্মানের ফলে প্রবাহমান খালটিতে পানি ওঠা নামা বন্ধ  হয়ে যায়। এর পর গত ৩ মার্চ কলাপাড়া শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়কে খালটি উদ্ধারে মানবন্ধন করে টিয়াখালী ইউনিয়নের হাজারো কৃষক। এতে টনক নড়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। পরে আজ উদ্ধার অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন।

পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের টিুপ মৃধা জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে এ খালটি অবৈধভাবে দলখ করে রেখেছিল ভূমিদস্যুরা। এখানে আমাদের শৈশবের অনেক স্মৃতি বিজড়িত রয়েছে। আজ খালটি প্রায় মৃত। তবে খালটি উদ্ধার হওয়ায় আমরা অনেকটা স্বস্তি প্রকাশ করেছি। পৌর শহরের অপর বাসিন্দা কবির মৃধা জানান, খালটি বন্ধ থাকায় মশার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে এ পৌরসভা। খালটি অবমুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মশার অভয়াশ্রমও ধ্বংস হলো। আমরা উপজেলা প্রশাসনকে স্বাদুবাধ জানাই।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, খালটি পুরোপুরি উদ্ধার করা হবে। শুধু এই জীন খালই নয়। পর্যায়ক্রমে এই উপজেলার সকল খাল দখল মুক্ত করা হইবে। কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রাকিবুল আহসান বলেন, প্রায় ৪০ বছর পর খালটি অবমুক্ত হলো। এ খালটি সংস্কারের মাধ্যমে জোয়ার ভাটার প্রবাহমান পানি চলাচলের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে আর যাতে কেউ এই খাল বন্দোবস্ত না নিতে পারে সে ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। আশা করছি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × 2 =