কর্মসৃজন প্রকল্পের তালিকাভুক্ত শ্রমিকদের কাজে যোগদান ও টাকার বিনিময়ে নতুন শ্রমিক অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে  মানববন্ধন

0
726

রউফুল আলম, ব্যুরো চীফ, রংপুরঃনীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯ নং মাগুড়া ইউনিয়নে সরকারের ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজে দুস্থদের নাম কেটে স্বাবলম্বী সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের নাম দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মিলেছে। ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া চেয়ারম্যান,  ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও ইউপি সদস্যরা এ কাজটি করেছেন। ফলে  অতি- দরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত ক্ষতিগ্রস্থ্য তালিকাভুক্ত শ্রমিকরা কাজে যোগদানের লক্ষ্যে এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্বচ্ছল সুবিধাভোগী পরিবারের লোকজনকে কর্মসৃজন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে আজ ১৭ এপ্রিল ২২ রবিবার সকাল ১০ টায় মাগুড়া বাস স্টান্ডে প্রায় শতজন শ্রমিক মানববন্ধন করেছে। আয়োজনে- মাগুড়া ইউনিয়নের অতিদরিদ্র শ্রমিকবৃন্দ।

০৪ নং ওয়ার্ডের শ্রমিক ছকিনা বেওয়া (ভিক্ষুক), ছামছুন্নাহার, নার্গিস, হালিমা, ভেলকু, বেলাল, ৩ নং ওয়ার্ডের আমিনুর, আজিজুল, তমিলা, লাইজু, সাবুল, ৭ নং ওয়ার্ডের এলিজা, জোসনা, হাসনাবানু, ২ নং ওয়ার্ডের ওমেদ আলী, রুমি বেগম, এশাদুল, দুলালী, ছাবিহা, ১ নং ওয়ার্ডের গোলাপী, ৬ নং ওয়ার্ডের মাসুমা ও নেতৃত্বদানকারী মোঃ আব্দুল মজিদ মানববন্ধনে বলেন, আমরা সদ্য দায়িত্ব নেয়া

চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ভোট করি নাই বলে কর্মসৃজন প্রকল্প থেকে আমাদের নাম কেটে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সচ্ছল পরিবারের সুবিধাভোগী লোকজনের নাম ৪০ দিনের কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ইহাতে আমরা অসহায় হয়ে পড়ছি। কি খাব? কিভাবে আমাদের খাবার জুটবে, আমাদের ছেলে- মেয়েদের কি খাওয়াবো? কে দেখবে আমাদের? কে থাকবে আমাদের পাশে, কে শুনবে আমাদের কথা? এ এক কঠিন দুঃ সময়! এ দুঃ সময়ে ভাল থাকি কি করে? সবখানেই প্রত্যারণা। প্রত্যারণার ভাষা ছাড়া আর কোন ভাষা নেই যেন। অফিস- আদালতে, ঘরে- বাইরে, মাঠে-ঘাটে প্রত্যারণার নিত্য নতুন কৌশল। আমরা কোথায় কার কাছে যাব। আমরাতো রোগে- শোকে মারা যাব, এমন কোন উর্ধতন কতৃপক্ষ নেই যিনি আমাদের কথা শুনবে। আমাদের বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নিবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

১ নং ওয়ার্ডের কার্ডধারী গোলাপী বেগম বলেন, আমাদের ওয়ার্ড মেম্বার সুজাল মিয়া ১০ হাজার টাকা ঘুষ চাইছিল, আমি দিতে পারি নাই বলে আমার নাম কেটে টাকার বিনিময়ে নতুন শ্রমিক অন্তর্ভুক্ত করেছে। ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত্যু বতু মামুদের সুবিধা বঞ্চিত বিধবা স্ত্রী মাসুমার অভিযোগ ওয়ার্ড মেম্বার আলম আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চাইছিল। আমি বিধবা মানুষ অতো টাকা কোথায় পাব। টাকা দিতে পারি নাই বলে ৪০ দিনের কর্মসূচি থেকে আমার নাম কেটে টাকার বিনিময়ে নতুন শ্রমিক অন্তর্ভুক্ত করেছে। এ বিযয়ে জানতে চাইলে, কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবু হাসনাত সরকার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। অনিয়ম তদন্ত করা হচ্ছে। প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারদের সাথে অসহায় শ্রমিক ছাটাইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানায়, এরা সুবিধাভোগী। তাই এদের ছাটাই করা হয়েছে।

মানববন্ধনের মাধ্যমে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে পড়েন মেম্বার ও চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে ইউনিয়নবাসী সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − nine =