বি.এ.ডি.সি থেকে সেচ পাম্প অনুমোদন দেওয়ার কথা বলে , হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তানভির

0
413

নীলফামারী প্রতিনিধিঃরংপুর অঞ্চলে ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষনের মাধ্যমে ক্ষদ্র সেচ উন্নয়ন ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে কৃষকরা সেচ প্রদান অনুমোনের জন্য বরাবর আবেদন করে থাকে, কিশোরগঞ্জ বি.এ.ডি.সি অফিস, নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার রংপুর অঞ্চলের সেচ দক্ষাতা বৃদ্ধি করণ প্রকল্পের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর তানভির আহম্মেদ ২০১৮ সালে জুন-জুলাই মাসে কিশোরগঞ্জ অফিসে চাকুরিতে যোগদান করেন। ধিরে ধিরে পরিচয় হন কৃষকদের সাথে। হঠাৎ দেখা মেলে ক্ষুধার্ত কৃষক, যার দীর্ঘদিন ধরে সেচ পাম্প অনুমোদন নেওয়ার ক্ষুধা, সর্বক্ষনিক চিন্তা-চেতনা ৫ হর্সের সেচ পাম্প অনুমোদন নেওয়ার জন্য। কিন্তু কিশোরগঞ্জ বি.এ.ডি.সি অফিসে আসা-যাওয়া করে, দালালের মাধ্যমে দেখা হয় তানভিরের সাথে। ঐ অফিসের তানভির নাকি সেচ প্রদান অনুমোন দেওয়ার নামে টাকা খাওয়া কুমির। এমনি ঘটনা ঘটছে কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৭নং রণচন্ডি ইউনিয়নের কিষামত  ব্যাঙপাড়া গ্রামের নিরীহ কৃষক মৃত মংলু মামুদের ছেলে শফিকুল ইসলাম, তার আশা আমার যখন কৃষকের ঘরে জন্ম হয়েছে আমি কৃষিকেই গুরুত্ব সহকারে দেখি এবং কৃসি কাজ করি এবং কৃষিকে  ভালবাসি, তাই আশায় আছি। পরিচয় যখন হয়েছে তানভিরের সাথে সেচ পাম্পের অনুমোদন পাব। হাজার হাজার টাকাও দিয়েছি তানভিরকে দফায় দফায়। কিন্তু তিন বৎসর গত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সেচ পাম্প অনুমোদন নিয়ে দিতে পারেনি তানভির। শুধু আসে আর যায় আর আমার কাছে টাকা নেয়। আর বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যে তোমার সেচ পাম্প অনুমোদন হয়ে যাবে। চিন্তার কোন কারণ নেই।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে, ঐ এলাকার একজন কৃষক অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন, শফিকুলের সেচ পাম্প অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু খরচ হয়েছে তার প্রায় দুই লক্ষ টাকা। অপরাধ বিচিত্রার সাথে শফিকুলের স্বাক্ষাতে কথা হলে সে বলে, সেচ পাম্প অনুমোদনের লাইসেন্স তো পাইলাম না। শুধু দফায় দফায় টাকা দিলাম তানভিরকে। বিনিময়ে কিছূই পাইলাম না। আমি মনে করি, তানভিরের প্রতারণার ফাঁদে পড়েছি। শফিকুল আরও বলেন, প্রতি মাসে নতুন নতুন লোক নিয়ে যেমন কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত অফিসের ইলেকট্রিশিয়ান তাইজুল ইসলামসহ আমার এখানে আসে আর বলে অফিসার আসছে টাকা দেও। এভাবেই চলছে তানভির ও তাইজুলের প্রতারণা। কিশোরগঞ্জ উপজেলার সেচ পাম্পের আবেদনকারীর কাছ  থেকে দালাল চক্রের হাতেহাত মিলিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানে আরো জানা যায় অনুমোদন দেওয়া সেচ পাম্প গুলো গ্রহকের কাছ থেকে প্রতি মাসে সেচ মৌসুমে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। কোন কোন জায়গায় অনুমোদন দেওয়া সেচ পাম্পের পাশে কোন কৃষক নতুন সেচ পাম্পে আবেদন করলে কমানডিং এরিয়া আটশত ফুট বাদ দিয়ে অনুমোদন চাইলে ও বারবার অফিসে যোগাযোগ করা হলে কোন ভাবে ঐ আবেদনটি গৃহিত হচ্ছে না , এর কারণ হচ্ছে এই আসাধু তানভির টাকা খাওয়া কুমির সেচ পাম্পের মালিকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে বিধায় । এ ব্যাপারে বি.এ.ডি.সি অফিসের অফিসার হারুন-আর-রশিদের সাথে স্বাক্ষাতে কথা বললে , তিনি বলেন, আবেদন করতে করতে ২০০/- টাকা ফি, অনুমোদন পাওয়ার পর লাইসেন্স বাবদ ১০০০/- টাকা লাগে, এখানে সর্বমোট ১২০০/- টাকা হলে সেচ পাম্প-এর লাইসেন্স দেওয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × four =